তাফসীরুল কুরআন

সংখ্যা: ২৪৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

তাফসীরুল কুরআন

সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

يايها الناس قد جاءتكم موعظة من ربكم وشفاء لـما فى الصدور وهدى ورحمة للمؤمنين. قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مـما يجمعون.

তরজমা: হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন নছীহতকারী, অন্তরের আরোগ্য দানকারী, হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী। (অতএব হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত স্বরূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের উচিত খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশের আমলটি হবে তাদের সমস্ত নেক আমল অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ। (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)

তাফসীর: সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরুম মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে খুশি প্রকাশ করে যে মাহফিল বা মজলিসের আয়োজন বা ইনতিজাম করা হয় উক্ত মাহফিল বা মজলিসই হচ্ছে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। উম্মত মাত্রই প্রত্যেকের জন্য এই মহা সম্মানিত সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা ফরযের অন্তর্ভুক্ত। এ মর্মে মহান আল্লাহ পাক তিনি আদেশ মুবারক করেন-

وتعزروه وتوقروه وتسبحوه بكرة واصيلا

অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করো, উনাকে সম্মান মুবারক করো এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ সকাল থেকে সন্ধ্যা এবং সন্ধ্যা থেকে সকাল তথা সদাসর্বদা বা সবসময়। (পবিত্র সূরাতুল ফাতহ্ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৯)

মূলত যে যতবেশি সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করবে, সম্মান মুবারক করবে এবং ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করবে, সে ততবেশি ফযীলত হাছিল করবে, বুযুর্গী-সম্মান, মর্যাদা-মর্তবা হাছিল করবে এবং ততবেশি মুহব্বত-মা’রিফাত, রেযামন্দী-সন্তুষ্টি, নিয়ামত, কুরবত-নৈকট্য মুবারক হাছিল করবে। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

فَالَّذِينَ آمَنُوا بِهِ وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَاتَّبَعُوا النُّورَ الَّذِي أُنزِلَ مَعَهُ ۙ أُولَـٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ.

অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছলাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যারা ঈমান আনবে, উনাকে তা’যীম-তাকরীম করবে, উনার খিদমত মুবারক করবে এবং উনার প্রতি নাযিলকৃত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আনুগত্য করবে, তারাই হবে সফলকাম। (পবিত্র সূরাতুল আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫৭)

আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت ابى هريرة رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم من صلى على واحدة صلى الله عليه عشرا

অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার প্রতি যে ব্যক্তি একবার ছলাত পাঠ (ছানা-ছিফত বর্ণনা) করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার প্রতি দশটি বা দশবার রহমত নাযিল করবেন। সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ)

উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বর্ণিত রয়েছে, হযরত ইমাম আবু যুরআ রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি অনেক বড় মুহাদ্দিছ ছিলেন। তিনি যখন ইন্তিকাল করলেন, ইন্তিকাল করার পর একজন বুযুর্গ ব্যক্তি উনাকে স্বপ্নে দেখলেন যে, তিনি আসমানের উপর হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইমাম হয়ে নামায পড়াচ্ছেন। উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, হে হযরত আবু যুরআ রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি কোন আমলের কারণে এই মর্যাদা-মর্তবা হাছিল করলেন? তিনি বললেন, আমার জীবনে আমি দশ লক্ষ পবিত্র হাদীছ শরীফ লিখেছি, পবিত্র হাদীছ শরীফ লেখার পর আমি প্রত্যেকবার ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্পষ্ট করে ও সুন্দর করে লিখেছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমার প্রতি যে একবার ছলাত পাঠ (ছানা-ছিফত বর্ণনা) করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার প্রতি দশবার রহমত নাযিল করবেন।” আমি দশ লক্ষবার ছলাত শরীফ (দুরূদ শরীফ) লিখেছি, যার কারণে আমার প্রতি মহান আল্লাহ পাক তিনি এক কোটিবার রহমত নাযিল করেছেন এবং উক্ত ছলাত শরীফ পাঠের সম্মানার্থে আমাকে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইমাম বানিয়ে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার ফযীলত কত বেমেছাল তা বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। সুবহানাল্লাহ!

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী