মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে মূল্যায়ন করা ব্যতীত গোটা বিশ্ববাসীর জন্য বিকল্প কোন পথ নেই অক্ষরে অক্ষরে ফলে যাচ্ছে কাফির বিশ্বের প্রতি উনার সব ভবিষ্যদ্বাণী। ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দায় ইউরোপে মানুষ নিজেদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি শুরু করছে। যামানার মুজাদ্দিদ উনাকে চেনা পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী ফরয। বাংলাদেশের গাফিল মুসলমান আর কবে সচেতন হবে? মিডিয়া আর কতকাল স্ববিরোধিতা করে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে নীরব ভূমিকা পালন করবে? (৫)

সংখ্যা: ২২১তম সংখ্যা | বিভাগ:

পৃথিবীর সমস্ত ইহুদী-নাছারা-মজুসী-মুশরিক তথা তাবৎ কাফির সম্প্রদায় পৃথিবীর আনাচে-কানাচে, অলিতে-গলিতে মুসলমানদের উপর যুলুম নির্যাতন করছে, তাঁদেরকে শহীদ করছে, মুসলমানদের সম্পদ লুণ্ঠন করছে, মুসলিম মহিলাদের সম্ভ্রম হরণ করছে, সন্ত্রাসী অপবাদ দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করছে। যুলুম-নির্যাতনের পাশাপাশি ফরয-ওয়াজিব-সুন্নতে মুয়াক্কাদা পালন তথা ইসলামী শরীয়ত পালনে বাধা প্রদান করছে।

এতদ্প্রেক্ষিতে যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম, কাইয়্যুমুয যামান মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পৃথিবীর সমস্ত নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষ থেকে যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার শাহী দরবারে কাবা শরীফ উনাকে যেভাবে যালিম কাফির আবরাহার হাত থেকে রক্ষা করেছেন সেভাবে মুসলমানদেরকে রক্ষা করার এবং এই কাফির সম্প্রদায়কে আবরাহার মতো ধ্বংস করে দেয়ার ফরিয়াদ জানান।

উনার সেই মুবারক দোয়া ও ফরিয়াদের ফলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফিরদের উপর বিভিন্ন আযাব-গযব নাযিল করে তাদেরকে নিস্তানাবুদ করে দিচ্ছেন।

তার প্রমাণ হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন কাফিরদের দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দার ভয়াবহ গযব।

প্রসঙ্গত, মহান মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “ইহুদী-খ্রিস্টান, কাফির-মুশরিকরা যদি মুসলমানদের উপর যুলুম-অত্যাচার বন্ধ না করে তবে, তারা রাস্তার ফকির হয়ে যাবে। ডাস্টবিন থেকে খাবে। এক সময় ডাস্টবিন থেকেও খাবার পাবে না। ডাস্টবিনের খাবার নিয়ে কুকুরের সাথে কামড়া-কামড়ি করবে। এউপরও তারা (কাফিররা) যদি মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধ না করে, তবে তারা একজন আরেকজনকে খাবে।” প্রসঙ্গত সে অবস্থা এখনই জাহির হয়েছে।

{পূর্ব প্রকাশিতের পর}

সংবাদ মাধ্যমে অহরহ ‘সুপার পাওয়ার’ থেকে ‘সুপার ফকির’ হওয়া ইউরোপ-আমেরিকার অর্থনৈতিক দুরবস্থার হাজারো ফিরিস্তি প্রকাশিত হচ্ছে। নিম্নে স্পেনের অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

(১)

সুপার স্টর্ম ‘স্যান্ডি’র আঘাতে বিধ্বস্ত যুক্তরাষ্ট্র, ১৭ রাজ্য লণ্ডভণ্ড

 

প্রায় একশ ২৯ কিলোমিটার বেগের প্রলয়ঙ্করী হারিকেন স্যান্ডির আঘাতে ল-ভ- হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কসহ ১৭টি অঙ্গরাজ্য। স্মরণকালের এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় গত ২৯শে অক্টোবর সোমবার রাতে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, আটলান্টিক সিটি, বাল্টিমোর, ফিলাডেলফিয়া, ওয়াশিংটনসহ ১৭টি রাজ্যে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। জোছনার প্রভাবে ১৪ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের পানিতে তলিয়ে যায় আটলান্টিক সিটি, নিউজার্সি ও নিউইয়র্কের কয়েকটি উপকূলীয় এলাকা। তছনছ হয়ে যায় নিউজার্সি উপকূল। জলোচ্ছ্বাসের এই রেকর্ড উচ্চতা গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা বলে বর্ণনা করেছে নিউইয়র্কের গভর্নর এ্যান্ড্রু কোমো।

ঝড়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫০ জন বলা হলেও প্রকৃত সংখ্যা হাজার হাজার। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এক কোটি মানুষ ডুবেছে অন্ধকারে। জলোচ্ছ্বাসে নিউইয়র্কের পাতাল রেলে পানি ঢুকেছে। ঝড়ের কারণে ইতোমধ্যে প্রাথমিক ক্ষতি ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ঝড়ে পাঁচ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত ২৯ অক্টোবর ২০১২ ঈসায়ী তারিখ সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর থেকেই প্রচ- ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করে। সঙ্গে বৃষ্টি। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বাতাসের তীব্রতা। স্থানে স্থানে বড় বড় গাছ উপড়ে পড়তে শুরু করে। বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ির উপর এবং কোন কোন জায়গায় বাড়ির উপর গাছ উপড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কয়েকটি এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। নিউজার্সি, আটলান্টিক সিটি, নিউইয়র্কের কুইন্স, স্টেটান আইল্যান্ড, লং আইল্যান্ড, ম্যানহাটনের নিম্নœাঞ্চলসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে। রাত দেড়টা নাগাদ সরকারি হিসাব অনুযায়ীই প্রায় এক কোটি মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন বলে ঘোষণা দেয়া হয়। কথিত আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধাসমৃদ্ধ দেশটির বাসিন্দাদের এই সময় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। ঝুঁকির্পূণ এলাকাগুলো থেকে ১০ লাখ লোককে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এর আগে দিন রবিবার নিউইয়র্কে ৭৬টি সরকারি স্কুলে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে যারা সরে যেতে চায়নি তাদের নিজ দায়িত্বে বাড়িতে থাকতে বলে পুলিশ। সেসব লোকজনের একটি তালিকাও তৈরি করেছে পুলিশ। এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কয়েকটি হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে তোলা হয়।

ল্যাং ওয়ান নামের একটি মেডিকেল সেন্টার জানায়, তাদের ব্যাকআপ বিদ্যুৎ সুবিধা শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা সব রোগী সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। এত ব্যাপকহারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনাকে নিউইয়র্কের ইতিহাসে এই প্রথম বলে বলা হচ্ছে।

গত ২৯শে অক্টোবর ২০১২ ঈসায়ী সোমবার রাত ৮টায় প্রলয়ঙ্করী রূপ নিয়ে ঘণ্টায় ৯০ মাইল বেগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি উপকূল অতিক্রম করে স্যান্ডি।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার আগের দিন রবিবার থেকেই ঝড়টিকে ‘প্রাণহানিকর, মারাত্মক’ ঘোষণা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে ব্যাপক প্রচার শুরু করে। ফলে রবিবার সন্ধ্যা থেকেই রাস্তায় লোক চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে মেট্রো বাস, ট্রেন ও ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়। সোমবারও সেসব সার্ভিস বন্ধ ছিল। স্কুল, কলেজ, স্টক এক্সচেঞ্জ, আদালতসহ বেশিরভাগ সরকারি ও বেসরকারি অফিস, সংস্থা বন্ধ ছিল। ফলে রাস্তায় লোক চলাচল ছিল না বললেই চলে। পরের দিন মঙ্গলবারও সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সোমবার বিভিন্ন এয়ারলাইন্স তাদের ১৪ হাজারেরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র ৮ দিন আগের এই ঝড়ের কারণে ওয়াল স্ট্রিট বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাত ৮টায় আটলান্টিক সিটির কাছাকাছি পূর্ব উপকূলে প্রচ- ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে ভূমিধস হয়। ফলে আটলান্টিক সিটির বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। সিটি গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি আটলান্টিক সিটিতে লোকজনের ভোগান্তির জন্য সে আটলান্টিক সিটির মেয়র লরেঞ্জো ল্যাংফোর্ডকে দায়ী করে বলে, বাড়িঘর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও মেয়র লোকজনকে বাড়িতে অবস্থান করার জন্য উৎসাহিত করেছে। গভর্নর বলে, এখন আমাদের কোন উপায় নেই। আমরা সেখানে যেতেও পারব না, লোকজনকে উদ্ধারও করতে পারব না।

(২)

ঝলমলে শহর এখন ভুতুড়ে নগর

ঘূর্ণিঝড় স্যান্ডির আঘাতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জীবনযাত্রা এখনো কার্যত অচল। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে ঝলমলের আলোর শহরগুলো এখন ভুতুড়ে নগরে পরিণত হয়েছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলেছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে সময় লাগবে। উপড়ে যাওয়া গাছ পড়ে আছে রাস্তাঘাটে। বিদ্যুতের লাইন ধসে পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ফোন, ইন্টারনেট কাজ করছে না। বহু এলাকার মুঠোফোনের সিগন্যাল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের উপর গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে আছে।

রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ ১৭টি অঙ্গরাজ্যে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎব্যবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগকে। দক্ষিণ-পশ্চিমের অঙ্গরাজ্য ও কানাডা থেকে বিদ্যুৎকর্মী নিয়ে আসা হচ্ছে। ভেঙে পড়া বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে ঠিক কত দিন লাগবে, গ্রাহকদের জানাতে পারছে না বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো। বিদ্যুৎ-সংযোগ না থাকায় ঘরবাড়িতে তাপব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। এতে শিশু ও বয়স্ক লোকদের কষ্ট হচ্ছে বেশি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ‘তিল ঠাঁই নেই’ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

(৩)

স্যান্ডিতে পাঁচ হাজার কোটি ডলার ক্ষতি

 

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় ১২ রাজ্যে সুপার স্টর্ম স্যান্ডির তা-বে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জন বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে হাজার হাজার লোক মারা গেছে। স্মরণকালের ভয়াবহ এ ঘূর্ণিঝড়ে এখনও বিপর্যস্ত এসব রাজ্য। অবশ্য সেখানে শুরু হয়েছে উদ্ধার তৎপরতা, ধ্বংসস্তূপ সরানো ও বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপনের কাজ। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ। প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে, অন্তত ৫ হাজার কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির চেয়েও বেশি।

থৈ থৈ পানিতে ডুবে থাকা নিউইয়র্কের সাবওয়েগুলো থেকে পানি নিষ্কাশন শুরু হয়েছে। এসব চালু হতে সময় লাগবে আরও বেশ ক’দিন। তবে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে বাস, ট্রাম, ফেরি সার্ভিস।

গত ৩১ অক্টোবর ২০১২ ঈসায়ী তারিখ বুধবার থেকে জেএফকে ও নিউইয়র্ক লিবার্টি বিমানবন্দরে সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় ১২ রাজ্যের বিমানবন্দরগুলোতে এ তিন দিনে ১৮ হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছিল। দু’দিন বন্ধ থাকার পর সরকারি ভবন, বেশকিছু স্কুল এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ওই বুধবার খুলে দেয়া হয়েছে। খুলে দেয়া হয়েছে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জও। ২৭ বছর পর যা বন্ধ ছিল টানা দু’দিন।

স্যান্ডির প্রভাবে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় ভয়াবহ তুষারপাত চলছে। সেখানে দুই ফুট পর্যন্ত তুষারপাত হয়েছে। এছাড়া ভার্জিনিয়া ও কেন্টাকিতে ৩ ফুট পর্যন্ত তুষারপাতের আশংকা করা হচ্ছে। আর ভারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। অব্যাহত রয়েছে ভূমিধসও।

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানার আগে ক্যারিবীয় অঞ্চলের তিন দেশ জ্যামাইকা, হাইতি ও কিউবার উপর দিয়ে বয়ে যায় স্যান্ডি। সেখানে ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৩ জনে।

স্যান্ডিতে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান : যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্ব উপকূলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হারিকেন স্যান্ডি পেছনে রেখে গেছে ধ্বংসচিহ্ন। এখন চলছে এই সুপার স্টর্মের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব; যা গত বছরের হারিকেন আইরিনের ক্ষতিকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ঝড়ে ক্ষতির পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।

আশ্রয় শিবিরে মানুষ : স্যান্ডির গতিপথ বরাবর ১৭টি রাজ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। রেডক্রসের হিসাব মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি রাজ্যে তাদের আশ্রয় শিবিরে ১১ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

পুঁজিবাজারে বন্ধ লেনদেন : স্যান্ডির কারণে দু’দিন নিউইয়র্কের স্টক মার্কেটগুলোতে লেনদেন বন্ধ ছিল। ১৮৮৮ সালের পর এবারই প্রথম আবহাওয়ার কারণে এভাবে পুঁজিবাজার বন্ধ হয়েছে। আর ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর এবারই প্রথমবারের মতো আকস্মিক বন্ধ হয়েছে পুঁজিবাজার। কয়েকজন বিশ্লেষক বলছে, ঝড়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক ও ট্রেডিং কোম্পানিগুলো কয়েক কোটি ডলার ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

তেল পরিশোধনাগারে পানি : যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল পরিশোধনাগারে বন্যার পানি ঢোকার পাশাপাশি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এখানকার অন্য দুটি প্ল্যান্টও বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।

পোড়া গন্ধে ভারি স্যান্ডির ধ্বংসযজ্ঞ : নিউইয়র্কে পাঁচশ বাড়িতে বিপুল সংখ্যক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। বেল হারবারের পার্শ্ববর্তী ব্রিজি পয়েন্ট এলাকায়ও অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার ১১০টি বাড়ি পুড়ে গেছে এবং ২০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পূর্ব উপকূলের বাসিন্দা ৩৯ বছর বয়সী জনাথন ও’ল্যারি বলে, ‘সবকিছু হয়েছে মুহূর্তের মধ্যে। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুত।’ বেল হারবার ও ব্রিজি পয়েন্টের বাড়িগুলো দেখলে এখন মনে হয়, এ যেন এক দগ্ধ জনপদ। (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ লিসানুল্লাহ

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১