বেমেছাল মহিমান্বিত ২২শে শাওওয়াল শরীফ মুবারক হো ঈদুন নিক্বাহিল আযীম যথাযথভাবে এ দিন পালন একদিকে কুতুবুল আলম উনাদের মা’রিফাত জানায় অপরদিকে ভূমিকম্প সহ সব আযাব-গযব রক্ষার পথ বাতলায়, বাঁচার উসীলা দেয়

সংখ্যা: ২০৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।

১৫ই সেপ্টেম্বর ২০১১ ঈসায়ী তারিখে বাংলাদেশে ৬০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছে। একই ভূমিকম্পে ভারত ও নেপালে জান-মালের বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ভূমিকম্প এখন গোটা বিশ্বে হরদম হচ্ছে। হাইতিতে প্রায় দশ লাখ লোকের মৃত্যু হয় ভূমিকম্পে। চিলি, আলাস্কার পর শক্তিশালী দাবীকৃত দেশ জাপানও ভূমিকম্পে তছনছ হয়েছে।

ভূমিকম্প ছাড়াও বন্যা, খরা, তুফান, জলোচ্ছাস, ঘূর্ণিঝড় ও দাবানলে একের পর এক বিপর্যস্ত হচ্ছে তথাকথিত সুপার পাওয়ার আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া সহ গোটা কাফির বিশ্ব। অবস্থা দৃষ্টে প্রতিভাত হচ্ছে যে, যে কোনো সময়ে বিরাট ধরনের ভূমিকম্পে লাখো থেকে কোটি লোকের মৃত্যু হতে পারে। হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হতে পারে।

কথিত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এক ঢাকায়ই মোটামুটি ধরনের ভূমিকম্প হলেই ৭০ হাজার বাড়িঘর নিমিষেই নিশ্চিহ্ন হবে। মৃত্যুবরণ করবে লাখো লাখো লোক। মূলত : এ শঙ্কার কথা এখন প্রচারণার ঊর্ধ্বে। গণ মানুষ নিজেরাই তা মর্মে মর্মে অনুভব করছে। কিন্তু ভূমিকম্প, খরা, বন্যা, সিডর ইত্যাদির কাছে কথিত শক্তিশালী দৈত্য রাষ্ট্রও নিতান্ত অসহায়, অবলা ও অকর্মণ্য। দেশবাসীর সামনে আজ তাই প্রশ্ন উপস্থিত, ভূমিকম্প সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা দুর্ভাগার মত মৃত্যুবরণ করবে? তাদের সামনে করার কিছু আছে?

বলাবাহুল্য ভূমিকম্পের বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রযন্ত্র এ পর্যন্ত কিছু বলেনি। কিছু বলার ক্ষমতাও তার নেই। তবে একটা বিষয় অনিবার্য সত্য যে, এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নাজাত পেতে হলে প্রকৃতির যিনি সৃষ্টিকর্তা তথা নিয়ন্ত্রক উনার এবং উনার মনোনীত প্রতিনিধিগণ উনাদের মুখাপেক্ষী হতে হবে।

প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, মহান আল্লাহ পাক তিনিই সব প্রাণীর মালিক। কিন্তু তাদের জান কবজ করার দায়িত্ব হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি দিয়েছেন। অনুরূপ হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘প্রত্যেক যুগে ৭ জন কুতুবুল আলম থাকবেন। তাদের উসীলায় পৃথিবী রক্ষা হবে, বৃষ্টি বর্ষণ হবে, মানুষ রিযিক পাবে।’

সঙ্গতকারণেই তা বলতে হয় হাদীছ শরীফ-এ উল্লিখিত এই সাত জন কুতুবুল আলম উনাদের খুঁজে নেয়া, ছোহবতে যাওয়া, খিদমত করা উম্মাহর জন্য ফরয ওয়াজিব। এবং কেবলমাত্র উনাদের সুপারিশ ও দোয়া মুবারক-এই মানুষ ও পৃথিবী সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ তথা ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেতে পারে।

এ উম্মাহর সৌভাগ্য যে, এক সাথে সাতজন কুতুবুল আলম উনারা বসবাস করছেন, এই বাংলাদেশে; রাজারবাগ শরীফ-এ।

অনিবার্য কারণেই উনাদের সম্পর্কে অবগত হওয়া ও উনাদের প্রতি নিবেদিত হওয়া বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের সব মুসলমানগণের জন্য ফরয-ওয়াজিব।

প্রসঙ্গত: ২২শে শাওওয়াল শরীফ্ কুতুবুল আলম, উম্মু আবীহা, লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, নাক্বীবাতুল উমাম, হযরত শাহযাদী উলা ক্বিবলা আলাইহাস সালাম এবং কুতুবুল আলম, শাফীউল উমাম, বাবুল ইলম, কায়িম-মাক্বামে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাদের মহিমান্বিত আক্বদ মুবারক-এর দিন। উনাদের সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণে এ দিনটি বিশেষ মর্যাদা-মর্তবাময়।

প্রসঙ্গত: আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ ফরমান- মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দশন সম্বলিত দিবসসমূহকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দীগণের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে। (সূরা ইবরাহীম : আয়াত শরীফ ৫)

মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা মারইয়াম-এর ১৫ নম্বর আয়াত পাক-এ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার শানে ইরশাদ ফরমান- “উনার প্রতি শান্তি সালাম অবারিত ধারায় বর্ষিত হোক যেদিন তিনি দুনিয়ায় আগমন করেন অর্থাৎ বিলাদত শরীফ লাভ করেন ও যেদিন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন আবার যেদিন তিনি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবেন।” সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতগণকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট নুবুওওয়াতের দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাই না। তবে আমার নিকটজন তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদের প্রতি সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা : আয়াত শরীফ ২৩)

এসব আয়াত শরীফ থেকে প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানসহ কায়িনাতের সকলের জন্যই উপলব্ধি করা জরুরী যে, ২২ শে শাওওয়াল শরীফ-এ আজিমুশ শান ঈদুন নিক্বাহিল আযীম-এর স্মরণ, এদিনে খুশী প্রকাশ, এদিন যথাযথভাবে পালন উম্মাহর জন্য বেমেছাল রহমত, বরকত, ফযীলত ও সাকীনা হাছিলের কারণ।

কিন্তু অতীব দুঃখজনক হলেও সত্য, এ বিষয়ে মিডিয়া তথা রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্ধারক মহল, পরিচালক মহল এমনকি নামধারী উলামায়ে ছু’য়ের মাঝেও কোনো আলোড়ন বা অংশগ্রহণ নেই।

ফলত: যা হবার তাই হচ্ছে। উম্মাহ বা দেশবাসী আযাব-গযবে আক্রান্ত হচ্ছে। বরং দিন দিন আরো ভয়াবহ গযবের মুখোমুখি হচ্ছে। (নাঊযুবিল্লাহ!) কিন্তু তারপরেও মানুষ বেখবর! তাদের প্রসঙ্গেই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তবে কী উত্তম পথের চেয়ে নিকৃষ্ট পথই তোমাদের পছন্দ?”

মূলত: আযাব-গযব থেকে রক্ষার একটাই পথ, সেটা হল রহমত। আর এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত যাঁরা মুহসিনীন উনাদের নিকটবর্তী।”

এক্ষেত্রে যারা কুতুবুল আলম উনারাই রহমতের আধার। মূল ধারক ও বাহক। আর ৭ জন কুতুবুল আলম উনাদের মধ্যে যিনি প্রধান তিনিই ইমামুল আইম্মাহ। তিনিই মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। বাকী সব কুতুবুল আলম উনারা সবাই উনার মুবারক আহাল ও ইয়াল। সুবহানাল্লাহ!

সঙ্গতকারণেই উনাদের মুবারক ছোহবত ব্যতিরেকে বর্তমান উম্মাহর মাঝে একদিকে হিদায়েত লাভ অপরদিকে আযাব-গযব থেকে রক্ষার দোসরা কোনো পথ খোলা নেই।

এ অমোঘ সত্য এ উম্মাহ যত তাড়াতাড়ি অনুধাবন করবেন তত তাড়াতাড়িই তারা দ্বীন-দুনিয়ার ভালাই কামাতে পারবেন।

মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনাদের লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ ও লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম আমাদের সবাইকে কোন কারণ ছাড়াই কবুল করুন ও কামিয়াব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ জিসান আরীফ

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।