ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৪ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২১৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

শিক্ষা জীবন

পূর্ব প্রকাশিতের পর

তারপর মনে হলো, হাদীছ শরীফ অন্বেষণে আত্মনিয়োগ করি। অবশেষে বুঝলাম, হাদীছ শরীফ-এর বিশাল ভা-ার একত্রিত করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আর একথা স্পষ্ট যে, হাদীছ শরীফ অন্বেষণে কম বয়সেই লেগে যেতে হয়। তদুপরি আমার আশঙ্কা হলো যে, এ বয়সে হাদীছ শরীফ সংগ্রহে মিথ্যা ও হিফযে বিভ্রাটের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত আমার উপর অভিযোগের পাহাড় গড়ে উঠবে।

তারপর আমি ইলমে ফিক্বাহ হাছিলের জন্য গভীরভাবে আত্মনিয়োগ করলাম। তাকরার (বারবার পঠন ও গবেষণা) হলো এ বিষয়ের মূল কথা। এ বিষয়ের মহিমা, শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রয়োজনীয়তা আমার নিকট বেশি মনে হলো। এতে কোন দোষত্রুটিও পরিলক্ষিত হলো না। আমি ভাবলাম ইলমে ফিক্বাহ আহরণের ক্ষেত্রে উলামায়ে কিরাম ও শায়েখগণ উনাদের মজলিসে গমন, উনাদের ছোহবত বা সান্নিধ্য লাভ এবং উনাদের মহান চারিত্রিক গুণাবলীতে নিজকে সাজানোর মতো বিরাট সৌভাগ্যলাভের সুযোগ সহজতর হবে। আমি এ সিদ্ধান্তে পৌঁছলাম যে, ফরয আদায়, ইক্বামতে দ্বীন, আল্লাহ পাক উনার গোলামীর প্রকাশ এবং ইহকাল ও পরকালে  কামিয়াবী অর্জন ইলমে ফিক্বাহ ব্যতীত কখনোই সম্ভবপর নয়। যদি কোন ব্যক্তি ইলমে ফিক্বাহের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ লাভ করতে চান, তবে তিনি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন দায়িত্বে সমাসীন হতে পারেন। আর যদি কেউ আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকির, রিয়াজত-মাশাক্কাতে তথা মা’রিফাত-মুহব্বত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি হাছিলে মগ্ন হতে চান তবে কেউ একথা বলার সাহস পাবেন না যে, লোকটি ইলিম হাসিল না করেই নিজকে ইবাদতে মশগুল করেছে; বরং বলবে যে, তিনি ইলমে ফিক্বাহ-এর একজন ধারক-বাহক ও ইলিম অনুযায়ী আমলকারী হক্কানী-রব্বানী আলিম।

ইমাম আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশিষ্ট ছাত্র হযরত ইমাম যুফার ইবনু হুযাইল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আমি ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলতে শুনেছি যে, আমি ‘ইলমে কালাম’ পড়তাম ও পড়াতাম। এমন কি আমি এ বিষয়ে বিশেষ খ্যাতি লাভ করলাম। আমার দর্সগাহ (আলোচনা গৃহ) হযরত ইমাম হাম্মাদ ইবনে সুলায়মান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দর্সগাহ থেকে বেশি দূরে ছিল না। একদিন একজন স্ত্রীলোক এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, এক ব্যক্তি একজন দাসী বিয়ে করলো এবং সে তাকে সুন্নতী পদ্ধতিতে তালাক দিতে ইচ্ছুক। সুতরাং সে তাকে কত তালাক দিবে? আমি বললাম, হযরত হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞাসা করুন এবং তিনি যে জাওয়াব দিবেন তা আমাকে অবহিত করবেন। মহিলাটি হযরত ইমাম হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি জাওয়াবে বললেন, স্বাভাবিক মাজুরতা থেকে পবিত্র হলে তার সাথে নির্জনবাস না করে তাকে এক তালাক দিবে। এরপর যখন তার দ্বিতীয় স্বাভাবিক মাজুরতা দেখা দিবে এবং তা থেকে পবিত্র হলে সে বাঁদী অন্য কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। মহিলা আমাকে এ ফতওয়াটি জানালেন। আমি বললাম, ‘ইলমে কালাম’-এর আমার কোন প্রয়োজন নেই। তারপর আমি নিজের স্যান্ডেল পরলাম এবং সরাসরি হযরত ইমাম হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দর্স গাহের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেলাম। আমি উনার প্রদত্ত মাসয়ালা শুনতাম এবং তা মুখস্থ রাখতাম। পরবর্তী সকালে পূর্ববর্তী দিনের মাসয়ালার তাকরার (পুনরাবৃত্তি) হলে আমি মাসয়ালাসমূহ হুবহু বলে দিতাম। কিন্তু উনার অপরাপর ছাত্রগণ কিছুটা ভুলও করতেন। কাজেই, হযরত ইমাম হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইহাও বলে দিলেন যে, মজলিসের প্রথম সারিতে হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ব্যতীত আমার সামনা সামনি কেউ বসবে না।”

উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, তিনি যুগের সকল বিষয়ের উপর গভীর পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং ব্যুৎপত্তি লাভ করেছেন। উপযুক্ত ও অত্যন্ত কল্যাণকর ইলিম অন্বেষণ বেছে নিয়ে তিনি তাতে বিশেষভাবে কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। আর এ কথা অনস্বীকার্য, ইলমে ফিক্বাহের প্রতি উনার অনুরাগ ও আকর্ষণ অপরাপর অত্যাবশ্যকীয় ইলিম হাছিলের পরই হয়েছিল।

আর একথা সুস্পষ্ট যে, কোন বিষয়ে গভীরভাবে জ্ঞান অর্জন করা তথা হাক্বীক্বতে পৌঁছা ব্যতীত এরূপ সিদ্ধান্ত নেয়া কখনোই সম্ভব নয়। উনার মতো মহান ব্যক্তিত্বের পক্ষেই তা সম্ভব হয়েছে। উনার এই মহান কৃতিত্বের জন্যই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার শানে বলেছেন-

لو كان الدين عند الثريا الذهب اليه رجل من ا ابناء فارس حتى يتناولوه.

অর্থ: “দ্বীন যদি সুরইয়া তারকার নিকট চলে যায় সেখান থেকে ফিরিয়ে আনবেন পারস্যবাসীদের একজন ব্যক্তিত্ব তথা ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি।” (তাফসীরে মাযহারী-৭/২৬৯)

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২৮

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২৯

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩০

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩১

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩২