ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৮ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২৩১তম সংখ্যা | বিভাগ:

শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার

প্রতি আদব প্রদর্শন

ইমামে আ’যম, ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও সুলতানুল মাশায়িখ, ইমামুল মুত্তাক্বীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ছোহবতের সওগাত হাছিলের জন্য উনার দরবার শরীফ-এ যেতেন। তিনি উনাকেও খাছভাবে নছীহত মুবারক করতেন। এ প্রসঙ্গে হযরত আমর ইবনে জামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- একদা আমি, হযরত ইবনে আবী লাইলা রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সিবরামাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ সুলতানুল মাশায়িখ, ইমামুল মুহসিনীন, ইমামুল মুত্তাক্বীন, ফখরুল আরিফীন, আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম উনার দরবার শরীফ-এ গেলাম। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম হযরত ইবনে আবী লাইলা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে লক্ষ্য করে বললেন- আপনার সাথে আগত এই ব্যক্তি সম্পর্কে আপনি কি জানেন? তিনি বললেন- তিনি এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও সম্মানিত দ্বীনের হুকুম-আহকামের ব্যাপারে অত্যন্ত অভিজ্ঞ। ফিরাসাত বা অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন খাছ ইলমে লাদুন্নী (যে ইলিম মহান আল্লাহ পাক তিনি বিনা মধ্যস্থতায় সরাসরি হাদিয়া করেন) প্রাপ্ত অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম একথা শুনে বললেন, তিনি কি সম্মানিত দ্বীন উনার হুকুম-আহকামের ক্ষেত্রে ক্বিয়াস করে থাকেন? হযরত আমর ইবনে জামী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, হ্যাঁ, তিনি সেরূপ ক্বিয়াসই করে থাকেন যেরূপ ক্বিয়াস করেছিলেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা।

স্মর্তব্য যে, ইমামুল মুসলিমীন হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরুদ্ধবাদীরা ইহুদী-নাছারাদের দ্বারা প্রতারিত, গোমরাহ, পথভ্রষ্ট লোকেরা উনার সম্পর্কে অত্যন্ত খারাপ ধারণা পোষন করতো। নাউযুবিল্লাহ! এমনকি তা উনার শায়েখ হযরত জা’ফর সাদিক আলাইহিস সালাম উনাকেও অবহিত করেছিলো। সে বিষয়টি মুসলিম উম্মাহ উনাদের কাছে সুস্পষ্ট- পরিষ্কার করার জন্য হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তিনি এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যার ফলে বিরুদ্ধবাদীদের মুখ থুবড়ে যায়। আর মুসলিম উম্মাহ তাদের দুরভিসন্ধি বুঝতে পারে।

বর্ণনাকারী বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বললেন- আপনার নাম কি? তিনি বললেন- নু’মান। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তিনি বললেন- হে নু’মান! আপনার মাথা মুবারক সম্পর্কে আপনি কি ক্বিয়াস করবেন?

আপনি কি জানেন, কানের ভিতরে তিতা তৈলাক্ততা থাকে কেন? চোখের পানি লবণাক্ত কেন? নাকের ভিতর থেকে গরম বাতাস বের হয় কেন? দুই ঠোঁটের মাঝে মিষ্টতা অনুভব হয় কেন? ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, সম্মানিত শায়েখ, জি না, তা আমার জানা নেই। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আপনি কি জানেন, এমন কোন্ কালিমা আছে, যার প্রথম অংশ কুফরী আর শেষাংশ ঈমান? ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কোন কথা বলার পূর্বেই হযরত ইবনে আবী লাইলা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন- হে আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি দয়া করে যে সকল প্রশ্ন করলেন তার উত্তর কি হতে পারে তা আমাদেরকে জানান।

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আমার পিতা আমার দাদা থেকে বর্ণনা করেন। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, মহান আল্লাহ পাক আদম সন্তানের উপর ফযল-করম ও অনুগ্রহ করেছেন যে, তাদের চক্ষুদ্বয়ের পানিকে লবনাক্ত করেছেন। তাদের চক্ষুদ্বয়ে রয়েছে দু’টুকরা চর্বি। যদি সেই পানি লবনাক্ত না হতো তাহলে চক্ষুদ্বয় সুস্থ থাকতে পারতো না। মহান আল্লাহ পাক উনার রহম, করম, দয়া ও ইহসান যে, তিনি কানদ্বয়ের ভিতরে তিতা-তৈলাক্ততার সৃষ্টি করেছেন। যেটা কানের পর্দাস্বরূপ। তিতাযুক্ততার কারণে পোকা-মাকড় প্রবেশের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। যদি সেই তিক্ততার পর্দা না থাকতো তাহলে কানে কোন পোকা-মাকড় ঢুকলে তা মগজে প্রবেশ করতো। কাজেই, যখন কোন পোকা-মাকড় কানে প্রবেশ করে তখন সেই তিতা তৈলাক্ততার কারণে মগজে প্রবেশ করতে পারে না। তার কারণে ভিতরে অবস্থানও করতে পারে না। বাধ্য হয়ে বের হওয়ার পথ খুঁজতে থাকে। নাকে ছিদ্রদ্বয়ের দ্বারা গরম বাতাস প্রবাহিত করেছেন। যদি সেখান দিয়ে গরম বাতাস বের না হতো তাহলে মগজ ক্ষতিগ্রস্থ হতো। মহান আল্লাহ পাক তিনি খাদ্য দ্রব্যের স্বাদ গ্রহণের জন্য দুই ঠোঁট দান করেছেন। তা দ্বারা মানুষ খাদ্য-পানীয় গ্রহণ করে এবং তার স্বাধ আস্বাদন করে।

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২৭

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২৮

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২৯

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩০

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩১