আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, তামাম বাতিল রহে পদতলে-১১২

সংখ্যা: ২২৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

টালমাটাল,

বাংলাদেশের মসনদ নিয়ে সবে আজ বেসামাল।

রহে ফিতনা ফ্যাসাদ ঝগড়া-বিবাদ কলহেই উত্তাল,

শান্তি সাম্য ইনসাফ আহা রহে রহে পয়মাল।

আজ পদ ও খ্যাতি সম্পদ পেতে বেপরোয়া রাজনীতি,

জোর যার মুল্লুক তার ফ্যাসিবাদী মাতামাতি।

নিরীহ ভদ্র সুশীল শালীন কেঁদে কেঁদে হয়রান,

ধর্ম-কর্ম শরমে লুকায়ে চাহে যে পরিত্রাণ।

জয় জয় ধ্বনি যায় শোনা যায় সন্ত্রাসী হায়েনার,

গু-ামীসহ ফাজলামি করে বেলাহাজে একাকার।

ধোঁকাবাজি আজ মিথ্যা মৌজে জোরালো হচ্ছে বাজি,

অস্ত্র ও টাকায় ফায়দা লুটিছে ধুরন্ধরেরা আজি।

চির সবুজের বাংলাদেশে,

হচ্ছে কী হায় সর্বনেশে।

নিঃশেষে রাখে হর্ষে বর্ষে গচ্ছিত শান মান,

নাতিশীতোষ্ণ নয়নাভিরাম দেশে আজ পেরেশান।

গণতন্ত্রভিত্তিক রাজনৈতিক বৃহৎ দুইটি দল,

আর বাকী সব পাতির খাতায় করছেই টলমল।

অরাজকতার বিষাক্ত কীট সবুজের দেশে এনে,

গণতন্ত্রের নামে ধ্বংস করিছে তাগুতের আবাহনে।

গণতন্ত্রের হিং¯্র থাবায় দেশকে আহত করে,

গণতন্ত্রের ঘৃণ্য চাওয়ায় দলকে রাখিল ফেরে।

হায় হরতাল লংমার্চসহ ককটেল বোমাবাজি,

নিত্যদিনের হচ্ছে তামাশা আহত নিহত রুজি।

জ্বালাও পোড়াও অফিস আদালত বাস ও রেলগাড়ি,

এটাই নাকি দাবি আদায়ের মোক্ষম কারবারি।

নেতা ও নেত্রী চুলো চুলিতেই দেশ নিল গোল্লায়,

দেশবাসী সবে বেতালে পড়েই করতেছে হায় হায়।

কহে দেশবাসী রহিয়াছি ফাঁসি দেখিনা উপায় আর,

পাবো নেতা নেত্রীরে দিলেই তেল কম বেশি উপহার।

নইলে মৃত্যু নির্ঘাত জানি ব্যত্যয় নেই এতে,

এই ধারণায় দেশ খান খান ধরছে মস্ত ভূতে।

রে বাংলার জনগণ!

আমি কবি তোরে বলছি উপায় শোনরে অবক্ষণ।

আমরা দেশের সাতানব্বই ভাগ সকলে মুসলমান,

এক আল্লাহ ও এক রসূলী আশিক অনুগতে উত্থান।

বাংলাদেশের পূর্ব পশ্চিমে তামাম দেশটি জানি,

জাগায় রাখছে পাঁচ ওয়াক্ত নূরী আযানের ধ্বনি।

মসজিদ আর মাদরাসাসহ খানকা ও মাহফিলে,

প্রবল জজবা বিরাজে হেথায় কোটি মু’মিনের ঢলে।

হচ্ছে ওয়াজ, হচ্ছে যিকির, হচ্ছে তা’লীম তরবিয়ত,

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ মীলাদ ক্বিয়াম সিয়াম যে অবিরত।

মহান খোদার পবিত্র দ্বীন ইসলাম মনোনীত,

ইহাই কেবল সত্য জানি বিশ্বাসী পরমিতি।

নেইরে অভাব নেইরে বাধা ইসলামী অনুগতে,

নেইরে ধাক্কা নেই তোয়াক্কা হক্কানী ইবাদতে।

দেখি সোনার দেশ বাংলাদেশ মুসলিমী তাল্লুক,

বিধর্মীদের নেই তোড়জোড়, ভয়ে নমঃ উল্লুক।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবে নতজানু কাতরায়,

তারা সংখ্যালঘুর অক্টোপাশেই দয়া দানে গুজরায়।

তাইলে কিসের চিন্তা মোদের ডর ভয় শূন্যে,

রে মুসলিম তাসলীম গ্রহ হতে হলে ধন্যে।

হায় তাগুতের জুজুবুড়ী ভয় লয় করে দিতে মোরা,

সাতানব্বই ভাগ মুসলিম সবে একরাহে রই খাড়া।

ওই ইসলামহীন সব তন্ত্রই রহে রহে পয়মাল,

ওরে ও মু’মিন লও চিনে লও ইসলামী ত্বলায়াল।

কেবল শান্তি, সাম্য দানিছেন ইসলামী খিলাফত,

কুরআন হাদীছে এই ফরমান ছহীহ মতে আলবত।

ওহে বাংলার মুসলমানেরা জেগে উঠো এইবার,

আপন মহিমা কর হে প্রকাশ সুযোগে বারবার।

নারী নেতৃত্ব নেইরে জায়িয শোন হে মুসলমান,

ফের অযোগ্য বলেই ঘোষিত রইছে বিলকুল ফাসিকান।

খলীফা হওয়ার যোগ্যতা রাখে শুধু যাঁরা মুত্তাক্বী,

সুন্নী আমলে উজ্জ্বল ওয়ালা ত্বহারাতে মিছদাক্বী।

সেই সে আমীর দেখ হে অধির শোন হে ঈমানদার,

খোঁজ খোঁজ সবে জাহিলের ভবে খিলাফতি সমাচার।

শোনো প্রশাসনি ঊর্ধ্ব ও অধ; বিজিবি সেনা ও পুলিশ,

তওবা করে আস হে ফিরে ছাড় হে তাগুতী শালিস।

শুনে নাও সবে শুভ সংবাদ কুরআন হাদীছী যোগে,

ওই খলীফায়ে আস সাফফাহ প্রকাশ বাংলা রাজারবাগে।

তিনি মুজাদ্দিদ আ’যম, গাউছুল আ’যম, ইমামে মুসলিমীন,

তিনি সাইয়্যিদ জাইয়্যিদে আলিম সমঝে মুখলিছীন।

ভেবে দেখ সবে বাংলাবাসীরা কঠিন ক্রান্তিকালে,

খোদায়ী ঈদ পাক মুজাদ্দিদ তিনিই যোগ্য হালে।

শোনো চৌদ্দশত পঁয়ত্রিশ হিজরী পহেলা মুহররম,

খিলাফতের ওই হোক সূচনা বাংলাতে উত্তম।

-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৫

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৬

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৭

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৯