নিকাহ বা বিবাহ করা খাছ সুন্নত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা করেছেন তাকেই খাছ সুন্নত বলা হয়। পূর্ববর্তী সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা নিসবাতুল আযীম শরীফ শান মুবারক গ্রহণ করেছেন। সাধারণ লোকদের ক্ষেত্রে যাকে নিকাহ বা বিবাহ বলে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং হযরত আহলি বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারকে তাকে ‘নিসবাতুল আযীম শরীফ” বলা হয়।
নিকাহ বা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি আদেশ মুবারক করেছেন। একইভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এ ব্যপারে তারগীব করেছেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
فَانْكِحُوْا مَا طَابَ لَكُمْ مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنٰى وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوْا فَوَاحِدَةً
অর্থ: তোমরা তোমাদের পছন্দমত দুইজন, তিনজন, চারজন নারীকে বিবাহ করো। তবে যদি আশঙ্কা করো যে, তাদের মাঝে সমতা রক্ষা করতে পারবে না, সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকেই বিবাহ করো।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩)
ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ بِالْبَاءَةِ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّه أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَّـمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّه لَه وِجَاءٌ
অর্থ: হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহ করার সামর্থ রাখো তারা যেন বিবাহ করে নেয়। কেননা ইহা দৃষ্টিকে অধিকতর সংযত করবে। ইজ্জত-আবরুর অধিকতর হিফাযতকারী হবে। আর যে ব্যক্তি বিবাহ করার সামর্থ্য রাখে না তার জন্য রোযা রাখা আবশ্যক। নিশ্চয়ই ইহা তার জন্য পবিত্রতার কারণ হবে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
হযরত মা’কাল ইবনে ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
تَزَوَّجُوا الْوَدُوْدَ الْوَلُوْدَ فَإِنِّـيْ مُكَاثِرٌ بِكُمُ الأُمَمَ
অর্থ: তোমরা আহালকে (স্বামী) মুহব্বতকারিণী ও অধিক সন্তান দানকারীনী নারীকে বিবাহ করো। কেননা ক্বিয়ামতের দিন অন্যান্য উম্মতগণের সামনে আমি তোমাদের (আমার উম্মতগণের) সংখ্যাধিক্যের উপর ফখর করবো। (আবূ দাউদ শরীফ, নাসায়ী শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَـمْ نَرَ لِلْمُتَحَابَّيْنِ مِثْلَ النِّكَاحِ
অর্থ: দাম্পত্য জীবনে আহাল-আহলিয়া পরস্পরের প্রতি যে গভীর মুহব্বত প্রতিষ্ঠিত হয়, তা অন্য কোন দুই ব্যক্তির মাঝে দেখতে পাওয়া যায় না। (ইবনে মাজাহ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَرَادَ أَنْ يَّلْقَى اللهَ طَاهِرًا مُطَهَّرًا فَلْيَتَزَوَّجِ الْحَرَائِرَ
অর্থ: হযরত আনস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি তাহির-মুতাহহার তথা পুত-পবিত্র অবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে সাক্ষাত করতে চায় সে যেন ভদ্র-সম্ভ্রান্ত মেয়ে স্বাধীনা নারী বিবাহ করে। (ইবনে মাজাহ শরীফ, মিশকাত শরীফ)