আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী

সংখ্যা: ২০৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

উনার প্রতি অপবাদকারী জালিম গং নিঃসন্দেহে বাতিল, গুমরাহ, লানতপ্রাপ্ত, জাহান্নামী ও সুন্নী নামের কলঙ্ক রেজাখানীরা আয়নায় নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখে নিক ॥ ইসলামী শরীয়ার আলোকে একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা-১

 

মহান খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক তিনি কালাম পাক-এ ইরশাদ ফরমান- “সাবধান! যাঁরা আমার ওলী বা বন্ধু উনাদের কোন ভয় নেই, চিন্তা নেই, পেরেশানী নেই।” একটি মশহুর হাদীছে কুদসী শরীফ-এ রয়েছে- “ওলী আল্লাহ উনাদের বিরোধিতা যারা করে আল্লাহ পাক তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।” বলাবাহুল্য আজকে এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে আমাদের এই পাক-ভারত উপমহাদেশের কতিপয় মুসলমান নামধারী বিভ্রান্ত, লেখক ঐতিহাসিক বিশেষ করে বাঁশ বেরেলীর রেজা খাঁ নামক এক ফাসিক বিদয়াতী মৌলভী ও তার বদ আক্বীদাভুক্ত লোকেরা উপমহাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাহিদ, মুজাহিদে আ’যম, শহীদে আ’যম, আমিরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার শানে নানা প্রকার মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বই-পুস্তক, রেসালা লিখে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রেজা খাঁর এদেশীয় অনুসারী চট্টগ্রামের রেজাখানী জামায়াত বলে পরিচিত বাতিল ফিরক্বার মুখপত্রে গত জুন ২০১১ ঈসায়ী সংখ্যায় এমন সব কথাবার্তা লেখা হয়েছে, যাতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, এদের উপর আল্লাহ পাক উনার খাছ লা’নত পতিত হয়েছে। কারণ আল্লাহ পাক উনার খাছ লা’নত বর্ষিত না হলে কারো পক্ষেই এত বেশি মিথ্যা অপবাদ ছল চাতুরীর আশ্রয় নেয়া সম্ভব নয়। বাতিলের আতঙ্ক, সারা বিশ্বের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের একমাত্র দলীলভিত্তিক মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এ ইতঃপূর্বে বহু সংখ্যায় এই বাতিল গুমরাহ ফিরক্বার আপত্তিকর আমল-আক্বীদার দাঁতভাঙ্গা জাওয়াব দেয়া হয়েছে। সে সময় এরা লা-জাওয়াব হয়ে একেবারে ইঁদুরের মতো গর্তে লুকিয়ে কোন প্রকারে ইজ্জত বাঁচিয়েছিল। এবার হঠাৎ করেই আবার তারা বিষয়টি আরও কুৎসিতভাবে তাদের মুখপত্রে এনেছে। কারণ অনুসন্ধানে জানা গেলো এ বৎসর বালাকোট দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে আয়োজিত একটি সেমিনারে অন্যান্য অনেক বক্তার মধ্যে এমন একজন ব্যক্তি বয়ান করেন যিনি রেজাখানীদের হেড কোয়ার্টার জামিয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া মাদরাসার একসময়কার প্রধান শায়খুল হাদীছ বলে পরিচিত। ব্যস! এটাই রেজাখানীদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থাৎ এ ঘটনায় তারা নিজেদের অস্তিত্ব পূর্ণরূপে বিলীন হবার উপক্রম বলে মনে করেছে। তাই ইবলিসের ন্যায় তারা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমীরুল মু’মিনীন, মুস্তাজাবুত দা’ওয়াত, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম শহীদ আহমদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার শানে বিষোদগার করে নিজেদের তৃষ্ণা মিটাতে চেয়েছে। কিন্তু না তারা পারেনি বরং তাদের লেখাতেই প্রমাণিত হয়েছে তারা কত কুৎসিত, বদ, বেশরা বিদয়াতী মিথ্যাবাদী লা’নতপ্রাপ্ত জাহান্নামী। কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- “নিশ্চয় মিথ্যাবাদীরাই মুনাফিক আর মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী আর এদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী জাহান্নাম।” আমরা ইনশাআল্লাহ এ কলামে এই বাতিল ফিরক্বার চরিত্র এবং এদের মিথ্যা কুফরীমূলক বক্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জাওয়াব শুধুমাত্র ইতিহাসের আলোকেই নয় বরং পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াসের আলোকে প্রমাণ করবো। কারণ ইসলামী শরীয়া তথা মুসলমানদের দলীলই হলো পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা এবং ক্বিয়াস। এগুলোর আলোকে অর্থাৎ ইসলামী শরীয়ার আলোকেই কোন ব্যক্তি বা জামায়াতের আমল আখলাক চরিত্র মূল্যায়িত হবে শুধুমাত্র ইতিহাসের আলোকে নয়। (চলবে)

-মুহম্মদ সালামাতুল্লাহ ইসলামাবাদী।

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬২

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২০ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল