নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো

সংখ্যা: ২০৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো

ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি করতে সরকার তৎপর

কিন্তু সংবিধান দেশ বিরোধী তথাকথিত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রতি সরকারের পদক্ষেপ কোথায়?

 

 

গত জুন মাসেই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে ভর্তি শেষে জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসব স্কুল হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অংকের টাকা। নগরীতে সবার চোখের সামনে শিক্ষার নামে দীর্ঘদিন ধরে এই গলাকাটা ব্যবসা চললেও নির্বিকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কেবল একটি বা দুটি স্কুলেই নয়, অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে উন্নত শিক্ষা প্রদানের নামে হাজার হাজার তথাকথিত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার নামে চলা বহুমুখী প্রতারণার চিত্র। অনুসন্ধানে ভেতরে কোচিং সেন্টার আর বাইরে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সাইনবোর্ডেরও অসংখ্য প্রমাণ পেয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। জানা গেছে, দেশে আসলে কতটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল আছে তার সঠিক সংখ্যা নেই সরকার ও বেসরকারী কোন প্রতিষ্ঠানের কাছেই। তবে এগুলো এতই নিয়ন্ত্রণহীন যে দেশজুড়ে অন্তত ১৮ হাজার ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অস্তিত্ব আছে বলে ধারণা করা হলেও সরকারের সাময়িক রেজিস্ট্রেশন আছে মাত্র ৯১টির। আর ব্যানবেইস বলছে, ইংলিশ মিডিয়ামের নামে যত হাজার প্রতিষ্ঠানই থাকুক না কেন ইংলিশ মিডিয়াম হিসেবে বিবেচনা করা যায় এমন প্রতিষ্ঠান হবে সর্বোচ্চ ২০০টি। বাকিরা ইংলিশের নামধারী ভূঁইফোড় কিন্ডারগার্টেন না হয় কোচিং সেন্টার। উন্নত শিক্ষার নামে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল সেজে শিক্ষার নামে রীতিমতো প্রতারণা চলছে দেশজুড়ে। যেখানে নিয়ম-শৃঙ্খলার বালাই নেই।

স্কুলগুলো ভর্তির সময় প্রচার করে তারা ছাত্রছাত্রীদের পড়ায় অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজের সিলেবাস অনুযায়ী।

যদিও নগরীর নামি স্কুলগুলো তার কোন প্রমাণ দিতে পারেনি। স্কুলগুলোতে পড়ানো হচ্ছে ভারতীয় ইংলিশ মিডিয়াম সিলেবাস। এতে এদেশে শুধু ভারতীয় কালচারই সয়লাব করা হচ্ছেনা পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল অংকের ভর্তি ফি ও বেতন আদায় করা হচ্ছে।

দেশে বর্তমানে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সংখ্যা কত তা সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জানা নেই। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরেও (মাউশি) এ বিষয়ে কোন তথ্য নেই। বেশ কয়েকবার এসব স্কুলগুলোকে তালিকাভুক্তি এবং বাছাইয়ের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে কিন্ডারগার্টেন স্কুল এবং ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল সম্পর্কিত একটি কমিটি গঠনের কথা বলা হলেও পরবর্তীতে তা হয়নি।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ধানমন্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে স্ট্যান্ডার্ড ওয়ানে ভর্তি ফি, উন্নয়ন ফি ও অন্যান্য ফিসহ ভর্তি হতে লাগে প্রায় ১ লাখ টাকা। আবার আগা খান স্কুল এন্ড কলেজে একই ক্লাসে ভর্তি হতে লাগছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। ম্যাপেল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে স্ট্যান্ডার্ড ওয়ানে ভর্তি হতে নেওয়া হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। উত্তরার ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হতে লাগছে ৩০ হাজার টাকা। স্কলাস্টিকা স্কুল এন্ড কলেজে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভর্তি ফি ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর প্রত্যেক ছাত্রেরই মাসিক বেতন প্রায় দশ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, এসব স্কুলগুলোর সিলেবাসে ইসলামের কোন নাম-গন্ধ তো দূরের কথা বরং বাংলাদেশ বিষয়ও চরম উপেক্ষিত থাকে। রাজধানীর রাজধানীর কয়েকটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড সিক্স-এর ভূগোল বই নিয়ে দেখা যায়, সেখানে আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার ভৌগোলিক অবস্থার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। আবার ইতিহাস বইতে রয়েছে আমেরিকা মহাদেশের ইতিহাস। কিভাবে আমেরিকা সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটেছে সেটাই পড়ানো হয়।

কয়েকটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বাংলা বই পড়ায়। বাংলা বইয়ের ৪ থেকে ৫টি গল্প-কবিতা পড়িয়েই সিলেবাস শেষ করা হয়। এছাড়া বাংলা ভাষার অন্য কোন বই নেই। শিশুদের ওপর অতিরিক্ত বইয়ের বোঝাও এসব স্কুলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। স্ট্যান্ডার্ড ওয়ানের শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় ১২ থেকে ১৪টি বই।

জানা গেছে, এ স্কুলগুলো এমপিও ভুক্ত নয়। সরকার থেকে তারা কোন ধরনের সাহায্য নেয় না। তাই সরকারি নির্দেশাবলীও তারা মানতে চায় না।

সঙ্গতকারণেই আমরা মনে করি অবিলম্বে এ বছরের মধ্যেই কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও ইংলিশ মিডিয়ামগুলোর লাইসেন্সের ব্যবস্থা করা দরকার। পাশাপাশি তাদের শিক্ষা পাঠ ও পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।

ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভুল ইংরেজি শিক্ষা দেয়া হয়। এখানে শিক্ষা প্রদান এবং গ্রহণের প্রক্রিয়া দুটোই ত্রুটিপূর্ণ। সরকার এখনই এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, দেশের সংস্কৃতিতেও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলা যাবেনা বরং বলতে হয় ক্রমশই মারাত্মক কু-প্রভাব পড়ছে।

-মুহম্মদ আরিফুর রহমান

 

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।