কাফিরদের দেশে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে অথচ ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’- এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার ছবি’র পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহারে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না!

সংখ্যা: ২৪০তম সংখ্যা | বিভাগ:

কাফিরদের দেশে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে

অথচ ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের

বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’- এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার

ছবি’র পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহারে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না!

 


আমাদের সরকারের ভারতমুখী নীতির বিষয়টি এখন সবার কাছেই স্পষ্ট। যদিও ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে ভারতের সংস্কৃতির প্রবেশ চলছে বেশ জোরেশোরে কিন্তু সম্মানিত শরীয়ত সম্মত ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহারে কাফির রাষ্ট্র ভারত এগিয়ে আর মুসলিম দেশ বাংলাদেশ পিছিয়ে। খোদ ভারতের UIDAI (Unique Identity Authority of India) কমিটিও স্বীকার করেছে এবং ঘোষণা দিয়েছে, শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে মুখের ছবির পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করা উত্তম। এই কমিটির সদস্যরা দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং উড়িষ্যা থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইমেজ সংগ্রহ করে গবেষণামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মতে এ পদ্ধতি ৯৯ ভাগ সঠিকভাবে কাজ করে।

সম্প্রতি অষ্ট্রেলিয়ার সিডনীতেও বোরখা পরিহিতা মহিলাদের শনাক্তকরণের সুবিধার্থে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য নীতিমালা গ্রহণ করার ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়েছে।

‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’- এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের উচিত, ৯৭ ভাগ অধ্যুষিত মুসলমানগণের দেশে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত বহির্ভূত সকল কাজ বাদ দিয়ে শরীয়তসম্মত পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটানো। ফলে শনাক্তকরণ পদ্ধতি, ব্যক্তিগত পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট এছাড়া আরও যেসব স্থানে ছবির ব্যবহার হচ্ছে সেখানে ছবি বাদ দিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটানো অতীব জরুরী।

এখন আমাদের দেশে দলীল নথিভুক্তকরণ অফিসে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে ছবি দেয়ার নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। পূর্বে দলীলে ছবির কোনো প্রয়োজন ছিলো না। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, সেই ব্রিটিশ সময় আঙ্গুলে কালি লাগিয়ে দলীলে ছাপ দেয়ার যেই প্রচলন ছিলো আজ অবধি সেই নিয়মের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

আরও দুঃখের বিষয় হচ্ছে যেখানে আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হয়, সেখানে পর্দার কোন পরিবেশ নেই। আর মহিলাদের জন্য আলাদা কোন মহিলাও নেই। একজন পুরুষ মহিলাদের হাত ধরে আঙ্গুলে কালি লাগিয়ে থাকে, নাউযুবিল্লাহ। সরকার কাগজে আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার অতি পুরোন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তির ফিঙ্গারপ্রিন্টের ডেটাবেইজ পদ্ধতি চালু করতে পারতো। এতে সম্পূর্ণ পর্দা রক্ষা করেই কাজ সম্পন্ন করা যেতো। আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) দেয়ার বিষয়টি অতি প্রয়োজনীয় বলে এখনো টিকে থাকলেও এর আধুনিকরণে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। বরং ছবির মত হারাম বিষয়ের সংযুক্তির কারণে পর্দানশীন মহিলাদেরও সম্পত্তি বেচাকেনার ক্ষেত্রে ছবি তুলতে হচ্ছে, ছবি জমা দিতে হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! সুতরাং সরকারের উচিত, ৯৭ ভাগ মুসলমানগণের দেশে ছবি তোলার মত শরীয়ত বহির্ভূত কাজ বাদ দিয়ে শরীয়ত সম্মত ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটানো।


-আবু রহিত

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।