চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩০

সংখ্যা: ১৮৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

বর্তমান সংখ্যার আলোচনা: চাঁদ বড় দেখা গেলেই তা দ্বিতীয় দিনের চাঁদ নয়।

আরবী মাসের ২৯তম দিনে আমরা কখনো সূক্ষ্ম চিকন চাঁদ এবং কখনো বড় আকারে চাঁদ দেখতে পাই। অনেকের ধারণা কোন মাসের ২৯তম দিনে চাঁদ বড় আকারে দেখা গেলে সম্ভবত তা দ্বিতীয় দিনের চাঁদ। প্রকৃতপক্ষে তা প্রথম দিনেরই চাঁদ। একটু আলোচনা করলেই আমরা তা বুঝতে পারবো।

আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি ১৫ ঘণ্টার কম বয়সের চাঁদ কখনো দেখা যায় না। পৃথিবীতে ১৫-১৬ ঘণ্টার চাঁদ দেখার ঘটনাও খুব বিরল। সাধারণত ১৭-২৩ ঘণ্টার চাঁদ দৃশ্যমান হয়। ধরে নেই কোন মাসের ২৯তম দিনে চাঁদের বয়স ছিল ১৬ ঘণ্টা। কিন্তু চাঁদ দৃশ্যমান হয়নি। ফলে চাঁদটি দেখা যাবে পরের দিন যখন চাঁদের বয়স ১৬+২৪=৪০ ঘণ্টা। কিন্তু এই ৪০ ঘণ্টার চাঁদ দেখার পর নতুন আরবী মাসের প্রথম তারিখ শুরু হবে, দ্বিতীয় তারিখ নয়। একটি হাদীছ শরীফ রয়েছে যা থেকে বিষয়টি আরও স্পষ্ট বোঝা যাবে। হযরত আবুল বকতারি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “একবার আমরা ওমরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে নকলা এলাকার কাছে গিয়ে পৌঁছলাম। আমরা নতুন চাঁদ দেখার চেষ্টা করলাম। কেউ বললেন, এটি তৃতীয় দিনের চাঁদ, কেউ বললেন, দ্বিতীয় দিনের চাঁদ। আমরা সবাই হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর সাথে দেখা করলাম এবং বিষয়টি অবহিত করলাম। তিনি আমাদের প্রশ্ন করলেন, আমরা কবে তা দেখতে পেয়েছি। আমরা জানালাম, আমরা ঐ তারিখে দেখতে পেয়েছি। তিনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক-এর হাবীব নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যেদিন থেকে চাঁদ দেখা যাবে সেদিন থেকে গণনা শুরু হবে।”

অনেক সময় চাঁদের রং সাদা এবং কখনো কমলা রংয়ের দেখা যায়। চাঁদের রং দেখেও কোন দিনের চাঁদ তা বোঝা সম্ভব নয়। সাধারণত বাতাসের চাপ, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, পারিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে চাঁদের রং। সুতরাং যে কোন মাসে যে কোন রংয়ের চিকন বা মোটা চাঁদ দেখা যেতে পারে। চাঁদ বড় হলেই তা দ্বিতীয় দিনের চাঁদ নয়।

বিশ্বের জন্য ১৪৩০ হিজরীর পবিত্র

রমাদ্বান মাসের চাঁদের রিপোর্ট:

জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ২০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার, ২০০৯, সকাল ১০টা ২ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী)

অমাবস্যার দিন সউদী আরবে পবিত্র রমাদ্বান মাসের চাঁদ দেখার কোন সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশের জন্য ১৪৩০ হিজরীর

পবিত্র রমাদ্বান মাসের চাঁদের রিপোর্ট:

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ২০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ২ মিনিটে।

বাংলাদেশে পবিত্র রমাদ্বান মাসের চাঁদ খুঁজতে হবে ২১ আগস্ট, শুক্রবার সন্ধ্যায়। সেদিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৬টা ২৭ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ৬টা ৫৯ মিনিটে। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্ত রেখার প্রায় ৭.১৯ ডিগ্রী উপরে অবস্থান করবে। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে চাঁদ তালাশ করতে হবে। তবে দেখা যাবার সম্ভাবনা কম।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৬

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

আশ্চর্য হলেও সত্য যে সব যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারাই মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম বিরোধী । ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’ এ প্রতিশ্রুতির সরকারের কাছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এ দাবি- অবিলম্বে দেশ থেকে মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম বিরোধী সব মাওলানা নামধারীদের বহিষ্কার করা হোক ।