শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -১১

সংখ্যা: ১০৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

প্রধানতঃ ইহুদীদের পরিকল্পনাই তুর্কী বিপ্লবকে সম্ভবপর করে তোলে। কামাল পাশা ইহুদীদেরই ক্রীড়নক হিসেবে ময়দানে কাজ করেছেন মাত্র। নিম্নলিখিত পুস্তকগুলোতে এ দাবীর প্রমাণ মওজুদ রয়েছে,

  1. Revolutions and Military Rule in the Middle East- by M. Haddad.
  2. 2. Rise of Nationality in the Balkans- by R. W. Setin Watson.
  3. The Emergence of Modern Turky- by Bernard Lewis.
  4. ATATURK- The Returnth of a NATION-by Lord Kirnoss.

তুর্কী খিলাফত মুসলিম জাহানের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের একটি কেন্দ্র ছিল। সমগ্র মুসলিম জাহান ও খিলাফতকে কেন্দ্র করেই পরস্পরের মধ্যে এক অচ্ছেদ্য ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অনুভব করতো। কিন্তু ইংরেজ ও ইহুদী ষড়যন্ত্রের ফলে খিলাফত উচ্ছেদ হয়ে গেল এবং মুসলিম জাহানের ঐক্য-সূত্র ছিন্ন হল। তারপর থেকে মুসলিম দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ করে নিজেদেরকে ইহুদী ও খৃষ্টান চক্রান্তের খপ্পরে নিক্ষেপ করে আসছে। কামাল পাশা ২৫,০০০ ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। খ্যাতনামা আলিম ও ইসলামী চিন্তাবিদদেরও পৈশাচিক আনন্দে শহীদ করে সে ‘গাজী’ উপাধি ধারণ করে। শহীদ ব্যক্তিদের একটিমাত্র ‘অপরাধ’ ছিল আর তা হলো ইসলামী আদর্শের প্রতি তাদের অটল বিশ্বাস। কামাল  পাশা ইসলামী ইবাদত, ইসলামী রীতিনীতি ও আদব-কায়দা সব কিছুই নিষিদ্ধ করে দেয়, এমনকি আরবী-ভাষায় কুরআন শরীফ পাঠ করাও সে অপরাধ বিবেচনা করে। এভাবে ইসলাম বিরোধী ও ইহুদী প্রভাবান্বিত পরিবেশ সৃষ্টি হবার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদীদের রাষ্ট্র স্থাপনের পথ প্রশস্ত হতে থাকে। আরব-অনারব দ্বন্দ্বের ফলে মুসলিম শক্তি দুর্বল হয়ে যায় এবং ফ্রি-ম্যাসন আন্দোলনের প্রভাবে কামাল পাশার ইসলাম বিরোধী তৎপরতা ইহুদীদের উদ্দেশ্য সিদ্ধির পথ প্রশস্ত করে দেয়।      ইহুদী চক্রান্ত মুসলমানদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি ও নানাবিধ ছদ্ম আন্দোলনের মাধ্যমে যুবসমাজকে ইসলামের প্রতি বিরূপ ভাবাপন্ন করে তোলার সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিনে ইহুদীরাষ্ট্র স্থাপনের আন্দোলনও চালিয়ে যেতে থাকে।

১৯১৬ ঈসায়ী সালে ইহুদীদের বিশ্ব-সংস্থা “ওয়ার্ল্ড জাইওনিষ্ট অর্গানাইজেসন” (World Zionist Organization) বৃটেনের পররাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় লিপ্ত হয়। এর ফলে ১৯১৭ সালে বৃটিশ সরকার কুখ্যাত ‘ব্যালফোর ঘোষণায়’ ফিলিস্তিনে ইহুদীদের জাতীয় আবাসভূমি স্থাপনের দাবী সমর্থন করে। ব্যালফোর ঘোষণাটি ছিল নিম্নরূপঃ “আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, মহামান্য রাজকীয় বৃটিশ সরকার ইহুদী আন্দোলনের প্রতি আন্তরিক সহানূভূতি পোষণ করে এবং ফিলিস্তিনে ইহুদীদের জাতীয় আভাসভূমি স্থাপনের দাবী সমর্থন করে। এতদসঙ্গে আমি একথাও ঘোষণা করছি যে, বৃটিশ সরকার ইহুদীদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সকল প্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান করবে।” তদানীন্তন বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী আর্থার জেম্স ব্যালফোর এ ঘোষণায় স্বাক্ষর করে। ১৯৩৭ সালে রয়েল ফিলিস্তিন কমিশনের নিকট সাক্ষ্যদানকালে তৎকালীন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী একথা স্বীকার করেন যে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইহুদী সম্প্রদায় মিত্র শক্তির সঙ্গে সহযোগিতা করায় পুরস্কার স্বরূপ পূর্ব নির্ধারিত ‘গুপ্ত চুক্তি” মুতাবিক বৃটিশ সরকার ফিলিস্তিনে ইহুদীদের জাতীয় আবাসভূমি স্থাপনের আন্দোলন সমর্থন করে। অবশ্য উক্ত ঘোষণায় ফিলিস্তিনে ইহুদীদের রাষ্ট্র স্থাপনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু ইহুদী সম্প্রদায় এ ঘোষণাটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদীদের নিয়ে এসে ফিলিস্তিনে জড়ো করতে থাকে। এদিকে ১৯২৩ সালে জাতিপুঞ্জ ফিলিস্তিনকে বৃটেনের অছিগিরিতে সমর্পণ করে। ব্যালফোর ঘোষণার পর ইহুদীদের ফিলিস্তিনে নিয়ে আসার যে অভিযান শুরু হয়েছিল, ফিলিস্তিন বৃটেনের অছিগিরিতে চলে যাওয়ায় সে অভিযান আরও জোরদার হল। ১৯১৮ সালে ফিলিস্তিন মুসলমানদের মোট সংখ্যার এক-দশমাংশ ছিল ইহুদী এবং তাদের সর্বমোট সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক হাজার। পরবর্তী বছরগুলোতে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা নিম্ন হারে বেড়ে যায়ঃ

১৯১৮ সাল থেকে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত- ৩৫,০০০, ১৯২৩ সাল থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত ৮১,০০০, ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত  ২৫,০০০০০। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির পর লক্ষ লক্ষ যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গৃহহীন লোকদের পুনর্বাসনের সমস্যা প্রকটরূপে দেখা দেয়। এদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক ইহুদীও ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিঃ ট্রু ম্যান তার সমসাময়িক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী মিঃ এট্লীর সঙ্গে পত্রালাপ করে ফিলিস্তিনে এক লক্ষ যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইহুদীদের বসবাসের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানায়। মিঃ এট্লী এ বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য মার্কিন ও বৃটিশ প্রতিনিধিদের একটি যুক্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব করে। মিঃ ট্রু ম্যান অবিলম্বে এ প্রস্তাবে সম্মতি জানায়। বারজন সদস্যের এ কমিটি ওয়াশিংটন, লন্ডন এবং কায়রো সফর করে ইহুদী, মুসলিম ও খৃষ্টানদের বক্তব্য শোনে। ১৯৪৬ সালের ৩০ এপ্রিল তারিখে যুগপৎ লন্ডন ও ওয়াশিংটন থেকে কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ঐ রিপোর্টে ফিলিস্তিনে এক লাখ ইহুদীর বসবাসের ব্যবস্থা করার সপক্ষে মত প্রকাশ করা হয়। তবে কমিটির সুপারিশে স্পষ্ট ভাষায় একথাও উল্লেখ করা হয়েছিল যে, ফিলিস্তিনে ইহুদী ও মুসলমান কেউ কারো উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারবে না। বরং ইহুদী, মুসলমান ও খৃষ্টান এ তিন জাতিরই সেখানে সমান অধিকার থাকবে।   রিপোর্টের শেষাংশে যে শর্তটি উল্লেখ করা হয়, তার জন্য ইহুদী সংগঠনগুলো এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকায় বিপুল সংখ্যক ইহুদীদের বসবাসের ব্যবস্থা করা সম্ভব ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রু ম্যান আমেরিকায় ইহুদীদের স্থান দিতে এক সময় রাজীও হয়েছিলো। কিন্তু ইহুদী সম্প্রদায় এর কোন প্রস্তাবই গ্রহণ করেনি। তারা বৃটেনের অছিগিরির সুযোগে সমস্ত আরব জাহানের প্রতিবাদ সত্ত্বেও দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদীদের ফিলিস্তিনে নিয়ে আসার অভিযান আরও জোরদার করে এবং দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ সমাপ্তির পরপরই ছয় লাখ ইহুদীকে ফিলিস্তিনে এনে বসানো হয়।           এবার ইহুদী সম্প্রদায় ফিলিস্তিনে মজবুত হয়ে বসার ব্যবস্থা করে। বৃটিশের ছত্রছায়ায় ফিলিস্তিনে ‘হেগনা ও ইরগুন’ নামে দুটি সন্ত্রাসবাদী সশস্ত্র ইহুদী সংগঠন গড়ে উঠে। তারা মুসলমানদের উপর নির্বিচার জুলুম নির্যাতন শুরু করে দেয়। (‘ইহুদী ষড়যন্ত্র’ এবং অন্যান্য সহায়ক গ্রন্থ অবলম্বনে) য

– সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলমগীর, ঢাকা।

“ফজলুর জিহালতীর জবাব” সত্যিই রাজারবাগীদের নিকট ‘দ্বীনে রেযাখানী’ নিরাপদ নয় একেই বলে স্বঘোষিত মুহাক্কিক!

“ভারতে মুসলমানদের উপর হিন্দুদের বর্বরতা ও পৈশাচিক আক্রমণ; প্রাচীন কাল হতেই হিন্দুদের এই নির্মম প্রবণতা” ঐতিহাসিক দলীল সম্বলিত একটি অনুসন্ধানী রচনা-৪

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-২

রেজভী গ্রুপের লিখক ফজলুল হকের নিজের খোঁড়া গর্তে নিজেই জিন্দা দাফন

একই অঙ্গে বহু রূপে সজ্জিত স, আ, ত, ম  আলাউদ্দিনের বিকৃত রুচি সম্পন্ন লিখার প্রতিবাদে