ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদার ভারতে মুসলমানদের প্রতি নিরপেক্ষতার পরিবর্তে চলছে চরম নিপীড়ন।

সংখ্যা: ২০৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদার ভারতে মুসলমানদের প্রতি নিরপেক্ষতার পরিবর্তে চলছে চরম নিপীড়ন।

এদেশের হিন্দুরা ধর্মনিরপেক্ষতার নামে শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে রামরাজত্ব চালাতে চায়। কিন্তু ভারতে মুসলমানরা কতটুকু দলিত-মথিত

সে খবর কী তারা রাখে? এদেশের ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদাররা ভারতে মুসলমানদের প্রতি নির্যাতন ও নিপীড়নের ভয়াবহতার প্রকৃত খবর কী তারা জানে? (১)

 

ধর্মীয় বৈষম্যের বিচারে শীর্ষ অবস্থানে ভারত! সামাজিক বৈরিতা ও ধর্মীয় বৈষম্যের বিবেচনায় বিশ্বে শীর্ষ বৈষম্যপূর্ণ দেশ ইরাক। আর দ্বিতীয় অবস্থানেই রয়েছে ভারত। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ‘গ্লোবাল রেস্ট্রিকশনস অন রিলিজিওন’ শীর্ষক ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৯৮টি দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এখানে ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে বিশ্বের দেশগুলোয় বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠী, সরকার ও ব্যক্তি পর্যায়ের আরোপিত বাধা-নিষেধকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

 

গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ভারতে ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে সামাজিক বাধা অনেক বেশি। সউদী আরব বা আফগানিস্তানের সমাজের চেয়েও ভারতীয় সমাজে ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে বাধা অনেক বেশি বলে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু সামাজিক বাধা-নিষেধের বিচারে ভারতের অবস্থান এসব দেশের চেয়ে অনেক উপরে।

অপরদিকে ভারতে মুসলমানদের প্রতি শুধু দাঙ্গার সময়ই নির্বিচারে শহীদ করা হয়না এবং প্রায় প্রতিদিনই দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটানো হয়না। পাশাপাশি কথিত শান্তির সময়ও মুসলমানদের প্রতি চরম বৈষম্য করা হয়। মুসলমানদের দলিত-মথিত করে রাখা হয়।

কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, এক বছরে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৬৫ জন। এর মধ্যে মুসলমান খুঁজতে হয় অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে, মাত্র ৭১৭ জন। আধা-সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মুসলিমপ্রার্থী নিয়োগের কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না, তবে অভিজ্ঞতার নিরিখে বলা যায় তার হারও অনুরূপভাবে কম। ১৯৯১ সালে আদমশুমারি অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যার প্রায় চব্বিশ শতাংশ ছিল মুসলমান, ২০০১-এ তা গিয়ে দাঁড়ায় পঁচিশ শতাংশে এবং সর্বশেষ ২০১১-এর জনগণনা অনুযায়ী মুসলমানের সংখ্যা শতকরা ২৬ শতাংশ। প্রকৃত পক্ষে ভারতে মুসলমানের সংখ্যা ৪০ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, পুলিশে শতকরা ৯ জন মুসলিম চাকরি করছেন। কিন্তু বাস্তবে তা মেলে না।

ভারতে অন্ধ্রপ্রদেশই হলো একমাত্র রাজ্য, যেখানে মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাতের (১০ শতাংশ) তুলনায় পুলিশ বাহিনীতে মুসলিমকর্মীদের সংখ্যা অনেক বেশি (১৫ শতাংশ)। জম্মু ও কাশ্মীরে মুসলিমদের সংখ্যা ৭০ শতাংশ, স্বাভাবিকভাবেই সেখানে মুসলিম পুলিশকর্মীদের আনুপাতিক হার ৫৭ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের সংখ্যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ হলেও পুলিশ বাহিনীতে মুসলিমকর্মীদের প্রতিনিধিত্ব মাত্র ৭ থেকে ৯ শতাংশ। তবে গুজরাটে মুসলিমরা মোট জনসংখ্যার যেহেতু মাত্র ৭ শতাংশ, সে তুলনায় গুজরাট পুলিশ বাহিনীতে মুসলিমকর্মীদের আনুপাতিক হার ৫ শতাংশকে বেশিই বলতে হবে। অর্থাৎ ‘প্রগতিশীল’ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গকে গুজরাট অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে। মুসলিমকর্মীদের প্রতিনিধিত্বের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ দিল্লি (৩ শতাংশ) ও তামিলনাড়ু রাজ্যে (২ শতাংশ)।

পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যার হার সরকারি মতে ২৬ শতাংশ, মূলত ৪০ শতাংশেরও ঊর্ধ্বে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে মোট জনসংখ্যার তারা একটা বড় ও প্রধান গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মুর্শিদাবাদসহ এই রাজ্যের বেশকিছু জেলায় মুসলিম ভোটারদের সংখ্যা এত বেশি যে, ক্ষমতায় আসতে আগ্রহী কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষেই পশ্চিমবঙ্গের এই বিশাল সংখ্যক মুসলিম ভোটারকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, পশ্চিমবঙ্গের বিগত বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যের মুসলিমদের অর্থনৈতিক অবস্থা বা পশ্চাদপদতা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায়নি; এর ফলেই পরবর্তীকালে মুসলিমদের কাছ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সংখ্যালঘুদের আর্থিক-সামাজিক অবস্থা পর্যালোচনায় নিযুক্ত সাচার কমিটির রিপোর্টের বিভিন্ন তথ্য ও হিসাব-নিকাশেও স্পষ্ট যে, পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা দেশের মধ্যে সব ব্যাপারেই পিছিয়ে আছে। এমনকি সরকারি চাকরি এবং অন্যান্য ব্যাপারেও তারা বঞ্চিত, শোষিত ও পিছিয়ে পড়ার দলে। সরকারি হিসাবই বলছে, পশ্চিমবঙ্গে সরকারিতে মুসলিম কর্মচারীদের হার মাত্র ৪ শতাংশ যা অত্যন্ত নগণ্য। গোটা দেশে মুসলিমদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৫ শতাংশ; কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের ক্ষেত্রে তা মাত্র ৫৭.৫ শতাংশ। মজার ব্যাপার কেরালায়, যেখানে কয়েকবছর অন্তর বামপন্থীরা ক্ষমতায় আসে ও যায়  সেখানেও কিন্তু সাক্ষরতার হার ৮৯.৪ শতাংশ অর্থাৎ যথেষ্ট বেশি। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে এটা যথাক্রমে ৪৭.৮ ও ৪২ শতাংশ। অর্থাৎ বিহারের অবস্থা বেশ খারাপ।

পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের চাকরির হালহকিকত : সরকারি এক তথ্যে দেখা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক নিয়োগে ৮৩৪ জনের মধ্যে মুসলিম মাত্র ১৬ জন। পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘুদের কীভাবে সংরক্ষণ দেয়া যায় এ নিয়ে যেমন বিস্তর আলোচনা সরকারি মহলে, তেমনই সাম্প্রতিক সময়ে চাকরি নিয়োগে সরকারের (বিগত) আন্তরিকতা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক গ্রুপ ‘ডি’ বিভাগে সাম্প্রতিক কর্মী নিয়োগে আবারও মুসলিম নগণ্য নিয়োগের দৃষ্টান্ত সামনে এসেছে। গত ১৬ মার্চ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের সরকারি দফতরের লোয়ার ডিভিশন কর্মী নিয়োগের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে মুসলিমদের নিয়োগের হার দু’শতাংশেরও কম। বিভিন্ন দফতরের লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক নিয়োগের যে দুটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে মোট নিয়োগের সংখ্যা হলো ৮৩৪ জন। এর মধ্যে মুসলিম মাত্র ১৬ জন।

পাবলিক সার্ভিস কমিশন, পশ্চিমবঙ্গে দু’দফায় গ্রুপ-ডি লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ করে বিভিন্ন দফতরে। এ নিয়োগ করা হয় ২০০৬ সালে ক্লার্কশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের ভিত্তিতে। দীর্ঘদিন পর গত বছর ওই পরীক্ষায় সফল হওয়া প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১০, নোটিশ নং অ-৩৭-PSC (A)। এই তালিকায় উল্লেখ করা হয়, ‘Secretariat of the Public Service Commission, West Bengal’ দফতরের কথা। এ দফতরে যে ৩৬ জনের নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয় তার মধ্যে একজন মুসলিমেরও স্থান হয়নি। তারপর দেয়া হয় ‘P&AR Department, (CC Wing), Block-1, 2nd floor, Writers Buildings, Kolkata-700001, দফরের নিয়োগ তালিকা। এ তালিকায় রয়েছে ৫২০ জনের নাম। তার মধ্যে মুসলিম স্থান পেয়েছে মাত্র ১৩ জন। অর্থাৎ পিএসসির দু’দফতর মিলিয়ে মোট নিয়োগের সংখ্যা ৫৫৬ আর মুসলিম নিয়োগ মাত্র ১৩! এখানে মুসলিম নিয়োগের হার মাত্র ২.৩%। এরপর গত বছর ১৬ মার্চ (নোটিশ নং A-61/PSC (A) dated 16 March 2010) ক্লার্কশিপ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এ তালিকায় রয়েছে মোট ২৭৮ জনের নাম। তার মধ্যে মুসলিম মাত্র ৩ জন। অর্থাৎ মুসলিম নিয়োগের হার এক শতাংশের কম।

-মুহম্মদ জিসান আরিফ, ঢাকা।

রৌশনীদের ক্ষোভ, দুঃখ, লজ্জা, ক্রোধের দায়ভার নেবে কে? প্রবাহমান সংস্কৃতি পঙ্কিলতার তোড়ে রৌশনীদের সব আকুতি যে নির্মমভাবে ভেসে যাচ্ছে।  সে দায়বদ্ধতা বর্তমান সমাজ আর কত অস্বীকার করতে পারবে? প্রযুক্তি যতটা আপগ্রেড হচ্ছে সে তুলনায় অপরাধ বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। কাজেই আদর্শের কাছে ফিরে যাওয়ার বিকল্প নেই। পর্দা পালনে বিকল্প নেই।  ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই। এসব কথার প্রতিফলন না হলে খুন, ধর্ষণ আর পরকীয়ার ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে প্রতিটা পরিবার। সমাজ হবে সমাজচ্যুত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৬

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৫

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৪

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৪ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল