আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী উনার প্রতি অপবাদকারী যালিম গং নিঃসন্দেহে গুমরাহ, বাতিল, লা’নতপ্রাপ্ত, জাহান্নামী ও সুন্নী নামের কলঙ্ক রেজাখানীরা আয়নায় নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখে নিক ॥ ইসলামী শরীয়া উনার আলোকে একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা-১৫

সংখ্যা: ২২১তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্মানিত বুযুর্গ মাতা-পিতা রহমাতুল্লাহি আজমাঈন

যুগের ইমাম, আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি উনার মহা-সম্মানিতা আম্মাজান উনার দিক হতেও সাইয়্যিদী খান্দানী কুরাঈশী। সুবহানাল্লাহ! উনার সুমহান সীরত মুবারক আলোচনার এক বর্ণনাতে উনার মহা-সম্মানিতা আম্মাজান উনার নাম মুবারক লিখা হয়েছে- সাইয়্যিদাতুনা বিবি আফিয়া রহমতুল্লহি আলাইহা। সুবহানাল্লাহ! বলাবাহুল্য যে, উত্তরাধিকার সুত্রেই এই মহান সাইয়্যিদী খান্দানের পূত:পবিত্রা মহিলা উনারা ইলমে শরীয়ত এবং ইলমে তরীকত উভয় ইলমে ছিলেন সমান পারদর্শী অভিজ্ঞতাসম্পন্না। যার ফলে উনাদের বরকতময় আওলাদগণ দ্বীনি ইলম উনার শিক্ষা দীক্ষার প্রাথমিক তা’লীম গ্রহন করতেন উনাদের সম্মানিতা মাতা উনাদের থেকেই। যুগের ইমাম, আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনিও উনার মহা-সম্মানিতা আম্মাজান রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার থেকে প্রথম দ্বীনি ছবক লাভ করেন। এই মহান খান্দানী পরিবারের মায়েরা উনাদের বুযুর্গ শিশুদের দুধ পান করানোর সময় থেকেই জিহাদী জজবাহ দান করে ঘুম পাড়ানির কাছিদা শরীফ পাঠ করতেন। এমনি একটি কাছিদা শরীফ উনার ছন্দ ইতিহাসে খুবই মাশহুর। সেটি হলো- “এলাহী তুজেভি শাহাদাত নদীব-ইয়া আফজাল ছে আফজাল এবাদাত নছীব”। সুবহানাল্লাহ!

দ্বীন ইসলাম উনাকে বুলন্দ  রাখার জিহাদী প্রেরনা তিনি শৈশবকালে উনার মহা-সম্মানিতা বুযুর্গ আম্মাজান রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার থেকেই লাভ করেন। এ প্রসঙ্গে “সীরাতে সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি” নামক প্রসিদ্ধ কিতাবসহ আরো অনেক কিতাবে একটি ঘটনা উল্লেখ করে লিখা হয়েছে-“দুনিয়াতে এমন মায়ের সংখ্যা খুবই কম যারা স্বীয় পুত্রের জীবন উৎসর্গের পরীক্ষায় কামিয়াবী অর্জন করেন এবং মৃত্যুবরণ করার জন্য তথা শাহাদাত লাভের বাসনায়  স্বীয় সন্তানকে স্বহস্তেই অগ্রসর করে দেন। আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনাকে খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক এমন এক মা দান করেছিলেন যিনি ছিলেন আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার কন্যা ও সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সু-মহান আম্মাজান হযরত আসমা রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনারই মিছদ্বাক। সুবহানাল্লাহ! “মানযুরা” নামক কিতাবে বর্নিত আছে- একদা মুসলমান ও হিন্দু মুশরিকদের সাথে ভীষন যুদ্ধ লেগে যায়। এই যুদ্ধে মুসলমান উনাদের পক্ষে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য অল্প বয়স্ক হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ আলাইহিস সালাম তিনি তুমুল আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু উনার খিদমতে নিয়োজিত ধাত্রী উনাকে কোনমতেই হুজরা শরীফ হতে বের হতে দিচ্ছিলেন না। এ সময় উনার বুযুর্গ আম্মাজান তিনি নামাযরত ছিলেন। হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি আম্মাজান উনার অনুমতি লাভ করার জন্য সালাম ফেরানোর অপেক্ষায় দ-ায়মান ছিলেন। অত:পর বুযুর্গ মাতা সালাম ফিরালে সব শুনে তিনি ধাত্রীকে নছীহত করে বললেন- “শুনুুন বিবি! আপনি আমার পুত্রকে অত্যধিক আদর মুহব্বত করেন এটা অবশ্যই ঠিক। তবে সেটা কখনোই আমার আদর মুহব্বত ¯েœহের সমান হতে পারে না। এটা আবদ্ধ রাখার সময় নয়, মুসলমান উনাদের সাহায্যে ঈমানদীপ্ত জজবায় জিহাদে বের হবার উপযুক্ত সময়। যান বাবা! আপনি খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র নাম মুবারক স্মরণ করে জিহাদে এগিয়ে যান। তবে খুবই সাবধান থাকবেন! আমি যাতে আপনাকে জিহাদ হতে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করতে না শুনি। তাহলে কিন্তু আমি আপনার চেহারা আর কোনদিনই দেখবো না। আর যদি দুশমনপক্ষ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে বেরিয়ে যাবার রাস্তা খুঁজতে থাকে এবং বলে যে, আমাদেরকে যেতে দিন তবে আপনি তাদেরকে চলে যেতে দিবেন।”

আল্লাহু আকবর! বুযুর্গ আম্মাজান উনার নছীহত মুবারক শুনে যখনি আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি উনার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে জিহাদের ময়দানে উপস্থিত হলেন দুশমন গং চিৎকার করে বলতে লাগলো, আমাদের রাস্তা ছেড়ে দিন, আমরা চলে যাব। আপনার প্রতি আমাদের কোন ক্ষোভ বিবাদ কোন কিছুই নেই, আপনার সাথে লড়তে আমরা মোটেও প্রস্তুুত নই। ওদের এমন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থায় আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি বুযুর্গ আম্মাজান উনার নছীহত মুবারক স্মরন করত: ওদেরকে পলায়নে কোন বাধা না দিতে মুজাহিদ সঙ্গী-সাথীদেরকে নির্দেশ দিলেন।

সুবহানাল্লাহ! কত কারামাতওয়ালী বুযুর্গ মহিলা ছিলেন যুগের ইমাম, আওলাদে রসূল আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার মহা-সম্মানিতা আম্মাজান রহমতুল্লাহি আলাইহা! সেটা এই একটি ঘটনা থেকেই সহজেই উপলব্ধি করা যায়।

– মুহম্মদ সালামাতুল্লাহ ইসলামাবাদী।

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১