নারী অধিকার প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ২৩৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

পূর্ব প্রকাশিতের পর

সরকার প্রধানের বক্তব্য সম্মানিত পর্দার বিপরীত হয়েছে এবং সম্মানিত শরীয়ত উনার সীমা অতিক্রম করেছে।

এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন –

ومن يعص الله ورسوله ويتعد حدوده يدخله نارا خالدا فيها وله عذاب مهين

অর্থ: “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবাধ্য হবে বা নাফরমানী করবে বা বিরোধিতা করবে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার (নির্ধারিত) সীমালঙ্ঘন করবে (যে শরীয়ত নাযিল করেছেন সেটা লঙ্ঘন করবে) তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন, সেখানে সে চিরস্থায়ীভাবে থাকবে। আর তার জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ১৪)

কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

ومن شاقق الرسول من بعد ما تبين له الـهدى ويتبع غير سبيل الـمؤمنين نوله ما تولى ونصله جهنم. وساءت مصيرا

অর্থ: “যে ব্যক্তি তার নিকট হিদায়েত বা সঠিক পথ প্রকাশিত হওয়ার পর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করবে এবং মু’মিনগণ উনাদের পথ ছেড়ে দিয়ে অন্য পথের অনুসরণ করবে, সে যে দিকে ফিরেছে আমি তাকে সে দিকে ফিরাবো এবং তাকে জাহান্নামে পৌঁছাবো বা প্রবেশ করাবো এবং (এটা) নিকৃষ্ট আবাসস্থল বা বাসস্থান।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ১১৫)

সরকার প্রধানের বক্তব্যে, উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম উনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে, ইতিহাস সম্পর্কে আমরা জানি উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম আরবের ধনাঢ্য পরিবারের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হওয়া সত্তেও পর্দার সাথে ব্যবসা করেছেন। অর্থাৎ নিজে বাইরে বের হয়ে ছেলেদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ব্যবসা-বানিজ্য করেননি। ঘরে বসেই পর্দার সহিত শালিনতার সাথে অতি সম্মানের সাথে ব্যবসা করেছেন। এবং উনার বুযুর্গী, সততা, একনিষ্ঠতা এবং আমানতদারীর দরুণ জাহিলিয়াতের সময়ও মানুষ উনাকে ‘ত্বহিরা’ লক্বব মুবারকে অভিহিত করতো। (সুবহানাল্লাহ)

সরকার প্রধানের বক্তব্যে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার জিহাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এক্ষেত্রেও আমাদের জানা রয়েছে যে পর্দার পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার আগে থেকেই উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা পর্দার সাথে ঘর থেকে বের হতেন। এবং জিহাদের ময়দানে জিহাদও করেছেন পর্দার সাথে।

সরকার প্রধানের বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘নারী পুরুষের সমতার কথা ।’

এখানে বলতে বাধ্য হচ্ছি, যেখানে মহান আল্লাহ পাক পুরুষদের নির্দিষ্ট ক্ষমতা দিয়েছেন এবং স্ব স্ব বৈশিষ্ট দান করেছেন। তেমনি একজন নারীকেও তার নির্দিষ্ট ক্ষমতা দিয়েছেন এবং স্ব স্ব বৈশিষ্ট দান করেছেন।

একজন পুরুষের যোগ্যতা একরকম আর একজন মহিলার যোগ্যতা আরেক রকম।

একজন মহিলা সে ঘর সংসারের কাজ করে থাকে এবং শরয়ী প্রয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও কর্মক্ষেত্র চাকুরি করতে পারে তবে সেটা অবশ্যই পর্দা করেই করতে হবে। ছেলেদের সাথে মিলে মিশে নয়।

বরং দেশের সরকার প্রধান চাইলে মেয়েদের পর্দার মধ্যে রেখেই লেখা-পড়া শেখাতে পারেন, কর্মক্ষেত্রে পর্দার সাথে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করে দিতে পারেন। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, হাসপাতাল, অফিস-আদালত সবখানেই যদি মেয়ে এবং ছেলেদের আলাদা ব্যবস্থা করা হয় তাহলেই পর্দার সাথে মেয়েরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। এতে করে বেপর্দা হয়ে পুরুষদের লালসার শিকার হতে মুক্ত থাকাটা সহজ হবে। ইনশাআল্লাহ!

নারী তার কর্মক্ষেত্রে সমান যোগ্যতা দেখাতে পারবে এবং পুরুষরাও তাদের কর্মক্ষেত্রে সমান যোগ্যতা দেখাতে পারবে।

এতেই বুঝা যাবে একটা দেশে, সমাজে, পরিবারে নারী পুরুষরা কে কত অগ্রগামী ভূমিকা পালন করল !

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে, “প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ইলম অর্জন করা ফরয।”

অতএব, সকলের জন্য সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইলম (জ্ঞান) অর্জন করা অবশ্যই ফরয।

কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

فاسألوه اهل الذكر ان كنتم لا تعلمون

“তোমরা যারা জাননা তারা আহলে যিকিরগণ অর্থাৎ আল্লাহওয়ালা উনাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও।” (পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)

অতএব আসুন, পবিত্র দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম মুতাবিক নারীদের সঠিক অধিকার সম্পর্কে জেনে, বুঝে, শিখে আমল করি। তাহলে আমরা ইহকাল ও পরকাল দু’কালই কামিয়াব হাছিল করতে পারবো বলে আশা করি। আমিন !

-গুলে গুলশান, ঢাকা

ভারতে বর্তমানে বিজেপি নয়, বিজেপি’র সাইনবোর্ডের আড়ালে আরএসএস তথা সঙ্ঘপরিবার ক্ষমতায় বসেছে।

নামসর্বস্ব সেকুলার সরকারের দুর্বলতা ও কাপুরুষতার ও কট্টর মুসলিমবিদ্বেষ পরায়ণতার কারণে ভারতে শিবসেনা, নবনির্মাণসেনা, রামসেনা ও আজকের হিন্দু রাষ্ট্রসেনার মতো সংগঠনগুলো ফুলে ফেঁপে জেগে উঠেছে।

তারা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের লক্ষ্য বানাচ্ছে নিরপরাধ ও নিরীহ মুসলমানদেরকে।

ভারতের পুনেতে হিন্দু উগ্রপন্থীদের হাতে মুসলিম আইটি প্রকৌশলী নিহত হওয়ার পর স্থানীয় মুসলমানদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

মুসলমানরা প্রাণভয়ে দাড়ি কেটে ফেলেছে এবং তাদের পোশাক পাল্টে ফেলেছে। পুনেতে অনেক মুসলমান তাদের ঐতিহ্যবাহী পাঠানী পোশাক পাল্টে ট্রাউজার ও শার্ট পরছে এবং গোলটুপি পরা বন্ধ করেছে।

পুনের হাদাপসার এলাকার উন্নতিনগর মসজিদে গত ১৯ জুলাই (২০১৪) শনিবার যোহরের নামাযের সময় দেখা যায় এক ভিন্ন চিত্র। বহু মুসলমান তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা বন্ধ করে দিয়েছে।

গত ২ জুন (২০১৪) মুহসিন সাদিক শেখ নামে ২৮ বছর বয়সী এক মুসলিম আইটি প্রকৌশলীকে হিন্দু রাষ্ট্রসেনা সদস্যরা পিটিয়ে হত্যা করার পর মুসলমানদের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়। কেন্দ্রে মোদি সরকার গঠনের সাথে সাথে পুরো ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, বিজেপি ক্ষমতাসীন হওয়ায় সঙ্ঘপরিবারের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো লাগামহীন হয়ে পড়েছে। ভয়ের কথা হলো, এমন কিছু নতুন ও মারাত্মক সন্ত্রাসী দলের আবির্ভাব ঘটছে, যাদের নাম আগে শোনা যায়নি। এমনই একটি সংগঠন হিন্দু রাষ্ট্রসেনা, যারা সম্প্রতি পুনেতে এক সম্ভাবনাময় মুসলমান যুবককে নৃশংস ও বর্বরোচিতভাবে হত্যা করেছে। ২৮ বছরের মহসিন শায়েখ পুনের এক আইটি কোম্পানির প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি ছিলেন শোলাপুরে বসবাসরত তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি। মহসিন শায়েখের অপরাধ শুধু এতটুকু ছিল, তার মুখে ছিল দাড়ি, আর মাথায় ছিল টুপি। তিনি তার বন্ধুর সাথে ইশা নামায আদায় করার পর মোটরসাইকেলে ঘরে ফিরছিলেন। হঠাৎ হিন্দু রাষ্ট্রসেনার ১৫ জন সন্ত্রাসী আক্রমণ করে বসে। তারা মহসিন শায়েখের উপর এমন নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলা করে যে, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই তিনি মারা যান।

মহসিন শায়েখকে অন্যায়ভাবে হত্যার বিরুদ্ধে এখনো দেশে কোনো হইচই হয়নি। মিডিয়াও এদিকে কোনো দৃষ্টিপাত করেনি। মানবাধিকারের জন্য কাজ করা সংগঠনও মহসিন শায়েখের মৃত্যুতে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করেনি। চারদিকে শুধু অবজ্ঞা, আর অবহেলা। মহসিন শায়েখকে হত্যার পর হিন্দু রাষ্ট্রসেনার কর্মীদের দুঃসাহস এতই বেড়েছে যে, তারা মোবাইলে এ মেসেজটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে, ‘একটি উইকেট পড়লো’। প্রকাশ থাকে যে, সম্প্রতি সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকে শিবাজি ও বালঠাকরের বিতর্কিত ছবি আপলোড করা হয়েছে বলে বেশ প্রচারণা চালানো হয়। কোনো যাচাই ছাড়াই ক্ষোভ সৃষ্টিকারী ছবি আপলোডের দায় মুসলমানদের ঘাড়ে চাপানো হয়। ফেসবুকে মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। অথচ এ ছবি এক বছর আগেই ফেসবুকে প্রদর্শন করা হয়। পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ক্ষোভ সৃষ্টিকারী এ ঘটনার পেছনে নিখিল নামে এক যুবকের কারসাজি রয়েছে। সে ফেসবুকে নিহাল আহমদ নামে এক ফেক আইডি দিয়ে এ ছবি পোস্ট দেয়। এ কারণে হিন্দু রাষ্ট্রসেনার কর্মীরা কোনো যাচাই ছাড়াই এর দোষ মুসলমানদের ঘাড়ে চাপিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। পুনেতে কর্মরত আইটি ইঞ্জিনিয়ার মহসিন শায়েখ হিন্দু রাষ্ট্রসেনার বর্বরোচিত পাশবিক হামলার প্রথম শিকার হন। বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে, চূড়ান্ত আইনবিরুদ্ধ, নৃশংস ও বর্বরতার বিরুদ্ধে সরকারিভাবে চরম নিষ্ক্রিয়তা প্রকাশ করা হয়। মহসিন শায়েখের মৃত্যুতে শাসকগোষ্ঠীর চেহারায় দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতার কোনো নিশানাই দেখা যায়নি। বরং পুনে থেকে নবনির্বাচিত বিজেপি’র পার্লামেন্ট সদস্য অটল শিরুনি চরম আক্রমণাত্মক বক্তৃতা করে মজলুমের ঘাতে নুনের ছিটা দিয়েছে। সে বলেছে, যা কিছু হয়েছে, তা অবশ্যই দুঃখজনক। তবে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর পাল্টা আক্রমণ স্বাভাবিক ব্যাপার। মূলত, নতুন শাসকগোষ্ঠীর এ ধরনের যালিমীপনা চিন্তাধারা সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর মনোবল আরো চাঙ্গা করেছে।

অনেকের আশা ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ভাবমর্যাদা ঠিক রাখার জন্য সংখ্যালঘুদের প্রতি ন্যায়বিচার করবে। কিন্তু এ সরকার তাদের পূর্ব স্বভাব অনুযায়ী ওই সব বিষয়কে হাওয়া দিচ্ছে, যা সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার ও তাদের মৌলিক পরিচয়ের উপর মারাত্মক আঘাত হানছে। মুসলমানের সংখ্যালঘু অধিকারকে অস্বীকার করা, কিংবা দেশে একই সিভিল কোড জারি করা, ৩৭০নং ধারাকে বিলুপ্ত করার উপর তর্ক-বিতর্ক বা আবার রামমন্দির বানানোর ইচ্ছা- এসব বিষয় সংখ্যালঘুদের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকারের উপর মারাত্মকভাবে আঘাত করছে। এ সরকারের শুরুতেই দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার যে ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে, তা দেখে মনে হচ্ছে, ওই গোষ্ঠীর উপর বিজেপি নেতৃবৃন্দের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, যারা উগ্রতা, অত্যাচার ও বর্বরতাকে নিজেদের পরিধেয় বস্ত্র মনে করে। প্রকাশ থাকে যে, যারা সঙ্ঘপরিবারের উগ্রপন্থীদের হাতে প্রতিপালিত হয়েছে, তাদের কাছে কোনো ভালো আশা করা বাতুলতা মাত্র।

বিস্ময়কর কথা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার কোনো মন্ত্রী এখন পর্যন্ত পুনেতে এক সম্ভাবনাময় মুসলিম যুবককে পাশবিকভাবে হত্যার নিন্দা করেনি। নবগঠিত সংগঠন হিন্দু রাষ্ট্রসেনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনো নির্দেশ জারি করেনি। এ ব্যাপারে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস ও এনসিপি’র যৌথ সরকারের কাছে আমাদের কোনো আশা এ জন্য নেই, তারা সর্বদা সাম্প্রদায়িক ও যালিমদের সাথে হাত মিলিয়ে চলে। মহারাষ্ট্রে আইনের পরিবর্তে প্রাইভেট বাহিনীর শাসন চলছে। তারা যখন ইচ্ছা, যেখানে ইচ্ছা নির্ভয়ে রাষ্ট্রীয় আইন লঙ্ঘন করে চলেছে, অথচ সরকার হাতের উপর হাত রেখে বসে আছে। নামসর্বস্ব সেকুলার সরকারের দুর্বলতা ও কাপুরুষতার ফলে মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, নবনির্মাণসেনা, রামসেনা ও আজকের হিন্দু রাষ্ট্রসেনার মতো সংগঠনগুলো ফুলে ফেঁপে জেগে উঠছে। পাশাপাশি তারা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের নিশানা বানাচ্ছে মুসলমানদের।

লক্ষ্য করার বিষয়, নরেন্দ্র মোদি তার নির্বাচন প্রচার অভিযানে বাংলাদেশ ও চীন সম্পর্কে যতোটা কঠোর মন্তব্য করেছে, পাকিস্তান সম্পর্কে ততোটা মোটেই করেনি। একদিকে ভারতের চির বৈরি পাকিস্তান সম্পর্কে মোদির এই নমনীয় মনোভাবের এবং অন্যদিকে মোদি নির্বাচিত হওয়ার আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ কর্তৃক নির্বাচনে মোদির বিজয় কামনা করে তাকে সমর্থন দানের ঘোষণার মধ্যে কোনো ধরনের সম্পর্ক রয়েছে কিনা দিল্লির এক শ্রেণীর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক তাও এখন খতিয়ে দেখছে।

প্রশ্ন উঠেছে, মোদি কি তাহলে পাকিস্তান সম্পর্কে বিজেপি’র পূর্বতন বাজপেয়ী সরকারের নীতি অনুসরণ করবে? অতীতে বাজপেয়ী ক্ষমতায় বসেই পাকিস্তানের প্রতি মৈত্রীর বাণী মুখে লাহোরে ছুটে গিয়েছিল এবং দিল্লি ও লাহোরের মধ্যে সরাসরি বাস সার্ভিস প্রবর্তন করে সে প্রথম লাহোরগামী বাসটিতেই নিজে যাত্রী হয়েছিল। তখনও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফই। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান এই প্রেম বিনিময় ব্যর্থ হয় কারগিল যুদ্ধে। নরেন্দ্র মোদি কি তার পূর্বসূরি অটল বিহারী বাজপেয়ীর সেই ব্যর্থ এক্সপেরিমেন্টের দিকে আবার আগাবে?

এই ব্যাপারে ভারতের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে মতদ্বৈধতা আছে। একদল বলছে, পাকিস্তানের বিরাট অর্থনৈতিক বাজারের দিকে ভারতের বিগ কর্পোরেট সওদাগরদের নজর বহু দিনের। তারা চায় না এই বিরাট বাজারটি চীনের দখলে থাকুক এবং সেই সঙ্গে সামরিক প্রভাবও। তাদের চাপেই বাজপেয়ী পাকিস্তানের সঙ্গে অন্ততঃ যোগাযোগ ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা স্থাপনে এগিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে বাজপেয়ী মিশন ব্যর্থ হয়।

এবারে নরেন্দ্র মোদি কি বাজপেয়ী মিশনের ব্যর্থতার কথা জেনেও তার অনুসরণ করতে চাইবে, না তার সরকার কোনো নতুন কৌশল গ্রহণ করবে? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের এক অংশের ধারণা, সে পাকিস্তানকে চীনের প্রভাবমুক্ত করার জন্য বাজপেয়ীর অনুরূপ কোনো নতুন কৌশল গ্রহণ করবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অন্য অংশের ধারণা মোদি তা করবে না। অটল বিহারী বাজপেয়ী ধর্মান্ধ এবং উগ্র সঙ্ঘপরিবারের সদস্য ছিল না। সে ছিল বিজেপি’র উদারনৈতিক অংশের নেতা। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদি সঙ্ঘপরিবারের সদস্য এবং মনোনীত প্রধানমন্ত্রী।

বিজেপি’র এই সঙ্ঘপরিবারে রয়েছে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকসংঘ) শিবসেনা ও বিশ্ব হিন্দু সভা ইত্যাদি। ভারতের এবারের নির্বাচনে প্রকৃতপক্ষে বিজেপি ক্ষমতায় আসেনি; এসেছে সঙ্ঘপরিবার। তাদের নির্দেশেই নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনের আগেই দলে এল.কে. আদভানী, যশোবন্ত সিং প্রমুখ বর্তমানের কথিত উদারপন্থীদের কোণঠাসা করে ফেলে এবং চারপাশে কট্টরপন্থীদের স্থান দেয়। বর্তমানেও মন্ত্রিসভা গঠনে সে আরএসএসে’র পরামর্শই গ্রহণ করছে বলে জানা গেছে।

মূলত, ভারতে বর্তমানে বিজেপি নয়, বিজেপি’র সাইনবোর্ডের আড়ালে আরএসএস তথা সঙ্ঘপরিবার ক্ষমতায় বসেছে। বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা, সেখানে রামমন্দির তৈরি, ভারত থেকে বাংলাদেশী ছাপ মেরে মুসলমান বিতাড়ন তাদের ঘোষিত এজেন্ডা।

তাদের উগ্র হিন্দুত্ববাদ শুধু মুসলমানদের জন্যই নয়; বরং গোটা ভারতের জন্যই বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াবে। মুসলমানের জন্য কুয়া খুঁড়তে গিয়ে তারা নিজেরাই কুয়ার গর্তে পড়বে।

-মুহম্মদ আরিফুর রহমান

সরকারের জন্য বিশ্লেষণ ‘জনকন্ঠের’ ‘বোরকাওয়ালী (তথা কথিত) হতে সাবধান’ হতে হলে বায়তুল মোকাররমে পাঁচ হাজার নারীর নামাযের ব্যবস্থা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা তা উদ্বোধনের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করতে হবে। বায়তুল মোকাররমকে জামাতী ও জঙ্গি বোরকাওয়ালীদের অভয়ারণ্য হতে দেয়া যাবে না। দিলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর কাড়ার সস্তা রাস্তা অবলম্বনের খাহেশ পরিহার করতে হবে সব মহলকেই।

        ইসলামের লেবাছে জামাতীরা প্রকাশ্যে ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যাচার করে        রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা করে যাচ্ছে। ওদের সবকিছুই মেকী।         টিপাইমুখী বাঁধের নামে জামাতী সমাবেশ পুরোটাই ছিল ভাড়া করা গু-া-       বদমায়েশ, শিবির ক্যাডারদের শোডাউন।         ‘স্বাধীনতা এনেছি’- জামাতীদের এ প্রকাশ্য ঘোষণা আল্লাহ পাক-এর        আরশ কাঁপাচ্ছে।         মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকার ও অবমাননা করা হচ্ছে।         দেশের পনের কোটি লোকের উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানো হচ্ছে।         কাজেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা সর্বোপরি পনের কোটি জনগণের       উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানোর দায়ে জামাতীদের অবিলম্বে শক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক        শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং আগামীতে জামাতীদের কোন ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি না দেয়া সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬১

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১০

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৯