হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৪০) তাসলীম-এর মাক্বাম হাছিল করা ব্যতীত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার উপর ইস্তিক্বামত থাকা সম্ভব নয় (৪)

সংখ্যা: ২৮১তম সংখ্যা | বিভাগ:

তাসলীম উনার মাক্বাম হাছিল না হলে আমল বরবাদ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে (২)

 

ইতায়াত বা অনুসরণ-অনুকরণ থেকে বিমুখ হলে নফসের দাসত্বে আবদ্ধ হতে হয়। ফলে কুফরী, শিরকিতে নিমজ্জিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। এমনকি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মুরতাদে পরিণত হতে পারে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

لَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَكَفَرْتُـمْ

অর্থ: তোমরা যদি তোমাদের মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সুন্নতকে পরিত্যাগ করো তাহলে অবশ্যই তোমরা কুফরীতে নিমজ্জিত হবে। (আবু দাউদ শরীফ, মুসলিম শরীফ, রিয়াদ্বুস সলেহীন)

অপর এক বর্ণনায় আছে-

لَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَضَلَلْتُمْ

অর্থ: তোমরা যদি তোমাদের মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সুন্নতকে ছেড়ে দাও তাহলে অবশ্যই গোমরাহীতে নিমজ্জিত হবে। (আবু দাউদ শরীফ, ইবনে মাযাহ শরীফ)

যেমনটি হয়েছিল বালয়াম বিন বাউর। সে ছিল বণি ইসরাঈলের একজন বিখ্যাত সাধক, দরবেশ। সে সাধনার জগতে শীর্ষ চূড়ায় উপনিত হয়েছিল। কিন্তু সে তাসলীমের মাক্বামের হাক্বীক্বতে পৌঁছতে পারেনি। ফলে সে তার যামানার মহাসম্মানিত রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ইতায়াত বা আনুগত্যতা ছেড়ে দেয়। সে গোমরাহীতে নিমজ্জিত হয়। লা’নতগ্রস্ত হয়। তিন শত বছরের সাধনালব্ধ নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হয়।

রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, বালয়াম বিন বাউর ছিলো বণী ইসরাঈল সম্প্রদায়ভুক্ত। সে কেনান অঞ্চলে বসবাস করতো।

সে সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার উপর নাযিলকৃত ছহীফাসমূহের আলিম ছিল।

সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক নির্দেশ প্রাপ্ত হলেন যে,  আমালিকা সম্প্রদায়ের সাথে জিহাদ করতে হবে। তাদের উৎখাত করে সেখানে বণি ইসরাঈলকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তিনি তখন বণী ইসরাঈলকে সাথে নিয়ে কেনান অঞ্চলে অবস্থান গ্রহণ করলেন। সেখানকার এক শহরে বসবাস করতো বিখ্যাত সাধক বালয়াম বিন বাউর। সে ইসমে আ’যম জানতো। তার সব দোয়াই কবুল করা হতো। কেনানের লোকেরা কোন উপায় অন্ত না পেয়ে বালয়াম বিন বাউরের দরবারে হাজির হলো। তাকে উদ্দেশ্য করে বললো, হে সাধক সরদার! আমরা মহাবিপদগ্রস্ত! সাইয়্যিদুনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বিশাল বাহিনী নিয়ে আমাদের রাজ্য আক্রমণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি আমাদের সবাইকে নাকি হত্যা করবেন। আপনার সাহায্য ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই। আপনি আমাদের পক্ষে যদি দোয়া করেন তাহলেই কেবল আমাদের জান-মাল রক্ষা  হবে। অন্যথায় আমাদের বাঁচার কোন পথ নেই।

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৩৭)

 ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৪৮)

 ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছারল ল মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৪৯)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫০)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার: মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫১)