আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১০৭

সংখ্যা: ২১৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

হযরত মাওলানা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

 মুহইস সুন্নাহলক্বব মুবারক প্রসঙ্গে

 খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, হাকিমুল হাদীছ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার জিন্দাকৃত বা পূণঃ প্রচলন করা কতিপয় সুন্নতের বিবরণ:

চামড়ার দস্তরখানে খাবার খাওয়ার উপকারীতা

 চামড়ার দস্তরখানে খাবার খাওয়া সুন্নত। একটি সুন্নত পালন করলে একশত শহীদের ফযীলত লাভ হয়। আর একটি শহীদের ছওয়াব হচ্ছে বিনা হিসেবে জান্নাত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন  “যে ব্যক্তি ফিৎনা-ফ্যাসাদের যামানায় আমার একটি সুন্নতকে আঁকড়িয়ে ধরে রাখবে সে একশত শহীদের ছওয়াব লাভ করবে।

তিনি আরো বলেন,  “যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে মুহব্বত করলো সে যেন আমাকেই মুহব্বত করলো। আর যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করবে সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।

এছাড়াও ইমাম-মুজতাহিদ এবং আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা দস্তরখানে খাবার খাওয়ার ফযীলত-বুযুর্গী ও সম্মানের আরো অনেক দিক উল্লেখ করেছেন।

 “আনিসুল আরওয়াহকিতাবে উল্লেখ রয়েছে- হযরত খাজা উসমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে একবার সাদা দস্তরখানে খাবার দেয়া হলো। তিনি বললেন, খয়েরী রং এর দস্তরখান নিয়ে আসুন। তার উপর খাবার রেখে খাওয়া হবে। কেননা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাঞ্চার মধ্যে খাবার রেখে খুব কম সময়েই খেয়েছেন। যদি মেহমান আসতো তখন তিনি মেহমানদারি করতেন খয়েরী রঙের দস্তরখানে। জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার দস্তরখানও খয়েরী রঙের ছিল এবং সেটা আসমান থেকে অবতীর্ণ হয়েছিল। যে ব্যক্তি খয়েরী রঙের চামড়ার দস্তরখানে খাবার খাবে তার প্রতি লোকমার প্রতিদানে একশ ছওয়াব পাবে এবং বেহেশতের ১০০টি দরজা তার জন্য নির্ধারিত হবে। সে ব্যক্তি বেহেশতে সবসময়ই জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত ঈসা আলাইহিস সালামসহ অন্যান্য নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাজার হাজার সালাম ও দোয়া লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি খয়েরী রঙের চামড়ার দস্তরখানে কোন গরীব-দুঃখীকে খাবার খাওয়াবে তার জন্য শ্রেষ্ঠ প্রতিদান তার আমলনামায় লেখা হবে এবং যখন রুটি খাওয়া শেষ হবে তখন আল্লাহ তায়ালা তার সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন। চামড়ার দস্তরখানে খাবার খাওয়া হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সুন্নত এবং এই সুন্নত অন্যান্য আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও ছিল।

হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি কখনো চামড়ার দস্তরখানে খাবার না রেখে আহার করতেন না। এরপর তিনি কসম খেয়ে বর্ণনা করেন, কসম সেই আল্লাহ পাক উনার, যাঁর কুদরতী হাত মুবারক-এ আমার প্রাণ মুবারক রয়েছে, যে ব্যক্তি খয়েরী রঙের চামড়ার দস্তরখানে রুটি খাবে সে এক ওমরা ও এক হজ্জের ছওয়াব পাবে। এক হাজার ক্ষুধার্তকে পেট ভরে আহার করানোর ফযীলত পাবে। সে ব্যক্তি এত বেশি ছাওয়াব লাভ করবে যেন আমার উম্মতের মধ্যে হাজার বন্দীকে মুক্ত করালেন। যে ব্যক্তি সবসময় খয়েরী রঙের চামড়ার দস্তরখানে আহার করতে থাকবে রোজ হাশরে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তার জন্য বেহেশতী পোশাকসহ বোরাক নিয়ে আসবেন, বোরাকের উপরে আরোহন করিয়ে এবং পোশাক পরিয়ে বেহেশতে নিয়ে যাবেন। যে ব্যক্তি কোন মেহমানকে খয়েরী রঙের চামড়ার দস্তরখানে আহার করাবে, সে প্রতিটি দানা (যা সে মেহমানকে খাওয়াবে) প্রতিদানে সে হাজার হাজার নেকি পাবে। এরপর তিনি ইরশাদ করেন, আমি আমার শায়েখ হযরত খাজা হাজী শরীফ জিন্দানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুখে শুনেছি, তিনি বলেছিলেন, যে ব্যক্তি খয়েরী রঙের চামড়ার দস্তরখানে খানা খাবে এবং খাওয়াবে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে রহমতের নজরে দেখবেন এবং বেহেশতের হাজারটি প্রকোষ্ঠ তাকে দান করবেন। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য যে, দস্তরখানের ডান দিকে লবন দানী বাম দিকে পানি পানের পেয়ালা এবং সামনের দিকে তরকারীর বাটি, খাবারের বাটি ইত্যাদি রাখা আদব বা তরতীব। দস্তরখান পা দিয়ে মাড়ানো কিম্বা দস্তরখানের উপর দিয়ে চলাচল করা চরম বেয়াদবী। দস্তরখানে হাত মুছাও সুন্নতের খিলাফ। দস্তরখানে কোন খাবার পড়ে গেলে তা তুলে খেতে হবে। মুজাদ্দিদে আযম, গাউছুল আযম, হাবীবে আযম, আওলাদে রসূল মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেছেন-  “যারা দস্তরখানে পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাবে তাদের কখনো খাদ্যের অভাব হবেনা।সুবহানাল্লাহ! দস্তরখান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সুন্নত।

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৬

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৭

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৮

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৯

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৯০