নারী অধিকার প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ২২০তম সংখ্যা | বিভাগ:

সমস্ত প্রশংসা মুবারক খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক পেশ করছি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। আরও ছলাত মুবারক ও সালাম মুবারক পেশ করছি আমাদের প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি।

“কে আছেন ধরার বুকে উনার মতো
উম্মাহাতুল মু’মিনীনদের মতো
মায়া করেন পথ হারা নারীকুলের
ফেরান তিনি ঘরে সবার প্রতি জনে।”

আমাদের প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি পথহারা নারীদের আশার প্রদীপ অর্থাৎ আলো। যে আলো এখন ছড়িয়ে পড়ছে দিকে দিকে। পথ ভোলা সন্তানদের সঠিক পথ চিনিয়ে দিচ্ছেন। তিনি ‘মা’ সত্যিকারের ‘মা’।

ঈমান ফিরিয়ে দিচ্ছেন। ক্বায়িম-মাক্বামে ‘উম্মাহাতুল মু’মিনীন’ তিনি। তিনি খাছ মুয়াল্লিমা যার মেছাল তিনি নিজেই। যুগের চাহিদায় পাশ্চাত্যের শিক্ষা গ্রহণ নয়; বরং হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি শেখাচ্ছেন পবিত্র দ্বীনি শিক্ষা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা-কিয়াস উনাদের আলোকে গড়ে তুলছেন উনার মুরীদানদের ‘সুন্নত’ দ্বারা কিভাবে জীবন চালাতে হয় সেই শিক্ষা দিয়ে। সেই শিক্ষাই তিনি হাতে-কলমে শেখাচ্ছেন- হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম। উনার তত্ত্বাবধানে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বালিকা মাদরাসাটি আদর্শ একখানা বিদ্যাপীঠ।

যা প্রত্যেক মেয়ে এবং মা’দের জন্য খোশ খবর। পবিত্র দ্বীন উনার শিক্ষা তো বটেই- আদব, শরাফত, ভদ্রতা কি নেই; সব কিছুই এখানে শিক্ষা দেয়া হয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় আপনারা শুনে অবাক হবেন যে, অন্যান্য বাইরের মাদরাসার মতো এখানে ছাত্রীদের ভুলের জন্য বা অন্যায়ের জন্য মারধর করা হয় না। ভুল বা অন্যায় করলে যে শাস্তি এই বালিকা মাদরাসায় দেয়া হয় সেটা হচ্ছে ‘যিকির’।

আমাদের প্রাণপ্রিয়া আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উক্ত ‘যিকির’-এর শাস্তিই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ধরুন, কেউ হয়তো পড়া পড়েনি বা খাবার খায়নি তার জন্য শাস্তি ‘যিকির’ দেয়া হবে (অবশ্যই এখানে সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয় কতক্ষণ যিকির করা হবে।) যাই হোক সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি আমাদেরকে প্রায়ই বলেন, “শিশুদেরকে বা ছাত্রীদেরকে মারধর করে কোনদিন তাদের ভুল শোধরানো যাবে না; তাদের অন্যায়গুলো এবং ভুলগুলো শুধরাতে হবে তাদেরকে বুঝানোর মধ্যদিয়ে, ভাল আচরণের মধ্য দিয়ে।”

তিনি আরও বলেন, যেহেতু একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক উনার ‘যিকির’-এর মাধ্যমেই অর্থাৎ ছবক আদায়ের মাধ্যমেই ভুল-ত্রুটি দূর হয়; সে জন্যই একমাত্র ‘যিকির’-এর মাধ্যমেই তাদের ও ভুল-ত্রুটি সংশোধন হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ!

সুতরাং শুধু ছাত্রীরা নয়, ছাত্রীদের মায়েরা তা’লীম-তালকীনে যে সব মহিলা এসে থাকেন প্রত্যেকের জন্য এই শিক্ষাই গ্রহণ করা উচিত যেন আমরা প্রত্যেকেই ঘরে বাইরে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় নিজেদের ভুল-ত্রুটির কারণে নিজেরাই ‘শাস্তি স্বরূপ ‘যিকির’ করতে পারি। তবেই যদি নফসের কুফরীগুলো দূর করা সম্ভব হয় যেহেতু প্রত্যেকেরই নফসের পায়রবী করার কারণে, বদ খাছলতের কারণে ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকে সেজন্যই ‘যিকির’ করে সেই বদ খাছলত দূর করে নেক খাছলত পয়দা করতে হবে, ভুল-ত্রুটি সংশোধন করতে হবে। তাহলেই হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার রঙে রঙিন হওয়া যাবে; তা না হলে নিজেদের নেককার পরহেযগার মু’মিনা নারী হিসেবে প্রমাণিত করা অবশ্যই কঠিন হবে।

হযরত সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস্ সালাম তিনি যেমন পূত-পবিত্রা; তিনি চান ও উনার মুরীদানরা সবাই যেন তেমনি পবিত্রা হতে পারে। কিন্তু আফসুস আমাদের জন্য। একদিকে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি, অন্যদিকে আক্বল সমঝ কমের কারণে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে সেই পূত-পবিত্রা হওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। তারপরও আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সময় দিয়েছেন এবং সুযোগ দিয়েছেন। ঠিক তেমনি হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনিও আমাদের সময় দিয়েছেন, দিচ্ছেন এবং সুযোগ দিয়েছেন, এখনও দিচ্ছেন। মাদরাসার যথারীতি ক্লাস ছাড়াও হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম সপ্তাহে দুটা দিন (জুমুয়ার দিন ও সোমবার শরীফ) তা’লীম-তালক্বীন দিয়ে থাকেন। আমাদের প্রত্যেক মহিলাদের উচিত, মা-বোনদের উচিত- উক্ত তা’লীম-তালক্বীনে উপস্থিত থেকে হাক্বীকী ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাসাউফ অর্জন করে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে নেয়া।

নেককার পরহেযগার নারী হতে চাইলে একজন মু’মিনা নারী হতে চাইলে, পবিত্রা নারী হতে চাইলে যেসব গুণাবলী লাগবে তা এখনই আমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার নিকট থেকে তা জেনে বুঝে শিখে নিতে হবে। তা হলেই আমাদের জীবনটা সার্থক হবে এবং কামিয়াব লাভ হবে ইনশাআল্লাহ।

হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা যেমন উম্মতকে হাতে-কলমে মু’মিনা হবার, নেককার পরহেযগার হবার, পূত-পবিত্রা হবার গুণাবলী অর্জন করার শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন, ঠিক তেমনি যুগের রাহবার, মুক্তির দিশারী হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম সেই মহান শিক্ষাই অবারিত ধারায় বিলিয়ে যাচ্ছেন। সুতরাং যারাই উনার অবারিত ধারার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে তাদেরই জীবন কামিয়াব হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের জন্যই হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার কাছে খাছভাবে এই দোয়াই চাই। (আমীন)

-আহমদ আজিমা ফারহা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।