চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৪০

সংখ্যা: ২০০তম সংখ্যা | বিভাগ:

বর্তমান সংখ্যার আলোচনা: ইহুদীদের মদদপুষ্ট হয়ে এবং সউদী ওহাবী শাসকগোষ্ঠীর অর্থে সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে সারা বিশ্বে একটি হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণের অলীক স্বপ্ন নিয়ে একটি ভুঁইফোঁড় সংগঠন সারা দেশে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

জবধষ ঐরুৎর ঈধষবহফধৎ ওসঢ়ষবসবহঃধঃরড়হ ঈড়ঁহপরষ ইধহমষধফবংয  নামে এই সংগঠনটি সারা বিশ্বে একটি হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণের পক্ষে নানা প্রচারণা চালাচ্ছে। সারা বিশ্বে একটি হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণের পক্ষে (অর্থাৎ সারা বিশ্বে একদিনে ঈদ পালন করার পক্ষে) তারা ৯০টি খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করিয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে তাদের বর্ণিত শরীয়তের খিলাফ এই মনগড়া যুক্তির শরীয়তসম্মত এবং সঠিক মতামত প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ। যেন সাধারণ মুসলমানগণ চাঁদের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তিতে না পড়ে। তারা লিখেছে-

পূর্ব প্রকাশিতের পর

১৯. অনুবাদ: রমাদ্বান মাসে ২৭-২৮টি অথবা ৩১-৩২টি রোযা পালন করার কোন সুযোগ নেই।

২০. অনুবাদ: ঈদের দিনে রোযা পালন করা হারাম এবং সারা পৃথিবীতে ক্বদরের রাত একটি।

১৯ নম্বর মন্তব্যের জবাব: দুঃখজনক হলেও সত্য অনেক তথাকথিত মুসলিম দেশ রয়েছে যারা মাস গণনাতে ক্যালকুলেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে। যেমন- লিবিয়া, মালয়েশিয়া ইত্যাদি। আবার অনেক দেশ রয়েছে যারা চাঁদ দেখার আয়োজনের কথা প্রচার করলেও বাস্তবে দেখা যায় চাঁদ না দেখে এবং প্রয়োজনে মিথ্যা সাক্ষী যোগাড় করে আরবী মাসের তারিখ ঘোষণা করে। উদাহরণে রয়েছে- সউদী আরব, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া ইত্যাদি। সুতরাং যেদিন প্রকৃতপক্ষে মাস শুরু হবার কথা তার ১ দিন কখনো ২ দিন পূর্বে এদেশগুলো মাস শুরু করে। ফলে সে দেশগুলোর মুসলমানগণ বাস্তবে ২৯টি বা ৩০টি রোযা রাখলেও আদায় হবে মাত্র ২৭টি বা ২৮টি।

তাহলে বলতে হবে শরীয়তে ২৭ বা ২৮টি রোযার রাখার কোন নির্দেশ না থাকলেও উলামায়ে ছূ’দের প্ররোচনায় এবং বিভ্রান্ত শাসকদের মনগড়া সিদ্ধান্তের কারণে বিভিন্ন মুসলিম দেশে ২৭-২৮টি রোযা পালিত হচ্ছে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে চাঁদ না দেখে আরবী মাস শুরু করা। সুতরাং তথাকথিত ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের নিকট অনুরোধ সউদী আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দেনেশিয়া, লিবিয়া, মিসর, নাইজেরিয়া এসব দেশের ঘোষিত চাঁদের তারিখ নিয়ে গবেষণা করুন; তখনই এর সত্যতা উপলব্ধিতে আসবে। মুসলিম দেশ বলেই আবেগতাড়িত হবার কিছু নেই। এসব দেশে রয়েছে ইহুদীদের অনুচর যারা সুকৌশলে মুসলমানগণের ঈমান-আক্বীদা নষ্টে ব্যস্ত রয়েছে।

২০ নম্বর মন্তব্যের জবাব: শরীয়তে রয়েছে ৫ দিন রোযা রাখা হারাম। ২ ঈদের দিন এবং কুরবানীর ঈদের পরের ৩ দিন। সেদিক থেকে অবশ্যই ঈদের দিন রোযা পালন করা হারাম। কিন্তু তথাকথিত ইঞ্জিনিয়ার সাহেব যা বোঝাতে চাচ্ছেন তা হচ্ছে সউদী আরব বা অন্যকোন দেশ যখন প্রথম চাঁদ দেখে ঈদ পালন করবে তখন অন্য কোন দেশ শাওওয়ালের চাঁদ না দেখলেও তাদেরকে ঈদ পালন করতে হবে। নাঊযুবিল্লাহ! অর্থাৎ তিনি ইঙ্গিত দিচ্ছেন ‘ওয়াহদাতাল মাতলার’ উপর। ওয়াহদতাল মাতলার বিষয়টি হচ্ছে পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সে চাঁদ দেখার হুকুম সারা বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য হবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই মত শরীয়তসম্মত নয়।

অর্থাৎ এ আলোচনা থেকে যা স্পষ্ট তা হচ্ছে সউদী আরব বা অন্যকোন দেশ চাঁদ না দেখে বা কখনো চাঁদ দেখেই ঈদ পালন করলে অন্য কোন দেশ যেমন বাংলাদেশ যদি চাঁদ দেখতে না পায় তবে তাদের ঈদের দিনেও বাংলাদেশের মুসলমানগণ রোযা রাখতে পারবে এবং এটাই শরীয়তের নির্দেশ। সুতরাং কোন দেশে ঈদ পালন শুরু হলেই অন্য দেশ রোযা রাখতে পারবে না এ ধারণাটি সঠিক নয়। সবশেষে তথাকথিত ইঞ্জিনিয়ার যা বলেছে, সারা পৃথিবীতে ক্বদরের রাত একটি- এ বিষয়টি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। কোনস্থানে রমাদ্বান মাসের চাঁদ দৃশ্যমান হবার পর সে দেশের পশ্চিমের সকল দেশগুলোতে আকাশ পরিষ্কার থাকলে এবং চাঁদ দেখা গেলে পর্যায়ক্রমে ক্বদরের রাত সকল দেশেই আসতে থাকবে। কিন্তু কোন একটি দেশের আকাশ মেঘলা থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে সে দেশে ক্বদরের রাতটি পরিবর্তিত হবে। এবং এটা মনে করার কোন সুযোগ নেই যে এই ভিন্ন তারিখের জন্য মহান আল্লাহ পাক রহমত, বরকত পাঠাতে সক্ষম নন বা পাঠাবেন না। নাঊযুবিল্লাহ! কেননা মহান আল্লাহ পাক যখন ইচ্ছা তখনই রহমতে খাছ নাযিল করতে পারেন এবং করেন।

 

বিশ্বের জন্য ১৪৩১ হিজরীর পবিত্র

শাওওয়াল মাসের চাঁদের রিপোর্ট

 

জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০১০, বুধবার,  সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী)।

অমাবস্যার দিন সউদী আরবে পবিত্র শাওওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাবার কোন সম্ভাবনা নেই।

 

বাংলাদেশের জন্য ১৪৩১ হিজরীর পবিত্র

শাওওয়াল মাসের চাঁদের রিপোর্ট

 

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ০৮ই সেপ্টেম্বর, ২০১০, বুধবার বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে।

বাংলাদেশে পবিত্র শাওওয়াল মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০১০, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।

সেদিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৬টা ৯ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ৬টা ৩৪ মিনিটে। অর্থাৎ সূর্যাস্ত এবং চন্দ্রাস্তের সময়ের পার্থক্য ২৬ মিনিট। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্তরেখার প্রায় ৬ ডিগ্রি উপরে অবস্থান করবে এবং চাঁদ খুঁজতে হবে ২৬০ ডিগ্রি আজিমাতে। সেদিন চাঁদ দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।