আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

সংখ্যা: ২০০তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদন: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী রজব ওয়া শা’বান ওয়া বাল্লিগনা রমাদ্বান” অর্থাৎ ‘আয় আল্লাহ পাক! আমাদেরকে রজব ও শা’বান মাসে বরকত দান করুন এবং রমাদ্বান শরীফ পর্যন্ত পৌঁছার তাওফিক দান করুন।’ এখন আমাদেরকে আরো সংযোগ করে বলতে হবে, দোয়া করতে হবে, “আয় আল্লাহ পাক! আমাদেরকে রমাদ্বান শরীফ ও যিলহজ্জ শরীফ-এ বরকত দান করুন আর রবীউল আউয়াল শরীফ পর্যন্ত পৌঁছার তাওফিক দান করুন।”
ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল তিনি আলী হাদীছ শরীফ-এর বরাত দিয়ে বিশেষ আলোচনা মজলিসে এ কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলত রবীউল আউয়াল শরীফ মাস হচ্ছে সব মাসের মূল বা সাইয়্যিদ। কেননা এ মাসেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ আনেন। আর রমাদ্বান শরীফ-এ শয়তান বন্দি থাকে। খাছভাবে রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল হয়। এ মাসে একটা নফল আমল করলে একটা ফরযের সমপরিমাণ, একটা ফরয আদায়ে সত্তরটা ফরয আদায়ের সমপরিমাণ নেকী হাছিল হয়ে থাকে। কিন্তু রবীউল আউয়াল শরীফ মাসে কী পরিমাণ রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল হয়, আমলের দ্বারা কী পরিমাণ নেকী হাছিল হয় সেটা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান মর্যাদা থেকে উপলব্ধি করতে হবে। হাক্বীক্বত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান মর্যাদা যেমন সীমাহীন অনুরূপ উক্ত মাসের এবং তার আমলের বদলাও সীমাহীন। কাজেই রমাদ্বান শরীফ-এর মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার দ্বারা আত্মশুদ্ধি লাভের মাধ্যমে এখন থেকেই রবীউল আউয়াল শরীফ মাসের তা’যীম-তাকরীম ও সম্মান করার এবং উক্ত সুমহান মাসের রহমত, বরকত, সাকীনা ও অবারিত নিয়ামত লাভের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
উল্লেখ্য, জিএমটি’র পরিবর্তে কেএমটি’র উদ্ভাবন মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যা মূলত মুসলমানদের গৌরবময় সোনালী ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং বিশ্বে মুসলিম কর্তৃত্ব, শাসন ও নেতৃত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এসব মূলত মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার বেমেছাল দয়া ইহসান এবং দোয়ার ফসল।
উল্লেখ্য যবন, ম্লেচ্ছ, বর্বর, হামান খ্যাত সারকোজিসহ পশ্চিমা সব বর্বর আর অসভ্যদের ইসলাম ধর্মের শেয়ার বা অনুষঙ্গ পর্দা বা বোরকার বিরুদ্ধে কথিত আইন প্রণয়নের হুজুগ শেষ হতে না হতেই সম্প্রতি ৯৬ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত পর্দা বা বোরকার বিরুদ্ধে রায় প্রদান করে কুফরী করেছে। এর সাথে যে পশ্চিমা বোরকা বিরোধীদের গভীর যোগসূত্র রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। অচিরেই এসব বোরকা বিরোধী বিচারকদের প্রকাশ্যে খালিছ তওবাসহ ক্ষমা প্রার্থনা করে উক্ত রায় প্রত্যাহার করে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন ইসলাম ধর্ম বিরোধী রায় দেয়া হবেনা মর্মে ঘোষণা দিতে হবে।
স্মর্তব্য, সম্প্রতি অ্যানথ্রাক্স নামে গরুর এক ধরনের রোগের কথা ব্যাপকহারে প্রচার করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এটা ইহুদী-খ্রিস্টান ও মুশরিকদের কুরবানী পূর্ববর্তী সুগভীর ষড়যন্ত্র। বিভিন্ন সময়ে এরা বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু নামে মুসলমানদের মাঝে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করে ফায়দা হাছিলের অপচেষ্টা করেছে। এর দ্বারা এদের মূল উদ্দেশ্য কুরবানীর মহান নিয়ামত থেকে মুসলমানদের মাহরূম করা।
এছাড়া রমাদ্বান শরীফ-এর বেজোড় রাত্রিসমূহে পবিত্র শবে ক্বদর পালন করা হয়। কায়িম মাক্বামে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত শাহযাদী উলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলী উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদের রাতে রাজারবাগ শরীফ সুন্নতী জামে মসজিদে সারারাত্রব্যাপী সামা শরীফ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে সদয় তাশরীফ আনেন এবং দোয়া-মুনাজাত পরিচালনা করেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রাজারবাগ শরীফ-এ দেশের প্রথম ঈদের জামায়াত সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়।
স্মর্তব্য, এ বছর ঈদের নামায পরবর্তী ছোহবতদানে ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার এবং খলীফাতুল উমাম, সাইয়্যিদুনা, আওলাদে রসূল হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার পাশাপাশি কুতুবুল আ’লম, সাইয়্যিদুনা আওলাদে রসূল হযরত শাহদামাদ উলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনিও তাশরীফ আনেন এবং মুবারক সাক্ষাৎ দানে মুরীদগণকে ধন্য করেন।
উল্লেখ্য, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর পরিচালনায় জেলা ও স্থানীয় আনজুমানের ব্যবস্থাপনায় রাজধানীসহ দেশব্যাপী প্রায় দশ হাজার ইফতার মাহফিলের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। প্রত্যেক জেলায় সুষ্ঠুভাবে এসব ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমান আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ