বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

বর্তমানে ইসলামের নামে বা মুসলমানের ছূরতে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে বা মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করণে ইহুদী-নাছারাদের খাছ দালাল বা এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করছে তারা হলো-   ১. কাদিয়ানী ২. শিয়া, ৩. ওহাবী।

ওহাবী বাতিল ফিরক্বা

বর্তমানে ইসলামের ছূরতে মুসলমানের ঈমান-আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যে দলটি, সেটি হচ্ছে- ‘ওহাবী ফিরক্বা’। অর্থাৎ ইবনে ওহাব নজদীর অনুসারীরা। আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মুতাবিক ওহাবীরা বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত। কারণ তাদের আক্বীদা ও আমল আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের খিলাফ।

ইবনে ওহাব ইহুদী দালাল

ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপারের স্বীকারোক্তি

শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। “ঈড়হভবংংরড়হ ড়ভ ইৎরঃরংয ঝঢ়ু ধহফ ইৎরঃরংয বহসরঃু ধমধরহংঃ ওংষধস” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তিমূলক রচনা। মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর মতামত বিভাগে ১২৪তম সংখ্যা থেকে ১৭৭তম সংখ্যায় তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নিম্নে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো-

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

আব্দুল ওহাবের চরিত্রহীনতা

অন্যদিনের ঘটনা আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম মহিলাদের সাথে মূতয়া বিবাহ (সুনির্দিষ্ট সময়ের শর্তে বিবাহ) জায়িয কি না? তিনি বললেন কখনো না। আমি বললাম, তাহলে কুরআন এটা জায়িয বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন? আর যখন তোমরা তাদের সাথে মূতয়া করবে তখন তাদের মুহর আদায় করে দাও। (সূরা নিসা ২৪ আয়াত)

তিনি বললেন: হ্যাঁ আয়াত নিজের জায়গায় ঠিকই আছে। কিন্তু হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন, মূতয়া রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যামানায় হালাল ছিল, আমি আজকে এটাকে হারাম করলাম। এখন যদি কেউ এতে লিপ্ত হয় তাকে আমি শান্তি দিব। আমি বললাম, আশ্চর্যের বিষয় আপনি হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে অনুসরণ করেন, অথচ নিজেকে তার চেয়ে বেশি জ্ঞানী বলে মনে করেন। হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর কি অধিকার আছে যে তিনি মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক হালালকৃত বস্তুকে হারামে পরিণত করবেন? আপনি কুরআনের সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর সিদ্ধান্ত মেনে নিলেন। ইবনে আব্দুল ওহাব এ কথা শুনে চুপ হয়ে গেলো। তার চুপ থাকাই সম্মতির লক্ষণ বলে প্রতীয়মান হত। এ বিষয়ে তার চিন্তা ধারা শুধরিয়ে আমি তার যৌন উত্তেজনাকে উদ্বুদ্ধ করতে লাগলাম। তিনি তখনও অবিবাহিত ছিলেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি মূতয়ার দ্বারা নিজের জীবনকে আনন্দদায়ক করতে চান? ইবনে আব্দুল ওহাব সম্মত ও আশান্বিত হয়ে নিজের মাথা নাড়ালেন। আমার দায়িত্বের শেষ সীমানায় আমি পৌঁছে গেলাম। আমি তার সাথে ওয়াদা করলাম যে, যে কোনভাবেই আমি আপনার জন্য এর ব্যবস্থা করব। আমার একটা ভয় ছিল- ইবনে আব্দুল ওহাব বসরার সুন্নীদের ভয়ে ভীত হয়ে না পড়েন। কেননা সুন্নীরা মুতয়া বিরোধী। আমি তাকে আশ্বাস দিলাম যে, আমার প্রোগ্র্রাম একেবারেই গোপনীয় থাকবে। এমনকি মহিলাটিকেও আপনার নাম বলা হবে না। এ কথাবার্তার পরক্ষণেই আমি নির্দিষ্ট এলাকায় চলে গেলাম। (চলবে)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৪

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৩

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস