বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২০ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

সংখ্যা: ১৮৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

বর্তমানে ইসলামের নামে বা মুসলমানের ছূরতে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে বা মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করণে ইহুদী-নাছারাদের খাছ দালাল বা এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করছে তারা হলো-

১.      শিয়া, ২. কাদিয়ানী, ৩. ওহাবী।

ওহাবী বাতিল ফিরক্বা

বর্তমানে ইসলামের ছূরতে মুসলমানের ঈমান-আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যে দলটি, সেটি হচ্ছে- ‘ওহাবী ফিরক্বা’। অর্থাৎ ইবনে ওহাব নজদীর অনুসারীরা। আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মুতাবিক ওহাবীরা বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত। কারণ তাদের আক্বীদা ও আমল আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের খিলাফ।

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

ইবনে ওহাব ইহুদী দালাল বৃটিশ গুপ্তচর হেমপারের স্বীকারোক্তি

শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। “ঈড়হভবংংরড়হ ড়ভ ইৎরঃরংয ঝঢ়ু ধহফ ইৎরঃরংয বহসরঃু ধমধরহংঃ ওংষধস” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তিমূলক রচনা। মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর মতামত বিভাগে ১২৪তম সংখ্যা থেকে ১৭৭তম সংখ্যায় তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।নিম্নে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো-

ব্রিটিশ গোয়েন্দা অফিসার মি. হেমপার তুরস্কের শায়খ আফিন্দীর নিকট ছদ্ধবেশী মুসলমান সেজে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ চর্চা করে ইবনে ওহাব নজদীর একান্ত বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল। দ্বীন ইসলামের বিভিন্ন মৌলিক বিষয় নিয়ে তাদের (উভয়ের) মধ্যে যে আলাপ-আলোচনা হয়, তা মি. হেমপার তার ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে।

ব্রিটিশ গোয়েন্দা অফিসার মি. হেমপারের ডায়েরিটি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় যখন জার্মানীর হস্তগত হয়, তখন জার্মান পত্রিকা ইসপিগল তা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে। এতে ব্রিটিশদেরকে বিশ্ব সমাজের নিকট অত্যন্ত লজ্জিত হতে হয়। ডায়েরিটি ফারসী পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছিল। জনৈক লেবাননী বুদ্ধিজীবী তা আরবীতে অনুবাদ করেন।

মি. হেমপার লিখেছে- আমি যখন তরখানের কাজে নিয়োজিত ছিলাম তখন একজন লোকের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। তিনি সেখানে যাতায়াত করতেন এবং তুর্কী, ফার্সী, আরবী ভাষায় কথা বার্তা বলতেন। তিনি দ্বীনি তালেবে ইলমের পোষাক পরিধান করতেন। তাঁর নাম হল ইবনে আব্দুল ওহাব। তিনি উচ্চাভিলাষী, সম্মানাকাঙ্খী এবং ধোপ দুরন্ত লোক ছিলেন। উসমানী সরকারের প্রতি অত্যন্ত ঘৃণা পোষণ করতেন ও সর্বদা তাঁদের সমালোচনা করতেন। কিন্তু ইরান সরকারের সাথে তাঁর কোন যোগাযোগ ছিলনা। তরখান আব্দুর রেজার সাথে তাঁর বিশেষ সম্পর্কের কারণ- উভয়েই উসমানী খলীফাকে নিজের পরম শত্রু মনে করতেন। কিন্তু এটা আমার বোধগম্য হয়নি যে, তিনি কি কারণে আব্দুর রেজা তরখানের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুললেন। অথচ একজন ছিলেন সুন্নী মতবাদের দাবীদার আর অপরজন ছিল শিয়া মতাবলম্বী। আমি এটাও জানতে পারিনি তিনি ফার্সী ভাষা কোথায় শিখলেন। অবশ্য বসরায় শিয়া সুন্নীরা এক সাথে জীবন যাপন করত। উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিদ্যামান ছিল। সেখানে আরবী ও ফার্সী উভয় ভাষার প্রচলন ছিল। অবশ্য তুর্কী ভাষা জানা লোকের সংখ্যাও একেবারে কম ছিলোনা। (চলবে)

 – মুহম্মদ আবুল হাসান, বাসাবো, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৬

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

আশ্চর্য হলেও সত্য যে সব যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারাই মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম বিরোধী । ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’ এ প্রতিশ্রুতির সরকারের কাছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এ দাবি- অবিলম্বে দেশ থেকে মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম বিরোধী সব মাওলানা নামধারীদের বহিষ্কার করা হোক ।