যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৯৭

সংখ্যা: ২২৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা এবং বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়।

(ধারাবাহিক)

পরিশিষ্ট

কিন্তু বাদশাহ জাহাঙ্গীর কিছুটা সহিষ্ণুতার সাথে কর্ম সম্পাদন করলেন। তিনি উল্লেখিত অবস্থাগুলোর ফলস্বরূপ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দুই বৎসরের জন্য কয়েদ করার হুকুম জারি করে গোয়ালিয়র দুর্গে প্রেরণ করেন। হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেছেন, “এ কয়েদ আমার নফসের সংশোধন কাজে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল।” (হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১ম খণ্ড ২২২ পৃষ্ঠা)

ঠিক একইভাবে বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার তাজদীদী ফতওয়ার কারণে যখন উলামায়ে ‘সূ’দের ধর্মব্যবসায়ী চেহারা জনগণের সমানে সুস্পষ্ট হয়ে উঠে, তখনই তারা উনার আক্বীদা ও আমলে কোন ভুল না পেয়ে উনার সঠিক ও পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র সুন্নাহ শরীফ সম্মত বক্তব্যসমূহ কাটছাঁট করে ও অপব্যাখ্যা করে বেঠিক ও পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী বলে জনসম্মুখে উপস্থাপন করার অপচেষ্টায় রত হয়। তার জ্বলন্ত প্রমাণ আপনারা এ কিতাবটিতেই পেয়েছেন।

আপনারা আরো জনতে পেরেছেন যে, স্বঘোষিত মুশরিক শামসুসহ বর্তমান যামানার উলামায়ে ‘সূ’রা তাদের রেসালা ও লিফলেটসমূহে রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় প্রকাশিত বক্তব্যসমূহ কিভাবে কাটছাঁট করে তাদের ইচ্ছামতো সাজিয়ে ও অপব্যাখ্যা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তবে কোন সন্দেহ নেই যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতে বর্তমান উলামায়ে ‘সূ’ কাযযাব গংদের সকল প্রকার মিথ্যা, অপপ্রচার ও অপব্যাখ্যার বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়ার জন্য এই কিতাবটিই যথেষ্ট, যদিও কলেবর বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কায় প্রতিটি বিষয় অতি সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো। তবে প্রয়োজনে বিস্তারিতভাবে তাদের মিথ্যাচারিতা ও ভ-ামির জবাব দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

-মুফতী মুহম্মদ আবু ইসহাক, বাসাবো।

ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম এবং সব বেহায়াপনা, বেপর্দা, নাচগান ইত্যাদি সম্পর্কে মানুষকে ইসলামিক ধারণা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তা হলেই কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাশ হবে না- এ প্রতিশ্রুতির পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন ঘটবে।

জামাতীরা এখন খোদায়ী গযবে ধুকছে। হাদীছ শরীফে বর্ণিত লা’নত তাদের গায়ে লেগেছে। কৃত যুদ্ধাপরাধের বিচারের ভয়ে তারা এখন ভয়ানক আতঙ্কিত হয়ে আছে।

হলিউডের জোলি এবং আমাদের দেশের তথাকথিত নারীবাদী গত ১২.০১.০৯ তারিখে ইন্টারনেটে হেডিং হয়েছে: “হলিউড থেকে বিদায় নিচ্ছে জোলি।”

জামাতীদেরকে জঙ্গিরা কখনও টার্গেট করেনি। জঙ্গিরা মূলতঃ জামাতীদেরই জাত ভাই

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামার শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান এর শপথ অনুষ্ঠানের ধরনই নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পূর্ণই আলাদা। এদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমান তারা আকুলভাবে চায় যে “কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন হবে না।” সে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূর্ণভাবে প্রতিফলিত হোক