ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার: মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫৩)

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

 

প্রসঙ্গ : স্বীয় শায়খ বা মুর্শিদ ক্বিবলা-উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টির লক্ষ্যে নিম্নলিখিত দশটি মাক্বাম হাছিল করার কোশেশ করবে।

(৩) রিয়াজত-মাশাক্কাত

দশটি মাক্বাম হাছিলের অভিলাষী মুরীদের তৃতীয় করণীয় হচ্ছে রিয়াজত-মাশাক্কাত। শায়খ বা মুর্শিদ ক্বিবলা-উনার ছোহবত ইখতিয়ার, যিকির-ফিকির, ইবাদত-বন্দিগী সুসম্পন্ন করার জন্য দুঃখ, কষ্ট, তাকলীফ সহ্য করা তথা রিয়াজত-মাশাক্কাত করা আবশ্যক। হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শায়খণ্ডউনার ৩৩ বছর ছোহবত ইখতিয়ার করেছিলেন।

যিকির-ফিকির ও রিয়াজত-মাশাক্কাত করেছিলেন। উনার জীবনের সেই ঘটনাটি আগত-অনাগত সকল মুরীদের জন্যই উপদেশস্বরূপ। হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ উত্তরকালে সকল মাশায়িখে ইজাম স্ব স্ব মুরীদদেরকে উনার সেই ঘটনাটি বর্ণনা করে শুনাতেন। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী, তিনিও নছীহতস্বরূপ উক্ত ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন এবং তার অতি সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন। যা অত্র নিবন্ধে ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে-

(ধারাবাহিক)

মূলত রিযিক আল্লাহ পাক দান করেন, বরকতও আল্লাহ পাক দিয়ে থাকেন। যেমন বলা হয়ে থাকে বরকতের ব্যাপারে, হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম-এর উদাহরণ। যখন আল্লাহ পাক উনাকে সমস্ত কায়িনাতের জিম্মাদারী দিলেন, তখন উনি খুব খুশি হয়ে শোকরানাস্বরূপ আল্লাহ পাককে বলেছিলেন, আল্লাহ পাক! আমি শোকরানা স্বরূপ সমস্ত মাখলুকাতকে এক বৎসর খাওয়াতে চাই। আল্লাহ পাক বললেন, সেটা সম্ভব নয়। অতঃপর বললেন, তাহলে আল্লাহ পাক ছয় মাস। তাও সম্ভব নয়। তারপর বললেন, এক মাস। আল্লাহ পাক বললেন, তাও সম্ভব নয়। ১৫ দিন। আল্লাহ পাক বললেন, তাও সম্ভব নয়। ৭ দিন। তাও সম্ভব নয়। উনি বললেন, আল্লাহ পাক আমাকে কমপক্ষে একদিন দান করুন, শোকরানাস্বরূপ সমস্ত মাখলুককে কিছু খাওয়াই। আল্লাহ পাক বললেন, দেখুন এটা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। আমি রিযিকের জিম্মাদার, এটা কারো পক্ষে পারা স্বাভাবিক নয়। উনি বললেন, আল্লাহ পাক আমাকে একটু ইজাজত দিন। আল্লাহ পাক বললেন, বেশ চেষ্টা করুন। উনি এক বৎসর যাবৎ খাদ্য জমা করতে লাগলেন। জমা করতে করতে খাদ্যের পাহাড় জমা করে ফেললেন। যেদিন খাওয়ার সময় হলো, সমস্ত মাখলুকাত আসল খাওয়ার জন্য। সমুদ্র থেকে একটা বড় মাছ উঠে আসল। এসে বললো- আল্লাহ পাক-এর নবী আলাইহিস সালাম! কোথায় খাওয়া রেখেছেন? আপনি যে মেহমানদারীর জন্য দাওয়াত দিয়েছেন, আমাদের খাদ্যের বন্দোবস্ত করেছেন, কোথায় আপনার খাওয়া? উনি বললেন, ঐ যে দেখ আকাশ পরিমাণ খাদ্যের পাহাড় দেখা যায়। খাদ্যের পাহাড়টা মনে হয় আকাশে গিয়ে ঠেকেছে। এত খাদ্য জমা করেছি তোমাদের জন্য যাও। আল্লাহ পাক-এর কুদরত ঐ মাছ এক লোকমায় সব খেয়ে ফেললো। সুবহানাল্লাহ! খেয়ে বললো- হে আল্লাহ পাক-উনার নবী আলাইহিস সালাম! আমি প্রতিদিন এ রকম তিন লোকমা খেয়ে থাকি, আর বাকি দুই লোকমা কোথায়? কিতাবে উল্লেখ করা হয়, হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম সিজদায় পড়ে গেলেন এবং আরয করলেন, আল্লাহ পাক এটা কি? এত খাদ্য জমা করলাম। বাতাসকে হুকুম করলাম। বাতাস তুমি প্রবাহিত হতে থাক। খাদ্যকে বললাম, হে খাদ্য তুমি নষ্ট হয়োনা। পাহাড় পাহাড় খাদ্য জমিয়ে ফেললাম। কিন্তু সেই খাদ্য এক মাছই এক লোকমায় খেয়ে ফেললো। তাহলে অন্য মাখলুকাত কি খাবে? আল্লাহ পাক বললেন, “হে হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম! আমি বলেছিলাম, এটা আমার কুদরত। আপনি অস্থির হবেন না। আমি সমস্ত মাখলুকাতকে কুদরতীভাবে পেট ভরিয়ে দিব।” সুবহানাল্লাহ! তাই হলো। সকলেই কুদরতীভাবে পেট ভরে বিদায় নিল। কাজেই,

وما من دابة فى الارض الا على الله رزقها

“যমীনে যত প্রাণী রয়েছে, সকলের রিযিকের জিম্মাদার স্বয়ং আমি আল্লাহ পাক।” (সূরা হূদ-৬)

মানুষ খাওয়ায়ে কারো পেট ভরাতে পারবে না। হাজারো খাওয়ার দ্বারা পেট ভরাতে পারবে না। ঠিক তার বিপরীত দেখেন, হযরত নুহ আলাইহিস সালাম-এর ওয়াকিয়া। হযরত নূহ আলাইহিস সালাম-উনার ওয়াকিয়া ঠিক তার বিপরীত। উনি যখন কিশতি তৈরি করেছিলেন, কিশতি প্রায় তৈরি হয়ে গেছে। চারটা তক্তা বাকি রয়ে গেছে, মাত্র চারটি তক্তা। খুলাফায়ে রাশিদীন হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত উসমান যুন নূরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু চারজনের নামে চারটি তক্তা বাকি রয়েছে। আল্লাহ পাক হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম-কে বললেন, “আপনি গিয়ে হযরত নূহ আলাইহিস সালামকে বলেন, চারটা তক্তা নীলনদের মধ্যে রয়েছে, ওখান  থেকে তুলে আনতে হবে, এনে লাগাতে হবে।” কে তুলে আনবে? উনার ছেলেদেরকে বললেন, উনারা বললেন, কি করে সম্ভব আমাদের পক্ষে? আমরাতো পারবো না। এক পাহলোয়ান ছিল, তাকে বলা হলো- সে বললো, হ্যাঁ, আমি পারবো। তবে আমার একটা শর্ত রয়েছে। কি শর্ত? আমাকে পেট ভরে খাওয়াতে হবে। হযরত নূহ আলাইহিস সালাম বললেন, বেশ কোন অসুবিধা নেই। আমি তোমাকে খাওয়াব ইনশাআল্লাহ। তখন সে তুলে দিল। উনি তাকে নিয়ে আসলেন, ঘরে এনে আটার তৈরি তিনটি রুটি তার সামনে পেশ করলেন। পেশ করে বললেন, তুমি খাও বিসমিল্লাহ বলে। সে দেখে তো তাজ্জুব হয়ে বললো, হে হযরত নূহ আলাইহিস সালাম, আপনি কি আমার সাথে ঠাট্টা করেন, মশকারী করেন? উনি বললেন, সাবধানে আদবের সাথে কথা বলো। কারণ নবী রসূলগণ কখনো ঠাট্টা বা মশকারী করেন না। তুমি এ কথা বলছো কেন? সে তখন বললেন, আপনি বলেছেন, আমাকে পেট ভরে খাওয়াবেন। আমি প্রতিদিন বার হাজার রুটি খাই, আমার পেট ভরে না। আর আপনি তিনটা রুটি দিয়েছেন আমাকে, এতে আমার কি হবে? উনি বললেন, হে ব্যক্তি তুমি স্মরণ রেখ তোমার কথা। তোমার ওয়াদা তুমি স্মরণ রেখ। তোমার সাথে আমার ওয়াদা হয়েছে তোমার পেট ভরে দেয়া। সংখ্যা দিয়ে ওয়াদা হয়নি। সে বললো, হুযূর বেয়াদবী মাফ করবেন। সত্যিই ওয়াদা হয়েছে পেট ভরানো দিয়ে, সংখ্যা দিয়ে নয়। উনি বললেন, তুমি বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া শুরু কর। সে খাওয়া শুরু করলো। আল্লাহ পাক-এর কুদরত সে দেড়টা রুটি খাওয়ামাত্র তার পেট ভরে গেল, সুবহানাল্লাহ! সে বললো- হে হযরত নূহ আলাইহিস সালাম, আজকে জীবনে প্রথম পেট ভরে আমি খাদ্য খেলাম, এর পূর্বে কোনদিন আমি পেট ভরে খেতে পারিনি, আমার সামর্থ্য হয়নি। এখন ফিকির করেন-

وما من دابة فى الارض الا على الله رزقها

“যমীনে যত প্রাণী রয়েছে, সকলের রিযিকের জিম্মাদার স্বয়ং আমি আল্লাহ পাক।” (সূরা হূদ-৬)

হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, হুযূর! আমি যখন বারবার এটা ফিকির করলাম, এই আয়াত শরীফ ফিকির করে দেখলাম, সত্যিই রিযিকের জিম্মাদার তো আল্লাহ পাক। মানুষ তো রিযিকের জিম্মাদার নয়। তখন আমি আমার রিযিকের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হয়ে গেলাম। আমার রিযিকের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হয়ে গেলাম যে, সত্যি কথাই রিযিকতো আলাহ পাক দেবেন। তখন হযরত শাক্বীক্ব বল্খী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন যে, হে হাতেম আসেম উত্তম মাসয়ালা তুমি শিক্ষা করেছ। তোমার সপ্তম মাসয়ালাটি কি?

এরপর উনি বললেন যে, হুযূর আমি আরো ফিকির করতে লাগলাম রিসার্চ করতে লাগলাম কুরআন শরীফ-এর মধ্যে। বারবার পড়তে লাগলাম, পড়তে পড়তে একটা আয়াত শরীফ পেলাম। আল্লাহ পাক বলেছেন-

ان الشيطان لكم عدو فاتخذوه عدوا

অর্থ: “শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ কর।” (সূরা ফাতির-৬)

মানুষ মানুষকে শত্রু মনে করে, একজন মানুষ একজন মানুষকে শত্রু মনে করে। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, পরিচিত-অপরিচিত লোক একজন অন্যজনকে শত্রু মনে করে কিন্তু আল্লাহ পাক    বলেছেন, “একমাত্র শয়তানই তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু, তাকেই শত্রু হিসেবে গ্রহণ কর। আর কাউকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করো না।” আমি যখন এই আয়াত শরীফ পেয়ে গেলাম, তখন আমি শয়তানকেই শত্রু হিসেবে গ্রহণ করলাম। কারণ শয়তানই সমস্ত কিছুর মূল। যখন মানুষের কাঁধে শয়তান সাওয়ার হয়, তখনই সে পাপ কাজ করে, তখনই সে খারাপ কাজ করে। মূলত মানুষের তো কোন দোষ নেই। শয়তান ওয়াসওয়াসা দিয়ে থাকে। এজন্য আল্লাহ পাক বলেছেন, “শয়তানকে প্রকাশ্য শত্রু হিসেবে গ্রহণ কর।” তখন আমি শয়তানকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করলাম। আর সমস্ত মখলুকাতের সাথে আমি শত্রুতাভাব ত্যাগ করলাম। তাদের সাথে আমি একটা মুহব্বতের সম্পর্ক পয়দা করে নিলাম। সুবহানাল্লাহ! হযরত শাক্বীক্ব বল্খী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন যে, তুমি উত্তম জিনিস শিক্ষা করেছ।

এ প্রসঙ্গে বলা হয় যে, শয়তান যে মানুষের মধ্যে ফিতনা পয়দা করে। শয়তান মানুষের মধ্যে ফিতনা পয়দা করে কি করে? তার একটা মিছাল কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এক আল্লাহ পাক-এর ওলী বর্ণনা করেন, উনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন, ইবলিস এক জায়গায় দাঁড়ানো। উনি ইবলিসকে দেখে বললেন, ইবলিস তুমি এখানে কি কর? নিশ্চয়ই তোমার আশে-পাশে ফিতনা লাগায়েছ। সে বললো- না হুযূর, আমি কোন ফিতনা করিনি। সেই বুযুর্গ ব্যক্তি একটু সামনে গেলেন। গিয়ে দেখেন মারামারি হচ্ছে। উনি বললেন, হে ইবলিস তুমি নিশ্চয়ই মারামারিটার মূল। সে বললো- হুযূর আমি মারামারি লাগাইনি। কি করেছ তুমি? আমি শুধু ছোট একটা কাজ করেছি, আর কিছুই করিনি। কাজটা হলো এই যে, দুই বাড়িতে মারামারি হচ্ছে দুই বাড়ির সীমানার মধ্যে এক ফোঁটা মিষ্টির রস ফেলে দিয়েছিলাম। যার কারণে সেখানে পিঁপড়া আসল, পোকা-মাকড় আসল। তা দেখে ইঁদুর আসল, ইঁদুর দেখে বিড়াল আসল। বিড়াল দেখে প্রতিবেশির কুকুরটা আসল। কুকুর বিড়ালকে কামড় দিল, আর বিড়ালওয়ালা কুকুরের মাথায় বাড়ি দিল। তখন সে কুকুরওয়ালা উত্তেজিত হয়ে বিড়ালওয়ালার মাথায় বাড়ি দিয়ে তাকে হত্যা করে ফেললো। মূলত আমি শুধু একফোঁটা রস ফেলেছিলাম। কিন্তু বিরাট একটা ফিতনা পয়দা হয়ে গেল। ঠিক ইবলিসের কাজগুলি এরকমই হয়ে থাকে। মূলত বড় কাজটা তো সে করেনি, সে শুধু শুরু করে দেয়। এরপরে আর তার কিছু করা লাগেনা। ইবলিস যখন কোন মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে ওয়াসওয়াসা দেয়। হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ইবলিস নিজে বর্ণনা করেছে যে, মানুষকে আমি যখন গোস্বার মধ্যে পাই, বলের মত তাকে আমি চক্কর খাওয়াতে থাকি। সে তখন আমার তাবেদার হয়ে সে কি করে, তার নিজেরও হুঁশ থাকে না। কাজেই ইবলিস হলো মানুষের শত্রু। আল্লাহ পাক বলেন, তাকে প্রকাশ্য শত্রু হিসেবে গ্রহণ কর। হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, তখন আমি সমস্ত শত্রুতা, সমস্ত বিদ্বেষ-হিংসা-কিনা, যত বদ খাছলত রয়েছে, তা ছেড়ে দিয়ে একমাত্র মনে করলাম শয়তানই আমাদের শত্রু, আর কারো সাথে আমাদের শত্রুতা নেই। সবার সাথে মুহব্বত আমি তা জারি করে দিলাম। হযরত শাক্বীক্ব বল্খী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, তুমি উত্তম মাসয়ালা শিক্ষা করেছ। (অসমাপ্ত)

 ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৪৮)

 ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছারল ল মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৪৯)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫০)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার: মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫১)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছারল: মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫২)