কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত অনন্তকালব্যাপী জারিকৃত সুমহান পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল এবং জনৈক সালিকার একখানা স্বপ্ন

সংখ্যা: ২৪৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত অনন্তকালব্যাপী জারিকৃত

সুমহান পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল

এবং জনৈক সালিকার একখানা স্বপ্ন


১৪৩৫ হিজরী সনে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে ৫৮ দিনব্যাপী আযীমুশ শান মাহফিল উনার আয়োজন করা হয়। তন্মধ্যে ৩ দিন পবিত্র সামা শরীফ উনার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সামা শরীফ মাহফিল উনার মধ্যে জনৈক সালিকা একখানা স্বপ্ন দেখে। নিম্নে উনার ভাষায় আলোকপাত করা হলো:

সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ আক্বা ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনি যখন মাহফিল উনার শেষ পর্বে মক্ববুল মুনাজাত মুবারক করেছিলেন তখন আমি স্বপ্নটি দেখি। মুনাজাত মুবারক উনার একেবারে শেষ প্রান্তে উনি কাফির-মুশরিকদের ধ্বংসের জন্য এবং মুসলমান উনাদেরকে হিফাযতের জন্য, গায়েবী মদদ করার দোয়া মুবারক করছিলেন। এমতাবস্থায় আমার তন্দ্রাভাব চলে আসে। তখন আমি আমাকে একটি স্থানে দেখতে পাই। সেই সময়টা হলো রাত্রি। চাঁদের আলোতে সেই রাত্রির অন্ধকার উজ্জ্বল আলোতে পরিণত হলো। তখন আকাশে অবস্থান করছিলো অসংখ্য তারকারাজি; যেগুলো মিটমিট করে চারিদিকে নূর ছিটাচ্ছিলো। আমি আমার সামনে বিশাল একটা পাহাড়ের ন্যায় উঁচু স্তম্ভ দেখতে পাই। দেখি যে, সেই স্তম্ভের উপর কাতারে কাতারে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা দাঁড়িয়ে আছেন। উনারা সকলেই সুন্নতী কোর্তা, পাগড়ী, রুমাল পরিহিত। সেখানে আমি সাইয়্যিদুনা মামদূহ আক্বা ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মক্ববুল মুনাজাত মুবারক স্পষ্ট শুনতে পেলাম। তাই মুনাজাত মুবারক ধরে সম্মুখে অবস্থানরত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অবলোকন করছিলাম। দেখতে পেলাম, উনারাও হযরত মামদূহ আক্বা ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মক্ববুল মুনাজাত মুবারকে শরীক হলেন এবং উচ্চস্বরে ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলছিলেন। উনাদের কণ্ঠধ্বনিতে সমস্ত কায়িনাত কাঁপছিলো। অপরদিকে সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার দোয়া মুবারকও সমস্ত কায়িনাতে শোনা যাচ্ছিলো। তাই হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা কায়িনাতবাসীর নিকট ঘোষণা করলেন, হে কায়িনাতবাসী! তোমরা উনার দোয়া মুবারকে শরীক হও। তোমরা উনার মুবারক ছোহবতে চলে আসো। তাহলে তোমাদের জন্য রয়েছে কামিয়াবী। এবার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা হযরত মামদূহ আক্বা ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে লক্ষ্য করে দুটি আরবী বাক্য দ্বারা সম্বোধন করলেন। কিন্তু আরবী বাক্যগুলো আমার স্মরণে নেই। তবে বাক্যগুলোর মর্ম এই যে, হে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার হাবীব এবং হে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাবীব! আপনি শান্ত হোন, আপনি তো মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার তরফ থেকে মনোনীত ও মক্ববুল, ‘আপনি মক্ববুল’, ‘আপনি মক্ববুল’- এ বাক্যটি উনারা বারবার উচ্চারণ করছিলেন। হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আরো ঘোষণা করলেন, ‘আপনি এ যাবৎ যত দোয়া মুবারক করেছেন সমস্ত দোয়া মুবারক মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনি পূর্বেও কবুল করেছেন, এখনো কবুল করছেন এবং ভবিষ্যতে আপনি যা কিছু দোয়া মুবারক করবেন তা অবশ্য অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন কবুল করে নিবেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনি যতক্ষণ পর্যন্ত কাফির-মুশরিকদের ধ্বংসের জন্য এবং মুসলমান উনাদেরকে কুদরতীভাবে হিফাযতের জন্য দোয়া মুবারক করছিলেন ততক্ষণ পর্যন্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা উপরোক্ত কথা মুবারক ঘোষণা করছিলেন। সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার উপরোল্লিখিত বিষয়ে দোয়া মুবারক শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।


-আমাতুল্লাহ, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।