খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

সংখ্যা: ১৮৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

কাদিয়ানী রদ!

(ষষ্ঠ ভাগ)

(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খণ্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়)।

(ধারাবাহিক)

তৎপরে তিনি এবনো-মাজার হাদিছ উল্লেখ করিয়াছেন;

وكلهم اى المسلمون ببيت المقدس وامامهم رجل صالح قد تقدم ليصلى بهم اذ نزل عيسى فرجع الامام ينكص ليتقدم عيسى فيقف عيسى بين كتفيه ثم يقول تقدم فانها لك اقيمت.

“তাঁহাদের সমস্ত লোক অর্থাৎ মুছলমানগণ বয়তুল-মোকাদ্দাছে থাকিবেন, আর তাহাদের এমাম একজন নেক্কার লোক হইবেন, তাহাদের নামাজ পড়াইবার জন্য অগ্রগামি হইবেন, এমতাবস্থায় হযরত ইছা আলাইহিস্ সালাম নাজেল হইবেন। তখন এমাম পশ্চাতের দিকে ফিরিয়া আসিবেন যেন  হযরত ইছা আলাইহিস্ সালাম অগ্রগামি হন। ইহাতে ইছা আলাইহিস্ সালাম তাঁহার পশ্চাতে দাঁড়াইয়া বলিবেন, আপনি অগ্রগামি হউন, আপনাদের (এমামতের) জন্য এই নামাজের একামত দেওয়া হইয়াছে।”

তৎপরে তিনি মোছলেম শরিফের এই হাদিছটী রেওয়াএত করিয়াছেন;

فيقال له صل لنا فيقول لا ان بعضكم على بعض امراء تكرمة لهذا الامة.

তখন হযরত ইছা আলাইহিস্ সালামকে বলা হইবে, আপনি আমাদের জন্য নামাজ পড়ুন, ইহাতে তিনি বলিবেন, না, নিশ্চয় এই উম্মতের সম্মানের জন্য এই উম্মতের কতকলোক অন্যদিগের আমির হইবেন।

ছহিহ বোখারিতে আছে;

كيف انتم اذا نزل ابن مريم فيكم وامامكم منكم.

“কিরূপ তোমাদের অবস্থা হইবে, যখন তোমাদের মধ্যে হযরত মরয়েম আলাইহাস সালাম-এর পুত্র নাজেল হইবেন, অথচ তোমাদের এমাম তোমাদের (কোরাএশদের) মধ্য হইতে হইবে।”

এইরূপ ছহিহ মোছলেমের ১/৮৭ পৃষ্ঠায় আছে।

ছহীহ মোছলেমে আরো আছে;-

لاتزال طائفة من امتى يقاتلون على الحق ظاهرين الى يوم القيمة فينزل عيسى ابن مريم صلى الله عليه وسلم فيقول اميرهم تعال صل فيقول لا.

“সর্বদা আমার উম্মতের মধ্যে একদল সত্যের উপর প্রবল থাকিয়া কেয়ামত পর্য্যন্ত জেহাদ করিতে থাকিবেন, এমতাবস্থায় ইছা আলাইহিস্ সালাম নাজেল হইবেন। তখন তাহাদের আমির বলিবেন, আসুন, নামাজ পড়ুন ইহাতে তিনি বলিবেন, না।”

কাদিয়ানী দলের মানিত মোজাদ্দেদ মোল্লা আলি কারি মেরকাতের ৫/২২২ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন;

وامامكم منكم اى من اهل دينكم وقيل من قريش وهو المهدى.

“তেমাদের এমাম তোমাদের মধ্য হইতে হইবেন, ইহার অর্থ-তোমাদের ধর্ম্মাবলম্বী হইবেন কিম্বা কোরএশ সম্প্রদায় ভুক্ত হইবেন, তিনিই মাহদী হইবেন।” (চলবে)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৬

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

আশ্চর্য হলেও সত্য যে সব যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারাই মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম বিরোধী । ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’ এ প্রতিশ্রুতির সরকারের কাছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এ দাবি- অবিলম্বে দেশ থেকে মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম বিরোধী সব মাওলানা নামধারীদের বহিষ্কার করা হোক ।