তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

সংখ্যা: ১৯৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছায়া ছিল না।

এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিছ আল্লামা হাকীম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর  নাওয়াদিরুল উছূল” কিতাবে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন, হযরত হাকীম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি “নাওয়াদিরুল উছূল” কিতাবে হযরত যাকওয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই সূর্য ও চাঁদের আলোতেও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছায়া মুবারক দেখা যেত না।”

ইমামুল মুহাদ্দিছীন, সুলত্বানুল আরিফীন হযরত ইমাম জালালুদ্দীন  সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহিও তাঁর “খাছায়িছুল কুবরা” নামক কিতাবে উক্ত হাদীছ শরীফখানা উল্লেখ করে এ মতের সমর্থন করেন।

বাহ্রুল উলূম, শায়খুল মাশায়িখ, হযরতুল আল্লামা ইবনে সাবা রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর “শিফাউছ ছুদূর” কিতাবে লিখেছেন, “নিশ্চয়ই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম-এর ছায়া মুবারক যমীনে পড়তো না। কেননা তিনি ছিলেন নূর। অতঃপর যখন তিনি সূর্য অথবা চাঁদের আলোতে হাঁটতেন তখন উনার ছায়া মুবারক দৃষ্টিগোচর হতো না।”

বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার, হাফিযুল হাদীছ, আওলাদে রাসূল, হযরতুল আল্লামা ইমাম যুরকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর “শরহে মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া শরীফ” কিতাবে বর্ণনা করেছেন-“চাঁদ ও সূর্যের আলোতেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছায়া মুবারক দৃষ্টিগোচর হতো না। কেননা তিনি নূর ছিলেন।”

ইমামুল আল্লাম, জালালু মিল্লাত ওয়াদ্ দীন, আল্লামা হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর “আলমু’জামুল লাবীব ফী খাছায়িছিল হাবীব” ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দ্বিতীয় বাবের চতুর্থ অধ্যায়ে লিখেছেন- “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছায়া মুবারক যমীনে পড়তো না। চাঁদ ও সূর্যের আলোতেও উনার ছায়া মুবারক দেখা যেতনা।”

হযরতুল আল্লামা ইবনে সাবা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন- হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  যেহেতু সম্পূর্ণ নূর ছিলেন সেহেতু উনার ছায়া মুবারক ছিল না।

হযরত ইমাম রযীন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, অবশ্যই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নূর সমস্ত কিছুকে ছাড়িয়ে যেত।”

ইমামুল জালীল, মুহাদ্দিছুশ্ শাহীর, ফক্বীহুল আছার, আল্লামা ইমাম ক্বাযী আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর শিফা শরীফ” কিতাবে লিখেছেন-“হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দেহ মুবারকের ছায়া মুবারক সূর্য ও চাঁদের আলোতেও পড়তো না। কেননা তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ নূর।

বিখ্যাত বুযুর্গ, ওলীয়ে কামিল, হযরত ইমাম ইবনে হাজার মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি “আফদ্বালুল কুরা” কিতাবে উল্লেখ করেন, “নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূর ছিলেন। নিশ্চয়ই তিনি যখন চাঁদ ও সূর্যের আলোতে হাঁটতেন তখন উনার ছায়া মুবারক প্রকাশ পেতো না।”

বিখ্যাত মুহাদ্দিছ আল্লামা শিহাবুদ্দীন খাফ্ফাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি “নাসীমুর রিয়াদ্ব” নামক কিতাবে লিখেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নুবুওওয়াতের প্রমাণের মধ্যে এটাও একটি প্রমাণ যে, উনার শরীর মুবারকের ছায়া ছিল না। যখন তিনি সূর্য ও চন্দ্রের আলোতে হাঁটতেন তখনও উনার ছায়া মুবারক পড়তো না। কেননা তিনি (আপাদমস্তক) নূর।

কিতাবুল ওয়াফা-এর লেখক হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছায়া মুবারক ছিল না। উনার নূরের উজ্জলতা সূর্য ও বাতির আলোর উপর প্রাধান্য লাভ করতো।”

ক্বইয়ূমে আউয়াল, আফদ্বালুল আওলিয়া, শায়খ আহমদ ফারূক্বী সিরহিন্দী হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জগদ্বিখ্যাত কিতাব “মাকতুবাত শরীফ”-এর ৩য় জিলদ্ ১৫৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, মহান আল্লাহ পাক-এর কি করে ছায়া পড়তে পারে? ছায়া তো তিনিই সৃষ্টি করেছেন। তবে কি উনার কোন মিছাল রয়েছে? তবে কি তিনি কামালে লাতাফাত-এর অধিকারী নন? দেখুন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ‘কামালে লাতাফাত’-এর অধিকারী হওয়ার কারণে উনার দেহ মুবারকের ছায়া পড়তো না।

হাদীছ শরীফ এবং অনুসরণীয় ইমাম, মুজতাহিদ, আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের নির্ভরযোগ্য উল্লেখিত ক্বওল শরীফ-এর দ্বারা প্রতিভাত হলো যে, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নূরাণী দেহ মুবারকের ছায়া ছিল না।

এখন যারা বলছে, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের মতো, তাদের প্রত্যেকেরই তো ছায়া রয়েছে এবং তাদের সে ছায়া মানুষ ও জীব-জন্তু মাড়িয়েও থাকে। তাহলে নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের মত হলেন কি করে।

কাজেই, যারা নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাদের মত মনে করবে তারা কাট্টা কাফির ও চিরজাহান্নামী হবে।

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী