বোরকা তথা পর্দার বিরুদ্ধে বলতে পারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৌরবের কোনো বিষয়তো নয়ই বরং তা নিজেদেরই লাঞ্ছনা, ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ

সংখ্যা: ২০১তম সংখ্যা | বিভাগ:

কোটি কোটি মাখলুকাত মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ-নির্দেশ মেনে নিয়েছে, স্বীকার করে নিয়েছে। যারা স্বীকার করেনি, মানেনি তারা অবশ্যই নাফরমান কাফির এবং বেদ্বীন-বদদ্বীন এবং খাছ ইবলিসের উত্তরসুরি। ইবলিস ৬ লক্ষ বছর ইবাদত-বন্দেগী করার পরও আল্লাহ পাক উনার একটা আদেশ অহঙ্কার করে না মানার কারণে চির লা’নতপ্রাপ্ত, চির অভিশপ্ত হয়ে গেলো। আল্লাহ পাক তিনি ইবলিসকে জানিয়ে দিলেন- ‘তুই জান্নাত থেকে বের হয়ে যা।’ সুতরাং ইবলিস জান্নাত হারাল, রহমত থেকে বঞ্চিত হল জাহান্নাম ও জহমত তার জন্য নির্ধারিত হয়ে গেল।

মূলত সে প্রথম থেকেই নাফরমান ছিলো- তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটলো ‘হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সিজদা না করার ঘটনার মধ্যে দিয়ে। তবে কি আমরা এটাই বুঝবো যে, হাইকোর্টের বিচারকদ্বয়, শিক্ষামন্ত্রী ও ডেপুটি স্পিকার এরা মূলত পূর্ব থেকেই ইসলাম বিদ্বেষী! তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটলো আল্লাহ পাক উনার ফরয বিধান পর্দা তথা বোরকার বিরুদ্ধে বলার মাধ্যমে। আর আল্লাহ পাক তিনি সূরা আহযাবের ৩৬ নম্বর আয়াত শরীফ-এ জানিয়ে দিয়েছেন- “কোন মু’মিন নর-নারীর জন্য জায়িয হবে না, আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে ফায়ছালা করেছেন, সেই ফায়সালার মধ্যে চু-চেরা, কিল-কাল করা বা নিজস্ব মত পেশ করা। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও উনার রসূলের নাফরমানী করবে সে প্রকাশ্য গুমরাহে গুমরাহ হবে।” অথচ উক্ত ব্যক্তিবর্গ মু’মিনের পরিচয় তো দিলই না বরং প্রকাশ্যে গুমরাহীমূলক কথা বললো। অবশ্যই তথাকথিত ব্যক্তিবর্গ যদি নিজেদের ভুল বুঝে তওবা করে ফিরে আসে তবে তো আলহামদুলিল্লাহ! কিন্তু যদি ফিরে না আসে, তওবা না করে এবং আইনের রদবদল না করে তবে তাদের জন্য ‘মুসলমান’ দাবি করা সত্যিই কঠিন হয়ে যাবে। শরীয়তের পরিভাষায়-
তারা মুরতাদ;
দ্বীন ইসলাম থেকে খারিজ,
তাদের সব আমল বরবাদ হয়ে যাবে,
তাদের বিয়ে বাতিল হয়ে যাবে,
ওয়ারিছ স্বত্ব থাকলে বাতিল হয়ে যাবে,
ইসলামী শরীয়া আইন জারি থাকলে তাদের প্রতি মুরতাদের শাস্তি বর্তাবে।
পর্দা করা বা বোরকা পরা মুসলমানদের মৌলিক অধিকার। শুধু তাই নয়, বরং পর্দা একটা মানুষের ঈমান-আক্বীদাকে হিফাজত করে থাকে। পর্দা করা যেমন আল্লাহ পাক উনার বিধান এবং তার বাস্তব নিদর্শন হলো পর্দার বিধান নাযিল হওয়ার পর থেকেই উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও পর্দা করেছেন। যেহেতু আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ; সুতরাং পর্দার বিরুদ্ধে বলা মানেই আল্লাহ পাক উনার বিরুদ্ধে বলা এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সুমহান আদর্শের বিরুদ্ধে বলা। অর্থাৎ যারাই এরূপ বলবে তাদের ঈমানেরও ঘাটতি হবে এবং আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদারও বিপরীতে বলা হবে। সুতরাং ক্ষতিটা কার হবে? তাদেরই হবে। তাদের সাথে যারা সম্পর্ক করবে। তাদেরও হবে। মালও হারাবে, ঈমানও হারাবে।
অর্থাৎ উক্ত ব্যক্তিবর্গ হয়তো এতদিনে নিজেরাই আল্লাহ পাক উনার থেকে জুদা হলো, আল্লাহ পাক উনার হাবীব থেকে জুদা হলো মানও হারালো, ঈমানও হারালো।
আমরা সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার ওসীলায় এ প্রার্থনাই করছি যে- উলামায়ে ছূ’দের দ্বারা প্রভাবিত বাদশাহ আকবরের প্রেক্ষাপট যেন আর তৈরি না হয়। আমরা পানাহ চাচ্ছি ইবলিসের খাছ চক্রান্ত থেকে। ইবলিস এবং তার চেলাদের দৌরাত্ম্য থেকে আমরা মুসলমানগণ সবসময়ই যেন হিফাযত থাকতে পারি। আমীন।

-আজিমা ফারহা, ঢাকা।

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।

‘আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর তরফ থেকে জঙ্গি সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মুবারকবাদ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৫