মহিমান্বিত ও মহাপবিত্র ২৫শে শাওওয়াল শরীফ ছিদ্দীক্বা শ্রেণীর প্রথম পর্যায়ের ওলীআল্লাহ সাইয়্যিদাতুন নিসা, হাবীবাতুল্লাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুমহান পবিত্র বিছাল শরীফ উনার দিন। উম্মাহর উচিত এ দিনের মা’রিফাত অর্জন ও হক্ব আদায়ে নিবেদিত হওয়া।

সংখ্যা: ২২৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ মুবারক ও সালাম মুবারক।

সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মু রসূলিনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক কী কেউ কখনো পালন করতে পেরেছেন? যিনি পেরেছেন তিনি কত বেমেছাল উঁচু স্তরের ওলীআল্লাহ তা কী উপলব্ধি করা যায়? মূলত তা সাধারণের কল্পনার বাইরে। সাধারণ শুধু উনার পরিচিতিই আমভাবে পেতে পারেন। কিন্তু উনার হাক্বীক্বত উপলব্ধির ক্ষমতা কারো নেই। উনি হলেন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ত্বহিরাহ, ত্বাইয়্যিবাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ, ফক্বীহাতুল উম্মাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মুল মু’মিনীন, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম তথা হযরত শাহী দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম।

উম্মু রসূলিনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম তিনি যেমন নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আম্মাজান ছিলেন তেমনি শাহী দাদীজান তিনিও ক্বায়িম-মাক্বামে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার আম্মাজান হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করে উম্মু রসূলিনা সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার ক্বায়িম-মাক্বাম হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন। তিনি ছিলেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন উনার কাওছার। উনি ছিলেন আসমাউল হুসনা উনাদের প্রতিবিম্ব। তিনি ছিলেন ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মুল মু’মিনীন। উনি ছিলেন ক্বায়িম-মাক্বামে রহমতুল্লিল আলামীন। উনি ছিলেন ছিদ্দীক্বা শ্রেণীর প্রথম পর্যায়ের ওলীআল্লাহ।

প্রসঙ্গত ২৫শে শাওওয়াল শরীফ উনার মুবারক বিছাল শরীফ উনার দিন। পূর্বপুরুষের দিক থেকে উনি একদিকে সাইয়্যিদে শুহাদায়ে কারবালা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার বংশধর অপরদিকে উত্তরপুরুষে উনি, যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুহতারামা সম্মানিতা মাতা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ।

প্রসঙ্গত আমভাবে একটি মশহুর পবিত্র হাদীছ শরীফই উনার মুবারক ফাযায়িল-ফযীলত অনুধাবনের জন্য যথেষ্ট। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “যিনি ইলম শিক্ষা করলেন, সে অনুযায়ী আমল করলেন উনার সম্মানার্থে উনার পিতা-মাতাকে হাশরের ময়দানে সম্মানস্বরূপ এমন এক টুপি মুবারক প্রদান করা হবে যার উজ্জ্বলতা সূর্যের আলোর চেয়েও বহুগুণ বেশি হবে।” সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ উনারা শুধু জান্নাতীই হবেননা, মহা সম্মানিত জান্নাতীই হবেন। সুবহানাল্লাহ।

তবে এটা যদি হয় সাধারণ আলিমের পিতা-মাতার ফযীলতের কথা তাহলে যিনি মুজাদ্দিদে আ’যম, যিনি লুপ্তপ্রায় সব সুন্নতের জিন্দাকারী, যিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার জিন্দাকারী, যার উসীলায় প্রতি মুহূর্তে শুধু লক্ষ-কোটি হক্ব আলিম নয় বরং হক্কানী-রব্বানী আ’লা দরজার ওলীআল্লাহ তৈরি হন; তাহলে সেই মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি মুজাদ্দিদে আ’যম উনার পিতা-মাতা উনাদের তাহলে কী ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক থাকতে পারে? মূলত এটা অকল্পনীয়, অব্যক্ত ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য।

মূলত উনারা শুধু মহা সম্মানিত জান্নাতীই নন বরং উনারা এমন অযুদ মুবারক উনার অধিকারী, যাদের জন্য জান্নাত ব্যাকুল হয়ে, অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করে, যাদের তাশরীফে জান্নাত নিজেই সম্মানিত হয়ে যায়। বলাবাহুল্য, উনারা এ সম্মানের চেয়েও মহামর্যাদাবান। এ মর্যাদা মুবারক উনাদের অর্জন। উনাদের মুবারক শান। উনাদের বৈশিষ্ট্য মুবারক। উনারা শরহে সুদূরের কারণে কখনও মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে শুধু সন্তান হিসেবে দেখেননি। সব সময়ই দেখেছেন মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম হিসেবে। যে কারণে উনারা স্বয়ং পিতা-মাতা হয়েও সম্বোধন করতেন ‘হুযূর ক্বিবলা’ বা ‘মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম বলে’। সুবহানাল্লাহ!

শুধু তাই নয় উনারা মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে উনার বুযূর্গী মুবারক উনার কারণে বেমেছাল মুহব্বত মুবারক করতেন। সাইয়্যিদাতুন নিসা, কুতুবুল আকতাব, কুতুবুল এরশাদ, হাবীবাতুল্লাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি এজন্য খাওয়ার পূর্বে সব সময় বলতেন “আমার মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কী খেয়েছেন?” মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনি অকল্পনীয় পরিশ্রমের সাথে তা’লীম-তালক্বীন মুবারক দিতে ব্যস্ত থাকলে উনি প্রায় উৎকণ্ঠা প্রকাশ করতেন, “আমার মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম এসেছেন।” সুবহানাল্লাহ!

বলার অপেক্ষা রাখেনা, আজ গোটা উম্মাহ তথা কায়িনাতের জন্য এক স্পর্শকাতর দিন। কারণ আজকের এ দিনে মহা মুহতারামা ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র বিছাল শরীফ লাভ করেছেন। তিনি যেভাবে ‘আমার মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উচ্চারণ করতেন’- সে মুহব্বত, অধিকারের সাথে উচ্চারণের জন্য আর কেউই নেই।’ সুবহানাল্লাহ!

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পবিত্র সুন্নত পালনে, পবিত্র ইলম অর্জনে, পবিত্র ইলম উনার পৃষ্ঠপোষকতায়, পবিত্র ইবাদত-বন্দেগীতে নিষ্ঠায় তিনি ছিলেন বেমেছাল। সংক্ষেপ কথায় তিনি ছিলেন মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুহতারামা মাতা আলাইহাস সালাম। তাই মুবারক কাশফ ও কারামতেও উনি ছিলেন অনন্যা।

পবিত্র বিছাল শরীফ উনার আগের দিন থেকেই উনি যেন নিজ থেকেই ইন্তিকালের জন্য প্রস্তুত হয়ে নিচ্ছিলেন। পবিত্র ইয়াওমুল জুমুয়াতি বা শুক্রবারে নখ মুবারক সব কেটেছিলেন। রাত প্রায় ১০ : ৫৫ মিনিটে বিছাল শরীফ উনার আগ মুহূর্তে ওযু করে নিয়ে বলেছিলেন আমি এখন মাবুদে মাওলা উনার কাছে চলে যাচ্ছি। সুবহানাল্লাহ!

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, “মৃত্যু হলো দুনিয়া হতে জান্নাতে যাওয়ার সেতু।”

আর আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, “মৃত্যু মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট যাওয়ার সেতু।”

কাজেই আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের ইন্তিকাল হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মিলন সেতু বা আল্লাহ তায়ালা উনার পবিত্র দীদার লাভের মাধ্যম।

প্রসঙ্গত বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার অসীম অবদানের কথা স্বয়ং মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে উল্লেখ করেন। বিশেষ করে বর্তমানে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার লাইব্রেরী মুবারক উনার মধ্যে যে ১২ কোটি টাকার রয়েছে উনার বিরাট একটা অংশ ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার টাকায় কেনা। এছাড়াও বিভিন্ন মাহফিলে, বিভিন্ন অনুষঙ্গে, মুরীদদের চলাফেরা তথা ইবাদত-বন্দেগীর অবকাশে উনার অবদান অসীম থেকে অসীম। সুবহানাল্লাহ।

সঙ্গতকারণেই আজ উম্মাহর জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- সাইয়্যিদাতুন নিসা, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মা’রিফাত অর্জন করা উনাকে মুহব্বত করা। তা’যীম-তাকরীম করা। উনার শান মান আলোচনা করা। উনার সম্মানার্থে নেক কাজ করা এবং সমূহ হক্ব আদায় করা।

মহান মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ও সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উসীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের কবুল করেন ও কামিয়াব করেন এবং গায়েবী মদদ করেন। (আমীন)

-মুহম্মদ আরিফুল্লাহ

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।