আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে ওই তাগুতীরা রহে পদতলে-১২১

সংখ্যা: ২৩৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

মুহররম মাহিনা,

জানায়, বছর ঘুরেই এসে বার বার স্মরণীয় কাহিনা।

সৃষ্টি সওগাত হলো কায়িনাত মুহররম মাহিনায়,

হবে ক্বিয়ামত জানি আলবত এ মাহেই সহসায়।

 

এই পবিত্র মাসটির মাঝে আশুরা যে তাশরীফ,

ওই আশুরায় লাখো কাহিনায় মুছে ফেলে তাকলিফ।

আশুরা উনার পবিত্র কোলে দুলিছে হাজারো স্মৃতি,

অনন্ত উহা রহে রহে জারি হক্ব তালাশের প্রতি।

 

হায় বেখেয়াল তরে নহে বালাগাল, তলায়াল শুধু হক্বে,

খুঁজিয়া জানিয়া লইছে বুঝিয়া জ্ঞানীগণ একে একে।

কত মহত্ম, কত গুরুত্ব, আশুরার প্রতি খাতে,

দিয়ে আঞ্জাম দেন ইসলাম দিধা নেই কভু এতে।

 

হক্ব নাহক্বের তুমুল লড়াই, রহে আশুরায় গেঁথে,

রহমত আর বরকতি স্মৃতি উদগারে পথে পথে।

খুশি ও শোকের মহামিলনের একাকার এই মাস,

ওই জয় পরাজয় রহে অক্ষয় ইতিহাসে বিন্যাস।

 

শত শত নবী রসূলী ঘটনা এই মাহে পারাবার,

রহে জীবন্ত সমাচার আজও, পরীক্ষা পুরস্কার।

পবিত্র কুরআন করেন বয়ান শুরু হতে শেষ তক,

জ্ঞানীগণ উহা করিয়া যতন গ্রহিছেন বরহক্ব।

 

হাজারো লক্ষ খুশির খবর কেঁদে উঠে চিৎকারে,

একটি বিশাদ রহিছে আবাদ নিয়তি বক্ষ জুড়ে।

সেই সে বিশাদ রহিছে আযাদ ন্যায় নীতি আলবাবে,

যুগ যুগান্তর রহে বেহতর মানবীয় ইকলাবে।

 

সেই সে কঠিন কারবালা শোক ভুলে নাই মুসলিম,

তামাম পৃথিবী ছেড়ে আজগুবি বাস্তবে তাকছিম।

সত্যের তরে সাহসী রবি কারবালা আসমানে,

আজিও উদয়, অস্ত না রয়, হুঁশিয়ার সচেতনে।

 

ওই কাট্টা কাফির লা’নাতুল্লাহ মালউন ইয়াযীদ,

তার নির্মম পাশবিকতায় ভাঙ্গে ইনসানী নিদ।

ক্ষমতার মোহে নিজকেই দহে, জাহান্নামের কোলে,

রহেন পবিত্র পাক ইমামছু ছালিছ, অনন্ত উজ্জ্বলে।

 

ওই ইমামী লহুর প্রতিকণা আজও করতেছে আহ্বান,

শহীদি বদলা লও লও ওরে বিশ্ব মুসলমান।

পাক হাবীবী নয়ণি মনি, ইমামছু ছালিছ ও ছানী,

যুগযাগান্তর রহেন উরবর নেই এতে আর হানি।

 

জানি পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও সুন্নাহ সকল ছহী,

অক্ষয় তরে জান উজারেন জাররাও নেই ত্রাহি।

সেই সত্যের মূর্ত প্রতীক ইমামুছ ছালিছ নিজে,

পুরো পৃথিবী জাগায়ে রাখেন সত্যের রাহা ভেজে।

 

হায় অভাগা অথর্ব ওই কমজোর মু’মিনীন,

পরগাছা হয়ে রহিতেছে ভয়ে, মার খায় প্রতিদিন।

কুখ্যাত ওই ইহুদী নাছারা আপন গোত্র হতে,

সন্ত্রাসী নামের দল বানায়ে রাখতেছে উৎপাতে।

 

আল কায়েদা, আইএসএস, আরো যে কতনা নামে,

প্রতি মুসলিম দেশে দেশে তারা, রহিতেছে বদকামে।

ইয়াযীদি শিয়া ও বাহাইসহ, কাদিয়ানী ফিরকায়,

তামাম বিশ্বে ছড়াইয়া রহে, বিবিধের ফিতনায়।

 

ওহাবী, খারিজী, তাবলীগী আর দেওবন্দী মওদুদী,

উপমহাদেশে রহে ভেসে ভেসে আক্বীদা রাখছে কাঁদি।

সিরিয়া ইরাক কুর্দিস্তান থাই ফিলিস্তীন মায়ানমার,

আজ নির্মম ওই জুলমাতী গৃহে মুসলিম একাকার।

 

কিসের ঈমান আমল আক্বীদা? হায় সব ভণ্ডলে,

হযবরলের কোপানলে আজ গুজরায় ফ্যাল ফ্যালে।

আহা হাবীবী রওজা ভাঙ্গার তরে ওহাবী বাদশা ব্যাকুল,

বিশ্ব মু’মিন রহে গমগীন ক্রান্তি কাড়িছে দুকুল।

 

আতঙ্ক আর আহাজারী হায় মুসলমানেরে ঘিরে,

অট্টহাসিতে লুটোপুটি খায় বিদ্রুপী রাহু নীড়ে।

এহেন কঠিন নিদানী মঞ্চে, ইমাম খুঁজিছে সবে,

হায়, বড় চিন্তায় রহিছে সবায় জরুরী ফরয ভাবে।

 

ওই আল্লাহ মহান তিনি সুবহান, করুনাতে মু’মিনীন,

আপন মায়ায় রাখেন আটকায়, রহমানে আযীযিন।

আজ পনের শতক হিজরী আকাশে তমশার বুক চিড়ে,

মহান সূর্য উদয় জাহানে, আলোর ফোয়ারা ছুড়ে।

 

সেই সে সূর্য তুর্য নিলয়, ইমামুল উমাম তিনি,

মুজাদ্দিদে আ’যম রহমে আলম হাদীছে উনার বাণী।

ওই মহান ইমাম, দেন আঞ্জাম, তামাম বিশ্বব্যাপী,

ইত্তেসালের আল হিলালেই সমিরণ মাপি মাপি।

 

আল কাসিম উনার মিছদাক্ব হয়ে মুজাদ্দিদ মহানাজ,

পৃথিবী জুড়েই মু’মিনী হৃদয়ে, তিনি যে রণ বিরাজ।

তাওয়াজ্জুহ ফায়িয ইছলাহী নূরে, বেমিছাল মুর্শিদ,

নেতিয়ে পরা মুসলিম ধরে, জুঝে দেন তাকলিদ।

 

হাক্বীক্বী সুন্নত দেন আলবত, আঞ্জাম ও আক্বীদায়,

বিন্যাসে তিনি ফরয জানেন, বলে দেন ফতওয়ায়।

ওই সুন্নাহবিহীন জীবন অসার, কহেন পরিস্কার,

মু’মিনী আওয়াম এসো হে তামাম, বিকল্প নেই আর।

 

-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৯

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮০

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮১

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮২