ইমামুল আইম্মা, মুহইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ-নছীহত দুই/একবারও যারা শুনেছেন, তাঁর তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ দুই/এক সংখ্যাও যারা পড়েছেন তারা সবাই জানেন যে, সে মুবারক ওয়াজ ও পত্রিকার লেখনীর একটি মৌলিক কথা হচ্ছে, æবিধর্মী আদর্শ পরিত্যাগ করা।”
বলাবাহুল্য, এতদ্বপ্রেক্ষিতে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফে ছবি তোলা, গান্ধীর হরতাল করা, মাওসেতুং এর লংমার্চ করা, খ্রীষ্টান প্রোটেষ্ট্যান্টদের মৌলবাদ দাবী করা, ইহুদী-নাছারার ব্লাসফেমী আইন চাওয়া তথা গণতন্ত্র করা, নির্বাচন করা, কুশপুত্তলিকা দাহ করা ইত্যাদি সব হারাম ফতওয়া দেয়া হয়েছে।
অথচ সমসাময়িক নামধারী মাওলানা, মুফতী, মুহাদ্দিছ, খতীব, শাইখুল হাদীছ গং সবাই সেসব বিধর্মীয় কাজ তথা মুশরিক-পৌত্তলিকদের কাজই করে যাচ্ছে।
বলাবাহুল্য, আল বাইয়্যিনাত শরীফে বহু লেখালেখি তথা কুরআন-সুন্নাহ্র সুস্পষ্ট দলীল পেশ করার পরও যেহেতু তারা সেসব প্রকাশ্য বিধর্মীয়, বিদ্য়াতী কাজ ছাড়ছেনা বরং ইসলামের নামেই সেসব হারাম কাজ করে তাদের ধর্মব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সেহেতু নিতান্ত বাধ্য হয়েই আল বাইয়্যিনাত শরীফে তাদেরকে উলামায়ে ‘ছূ’ বলা হয়। পাশপাশি তারাও বাইয়্যিনাত শরীফের নাহক্ব সমালোচনা ও বিরোধিতা করে থাকে।
কিন্তু সত্য চাপা পড়ে থাকে না। অথবা মিথ্যা ঢাকা থাকেনা। কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, æসত্য এসেছে, মিথ্যা দূরীভূত হয়েছে। নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই মিথ্যা দূরীভূত হওয়ার যোগ্য।”
ঠিক তারই প্রতিধ্বনি দেখা গেলো একটি তথাকথিত ইসলামী জামায়াতের আমীর তথা তথাকথিত খতীবের স্বীকারোক্তিতে। পত্রিকান্তরে প্রকাশ তথাকথিত খতীব বলেছেন, æ… আমরা মুশরিকদের অনুসরণ করবো না। অন্যের কালচার, খ্রীষ্টানদের কালচার, সংস্কৃতি অনুসরণ করবো না। মুসলমান হিসেবে ইসলামের অনুসারী হতে হবে। .. ইসলামে ৩টি নববর্ষের কথা উল্লেখ আছে। এর একটি হলো, ঈসায়ী বর্ষ, যেটা খ্রীষ্টাব্দ হিসেবে চালু আছে।…” (দৈনিক মানবজমিন ১০-০৪-০৪)
পাশাপাশি তথাকথিত ইসলামী জামায়াতের মাওলানা আমীর বলেছেন, … æকিন্তু ইংরেজী যুগ থেকেই আমাদের দেশে শুরু হয়েছে ইসলাম বিরোধী, বিজাতীয় পৌত্তলিক সংস্কৃতির অন্ধ অনুসরণ ও অনুকরণ। আল্লাহ পাক আমাদের তাওফিক দান করুন যাতে বিজাতীয় পদ্ধতি থেকে আমরা আত্মরক্ষা করতে পারি। …” (দৈনিক সংগ্রাম ১৪-০৪-০৪)
বিজাতীয়-বিধর্মীয় অনুকরণ, অনুসরণ থেকে বেঁচে কুরআন-সুন্নাহ্র পথে চলাই মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফের লেখালেখি তথা ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর আহবান।
আর সে আহবানে আজকে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নতি স্বীকার করেছে, ইসলামের নামে বিজাতীয়, বিধর্মীয় রীতি অনুসরণকারী, হরতালকারী নির্বাচনকারী, কুশপুত্তলিকা দাহ্কারী তথাকথিত মাওলানা আমীর এবং তার সাথে ইহুদী-নাছারার আইন ব্লাসফেমী তলবকারী তথাকথিত খতীব।
অর্থাৎ অবশেষে তারা রাজারবাগ শরীফেরই অনিবার্যতা প্রতীয়মান করলেন। আল বাইয়্যিনাত শরীফের ফতওয়ারই সত্যতা প্রতিপাদন করলেন। আল বাইয়্যিনাত শরীফের কথাই উচ্চারণ করলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর মুজাদ্দিদীয়াতের প্রতিই অবনত হলেন। তারই তাজদীদ স্বীকারে বাধ্য হলেন। য
-মুহম্মদ মাছূর্মু রহমান, ঢাকা।
‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ