আমাদের সরকারের ভারতমুখী নীতির বিষয়টি এখন সবার কাছেই স্পষ্ট। যদিও ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে ভারতের সংস্কৃতির প্রবেশ চলছে বেশ জোরেশোরে কিন্তু সম্মানিত শরীয়ত সম্মত ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহারে কাফির রাষ্ট্র ভারত এগিয়ে আর মুসলিম দেশ বাংলাদেশ পিছিয়ে। খোদ ভারতের UIDAI (Unique Identity Authority of India) কমিটিও স্বীকার করেছে এবং ঘোষণা দিয়েছে, শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে মুখের ছবির পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করা উত্তম। এই কমিটির সদস্যরা দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং উড়িষ্যা থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইমেজ সংগ্রহ করে গবেষণামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মতে এ পদ্ধতি ৯৯ ভাগ সঠিকভাবে কাজ করে।
সম্প্রতি অষ্ট্রেলিয়ার সিডনীতেও বোরখা পরিহিতা মহিলাদের শনাক্তকরণের সুবিধার্থে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য নীতিমালা গ্রহণ করার ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়েছে।
‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’- এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের উচিত, ৯৭ ভাগ অধ্যুষিত মুসলমানগণের দেশে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত বহির্ভূত সকল কাজ বাদ দিয়ে শরীয়তসম্মত পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটানো। ফলে শনাক্তকরণ পদ্ধতি, ব্যক্তিগত পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট এছাড়া আরও যেসব স্থানে ছবির ব্যবহার হচ্ছে সেখানে ছবি বাদ দিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটানো অতীব জরুরী।
এখন আমাদের দেশে দলীল নথিভুক্তকরণ অফিসে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে ছবি দেয়ার নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। পূর্বে দলীলে ছবির কোনো প্রয়োজন ছিলো না। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, সেই ব্রিটিশ সময় আঙ্গুলে কালি লাগিয়ে দলীলে ছাপ দেয়ার যেই প্রচলন ছিলো আজ অবধি সেই নিয়মের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
আরও দুঃখের বিষয় হচ্ছে যেখানে আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হয়, সেখানে পর্দার কোন পরিবেশ নেই। আর মহিলাদের জন্য আলাদা কোন মহিলাও নেই। একজন পুরুষ মহিলাদের হাত ধরে আঙ্গুলে কালি লাগিয়ে থাকে, নাউযুবিল্লাহ। সরকার কাগজে আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার অতি পুরোন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তির ফিঙ্গারপ্রিন্টের ডেটাবেইজ পদ্ধতি চালু করতে পারতো। এতে সম্পূর্ণ পর্দা রক্ষা করেই কাজ সম্পন্ন করা যেতো। আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) দেয়ার বিষয়টি অতি প্রয়োজনীয় বলে এখনো টিকে থাকলেও এর আধুনিকরণে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। বরং ছবির মত হারাম বিষয়ের সংযুক্তির কারণে পর্দানশীন মহিলাদেরও সম্পত্তি বেচাকেনার ক্ষেত্রে ছবি তুলতে হচ্ছে, ছবি জমা দিতে হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! সুতরাং সরকারের উচিত, ৯৭ ভাগ মুসলমানগণের দেশে ছবি তোলার মত শরীয়ত বহির্ভূত কাজ বাদ দিয়ে শরীয়ত সম্মত ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটানো।
-আবু রহিত
প্রসঙ্গ: গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার-৮
প্রসঙ্গঃ ভারতীয় মুম্বাই হাইকোর্টের রায় এবং স্বদেশের নামধারী আলিম সমাজ
এম.পি, মন্ত্রী হওয়াই যে উহাদের তথাকথিত ইসলামী রাজনীতির মূললক্ষ্য তাহা এখন সকলেই সমঝিয়াছে