ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলো শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে- ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর- হ্যামপার। সে মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।

(ধারাবাহিক)

তখন হযরত শরীফ আফেন্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছিলেন, এটা আমি পূর্বে একবার করেছিলাম। কিন্তু এখনতো এটা অসম্ভব।” মূলত এটা উনার পূর্ববর্তী ভুলেরই স্বীকারোক্তি। পরবর্তী পরিস্থিতিতে তিনি আত্মসমর্পণ করতে না চাইলেও মক্কা শরীফ-এর সম্মানিত অধিবাসীরা বললেন, æহে আমাদের আমীর! আপনার যিনি কিনা মুবারক পূর্ব পুরুষ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও কিন্তু হিকমতপূর্ণ সন্ধি করেছিলেন কাফিরদের সাথে (যা ছিলো মুসলমানদের মূলত বিজয়েরই বহিঃপ্রকাশ)

(হে হযরত শরীফ গালিব আফেন্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি!) আপনিও এই হানাদার ওহাবীদের সাথে চুক্তি করুন এবং আমাদেরকে মুক্তি দান করুন এই সমস্যার হাত থেকে। আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই একটি সুন্নত আপনার দ্বারা আদায় হবে এই কাজের দ্বারা (এটা মূলত তাদের ব্যাখ্যা, প্রকৃত ঘটনা হলো মূলত আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মূলত হুদায়বিয়ার সন্ধি দ্বারা অনেক কাফিরদেরকে মুসলমান বানিয়েছেন, কখনো আত্মসমর্পণ করেননি)। কারণ স্বয়ং আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত উসমান গণি যিননূরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে কুরাঈশদের কাছে পাঠিয়েছিলেন সন্ধি করার জন্য।”

হযরত শরীফ গালিব আফেন্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি তাদেরকে এই আত্মসমর্পণের ব্যাপারে শুরু থেকেই নিরুৎসাহিত করলেন এবং শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারে অবিচল ছিলেন এবং কোন প্রকার সন্ধি চুক্তি করেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি আব্দুর রহমান নামের একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অনব্যাহত চাপের কাছে নতি স্বীকার করেন। যখন মানুষ এই যন্ত্রণাভোগের ক্ষেত্রে শেষ সীমানায় চলে গেল আর পারছিল না। এটা আসলেই হযরত শরীফ গালিব আফেন্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বুদ্ধিমত্তার চরম পরিচায়ক ছিলো যে, তিনি আব্দুর রহমানকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সিলেক্ট করেছিলেন, যাতে মুসলমানদের উপর জোর জুলুম নির্যাতন থেকে জালিম সউদকে বিরত রাখা যায়। তিনি অবশ্য মক্কা শরীফ-এর অধিবাসী এবং সৈনিকদের কাছেও প্রশংসিত হন এই বলে, æআমার ইচ্ছার বিপরীতে আমি এই আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হচ্ছি। আমার পরিকল্পনা ছিল পবিত্র হজ্জের সময় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা।”

আত্মসমর্পণ এর পর সউদ ইবনে আব্দুল আযীয মক্কা শরীফ-এ প্রবেশ করে। সে পবিত্র কা’বা শরীফকে বাজে পশমী কাপড় দ্বারা আবৃত করে। হযরত শরীফ গালিব আফেন্দি রহমতুল্লাহি আলাইহিকে সে চাকরি হতে বরখাস্ত করে। ফিরআউনের মতো যেখানে সেখানে আক্রমণ চালায় এবং মানুষদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালায়। কারণ কোন সাহায্যই উসমানীয়দের কাছ থেকে আসেনি। হযরত শরীফ গালিব আফিন্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি অত্যন্ত জর্জরিত হয়ে যান। তিনি চতুর্দিকে একটি লোকশ্রুতি ছড়িয়ে দেন যে, মক্কা শরীফ-এর ওহাবী দস্যুদের হাতে আত্মসমর্পণ করার একমাত্র কারণ হলো উসমানিয়ান গভর্নমেন্ট-এর শিথিলতা এবং তিনি সউদকে প্ররোচিত করেছিলেন মিশরীয় এবং দামেস্কের হাজী ছাহেবানদের যেন মক্কা শরীফ-এ হজ্জ করতে না দেয়া হয়। তার আশা ছিলো তাতে উসমানিয়ানরা ক্ষেপে উঠে ওহাবীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে। (অসমাপ্ত)

 

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৪

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৩

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস