প্রসঙ্গ: কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামত-এর তথ্য

সংখ্যা: ২৪৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

প্রসঙ্গ: কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামত-এর তথ্য


অধুনা পুলিশী রাষ্ট্রের পরিবর্তে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণার প্রবর্তন হয়েছে। কিছুটা অনুশীলন হচ্ছেও বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু কল্যাণমূলক ধারণার প্রকৃত ব্যাপ্তি নির্দেশিত হয়েছে কুরআন শরীফ-এ। ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হে মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাদের দুনিয়াবী কল্যাণ দান করুন এবং পরকালীন কল্যাণ দান করুন।”

মূলত, পরকালীন কল্যাণের চেতনা সম্পৃক্ত না থাকলে কোনোদিন কোনোকিছুতেই দুনিয়াবী কল্যাণ সাধিত হয় না; হতে পারে না।

অপরদিকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের প্রধান অবদান হচ্ছে তথ্য অবগতি। অধুনা কল্যাণমূলক রাষ্ট্রগুলো ‘তথ্য অধিকার’ আইন পাস করেছে। যার সুবাদে প্রতিটি নাগরিককে সর্বোচ্চ তথ্য জানার অধিকারকে নিশ্চিত করা হয়। প্রকৃত অর্থে কথিত কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের এই তথ্য সেবা কিঞ্চিৎকর এবং অপূর্ণ। কথিত রাষ্ট্রে মৃত্যুর পর কাউকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। কিন্তু রাষ্ট্রীয় তথ্যে জানা যায় না যে, কবরে ওই সমাহিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে কি হচ্ছে বা না হচ্ছে?

অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে এ ধরনের তথ্য অবগতি বা তথ্য সমারোহ প্রচুর এবং অকাট্য; বরং এক্ষেত্রে মানুষ কি ধরনের গাফলতি অথবা নিষ্ক্রিয়তা পোষণ করে থাকে- তাও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

পবিত্র সূরা ‘আল গাশিয়াহ’ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(১) (হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার নিকট কি আচ্ছন্নকারী ক্বিয়ামতের সংবাদ পৌঁছেনি। অর্থাৎ আপনার নিকট আচ্ছন্নকারী ক্বিয়ামতের ইলম রয়েছে। (২) সেদিন অনেক মুখম-ল ভীত-সন্ত্রস্ত হবে। (৩) কার্যসম্পাদনকারী ক্লান্ত-শ্রান্ত হবে। (৪) তারা অত্যন্ত জ্বলন্ত ও উত্তপ্ত অগ্নিতে প্রবেশ করবে।”

পবিত্র সূরা ‘হুমাযাহ’ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(৫) আপনি কি জানেন- ‘হুতামাহ’ কি? অর্থাৎ আপনি তো জানেন- হুতামাহ কি। (৬) আল্লাহ পাক উনার প্রজ্জ¦লিত অগ্নি।”

পবিত্র সূরা ‘তাকাছুর’ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(১) আধিক্যের লালসা (দুনিয়ার লোভ) তোমাদেরকে (আল্লাহ পাক উনার থেকে) গাফিল করে রেখেছে। (২) যে পর্যন্ত না তোমরা কবরস্থান যিয়ারত কর অর্থাৎ ইন্তিকাল পর্যন্ত।”

পবিত্র সূরা ‘আল ক্বারিয়াহ’ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(১) আঘাতকারী বা ক্বিয়ামত। (২) আঘাতকারী বা ক্বিয়ামত কি? (৩) এবং আপনি কি জানেন, আঘাতকারী বা ক্বিয়ামত দিবস কি? অর্থাৎ আপনি জানেন আঘাতকারী বা ক্বিয়ামত দিবস সম্পর্কে। (৪) সেদিন বা যেদিন (ক্বিয়ামতের দিন) মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের ন্যায়। (৫) এবং পর্বতসমূহ হবে ধুনিত তুলা বা রঙিন পশমের ন্যায়। (৬) অতঃপর নেকীর পাল্লা ওজনে ভারী হবে। (৭) অতঃপর সে জীবনযাপন বা বসবাস করবে সন্তুষ্টির মধ্যে সন্তুষ্টচিত্তে। (৮) এবং অতঃপর নেকীর পাল্লা ওজনে হালকা হবে। (৯) অতঃপর তার আশ্রয়স্থল হবে ‘হাবিয়াহ’ দোযখে। (১০) এবং আপনি কি জানেন, উহা (হাবিয়াহ) কি? অর্থাৎ আপনি জানেন। (১১) ‘হাবিয়াহ’ হলো প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকু-।”

পবিত্র সূরা ‘আল আদিয়াত’ শরীফ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(৮) এবং নিশ্চয়ই সে (মানুষ) ধন-সম্পদের মোহে কঠিনভাবে মোহগ্রস্ত। (৯) তবে সে (মানুষ) কি জানে না যখন উত্থিত হবে কবরসমূহে যা কিছু রয়েছে। (১০) এবং তখন প্রকাশ করা হবে অন্তরে বা বক্ষসমূহে যা কিছু রয়েছে। (১১) নিশ্চয়ই তাদের মহান রব তায়ালা তিনি তাদের সেই কঠিন দিন সম্পর্কে পরিপূর্ণরূপে অবহিত আছেন।”

পবিত্র সূরা ‘যিলযাল’ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(১) যখন যমীনকে তার উপযুক্ত কম্পনে প্রকম্পিত করা হয় (২) এবং যমীন বের করে দিবে তার সমস্ত বোঝাসমূহ (৩) এবং মানুষ বলবে তার কি হলো? (৪) সেদিন যমীন তার (উপরে ঘটে যাওয়া) সমস্ত সংবাদ বর্ণনা করবে বা বলে দিবে।”

পবিত্র সূরা ‘আল লাইল’ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(১৪) অতঃপর আমি তোমাদেরকে ভয় প্রদর্শন করছি প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকু-সমূহের। (১৫) তাতে প্রবেশ করবে না বদবখত ও গুনাহগার ব্যক্তি ব্যতীত অথবা বদবখত ও গুনাহগাররাই তাতে প্রবশ করবে।”

পবিত্র সূরা ‘ফজর’ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(২৪) সে বলবে, হায় আফসুস! (আমার জন্য কতই না উত্তম হতো) যদি আমার এ হায়াত বা জীবনের জন্য অগ্রিম কিছু নেকী বা পাথেয় প্রেরণ করতাম। (২৫) অতঃপর সেদিন আল্লাহ পাক উনার শাস্তির ন্যায় কঠিন শাস্তি কেউই দিবে না বা দেয়ার কেউই নেই।”

এছাড়া ক্বিয়ামতের কঠিন অবস্থা বর্ণনা করে আরো নাযিল হয়েছে- পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ (৪৮), পবিত্র সূরা বনী ইসরাইল শরীফ (৫৮), পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ (৪৭, ৯৫-১০৪), পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ (১-২), পবিত্র সূরা রূম শরীফ (৪৩), পবিত্র সূরা ইয়াসীন শরীফ (৪৮-৫৪), পবিত্র সূরা সাফফাত শরীফ (১৯-২১), পবিত্র সূরা কাফ শরীফ (২০-২৯, ৪১-৪৪), পবিত্র সূরা যারিয়াহ শরীফ (১-১৪), পবিত্র সূরা তুর শরীফ (১-১২), পবিত্র সূরা নজম শরীফ (৫৭-৫২), পবিত্র সূরা কামার শরীফ (১-৮, ৪৬-৪৮), পবিত্র সূরা আর রহমান শরীফ (৩৭-৪০), পবিত্র সূরা হাক্কা শরীফ (১-৩), পবিত্র সূরা মায়ারিজ শরীফ (১-১৮), পবিত্র সূরা মুযাম্মিল শরীফ (১৭-১৯), পবিত্র সূরা ইমরান শরীফ (৩০, ১০৬-১০৯, ১৮৫), পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ (১৪), পবিত্র সূরা আনয়াম শরীফ (১২), পবিত্র সূরা হুদ শরীফ (১০৩-১০৮), পবিত্র সূরা নহল শরীফ, (২৭, ৮৪-৮৯, ৯২), পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ (৯৯-১০১), পবিত্র সূরা মরিয়ম শরীফ ৯৩-৯৬), পবিত্র সূরা মু’মিন শরীফ (১৫-১৮), পবিত্র সূরা জাসিয়া শরীফ (১৭, ২৪-৩৪), পবিত্র সূরা তাগাবুন শরীফ (৯-১০), পবিত্র সূরা ক্বিয়ামাহ শরীফ (১-৪০)।

এছাড়াও ক্বিয়ামতের দিন ক্ষতিগ্রস্তদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে- সূরা আনয়াম (৩১), সূরা আরাফ (৫৩), সূরা যুমার (১৫, ৩১), সূরা শূরা (৪৫)।

উল্লেখ্য, মিডিয়ার জগতে প্রথম হলো প্রিন্ট মিডিয়া। আর প্রিন্ট মিডিয়ার সুসংহত রূপ হলো কিতাব। আর ওহীক কিতাব পবিত্র ‘কুরআন’ শরীফ উনার মধ্যে প্রথমেই মহান আল্লাহ পাক তিনি কিতাবের কথা বলেছেন। উল্লেখ করেছেন- “এটা এমন এক কিতাব যাতে কোনো সন্দেহ নেই।” (সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ২)

অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন, “এ কিতাবে আমি শুকনা ও ভিজা কোনোকিছুই ইরশাদ করতে ছাড়ি নাই।”

প্রতিভাত হয় যে, ওহীক কিতাব পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যেই ক্বিয়ামত সম্পর্কে বিস্তারিত ও চূড়ান্ত সত্য তথ্য বর্ণিত হয়েছে। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি মুসলমান এই তথ্যের মুখোমুখি। তারপরেও যারা তা অস্বীকার করে ও অবজ্ঞা করে তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তবে কী উৎকৃষ্ট জিনিসের পরিবর্তে নিকৃষ্ট জিনিসই তোমাদের পছন্দ।”


-আল্লামা মুহম্মদ আরিফুর রহমান

সরকারের জন্য বিশ্লেষণ ‘জনকন্ঠের’ ‘বোরকাওয়ালী (তথা কথিত) হতে সাবধান’ হতে হলে বায়তুল মোকাররমে পাঁচ হাজার নারীর নামাযের ব্যবস্থা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা তা উদ্বোধনের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করতে হবে। বায়তুল মোকাররমকে জামাতী ও জঙ্গি বোরকাওয়ালীদের অভয়ারণ্য হতে দেয়া যাবে না। দিলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর কাড়ার সস্তা রাস্তা অবলম্বনের খাহেশ পরিহার করতে হবে সব মহলকেই।

        ইসলামের লেবাছে জামাতীরা প্রকাশ্যে ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যাচার করে        রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা করে যাচ্ছে। ওদের সবকিছুই মেকী।         টিপাইমুখী বাঁধের নামে জামাতী সমাবেশ পুরোটাই ছিল ভাড়া করা গু-া-       বদমায়েশ, শিবির ক্যাডারদের শোডাউন।         ‘স্বাধীনতা এনেছি’- জামাতীদের এ প্রকাশ্য ঘোষণা আল্লাহ পাক-এর        আরশ কাঁপাচ্ছে।         মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকার ও অবমাননা করা হচ্ছে।         দেশের পনের কোটি লোকের উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানো হচ্ছে।         কাজেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা সর্বোপরি পনের কোটি জনগণের       উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানোর দায়ে জামাতীদের অবিলম্বে শক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক        শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং আগামীতে জামাতীদের কোন ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি না দেয়া সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬১

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১০

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৯