মুজাদ্দিদে আ’যম, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত- সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম ঐতিহাসিক এক অভূতপূর্ব আজিমুশ্বান তাজদীদ মুবারক (৩)

সংখ্যা: ২৭৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মুসলমানদের প্রতি হিংসাবশত অধিকাংশ আহলে কিতাব তথা ইহুদী-নাছারা চায় ঈমান আনার পর পুনরায় তোমাদেরকে কাফির বানিয়ে দিতে।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ: ১০৯)

উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দেবার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেনীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোনো বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সামরাজ্যবাদীরা কোর্টকে ব্যবহার করছে যার প্রমাণ এখন অনেক দেশে রয়েছে।

বর্তমান সময়ের যিনি সম্মানিত ইমাম ও মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলাহ্ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি কাফির-মুশরিক এবং সাম্রাজ্যবাদীদের এইসব অপকৌশল সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে অবগত। তিনি এই বাংলাদেশের আদালতে চাপিয়ে দেয়া বৃটিশ বেনিয়াদের রচিত মনগড়া আইনের ফাঁকফোকর জেনে তাদের তৈরি অস্ত্র প্রয়োগ করেই এদের প্রতিহত করার জন্য শুরু করেন “আইনী প্রক্রিয়া কার্যক্রম”। এই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলমান উনাদের আকিদা বিশুদ্ধ করে ঈমান হিফাজত করা। সুবহানাল্লাহ।

এই প্রক্রিয়াটি যেমনি ব্যয়বহুল তেমনি কস্টসাধ্য। কেননা সম্পূর্ণ বিপরীত স্রোতে হেঁটে এখানে কার্যক্রম চালানোর জন্য যেমনি প্রয়োজন ছিল দক্ষ এবং ইসলাম উনার অনুশাসন উপলব্ধিকারী আইনীজিবী তেমনি প্রয়োজন ছিল কার্যক্রম সঞ্চালনের জন্য লোকবল। কিন্তু যেহেতু সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি পরিপূর্ণভাবে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার দ্বারা সকল অসাধ্য কাজও সম্পূর্ণ করিয়ে নিচ্ছেন।

আপনাদের উপলব্ধির স্বার্থে নীচে বিশেষ কিছু আইনী কার্যক্রমের তালিকা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হল। এখান থেকে অনেক বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে সফলতা অর্জিত হয়েছে এবং অন্য অনেক বিষয়ে কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলাহ্ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক নির্দেশনায় ইতিমধ্যে বাংলাদেশ হাইকোর্টে বহুসংখ্যক রিট ও নিম্নে আদালতে মামলা দায়ের এবং অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়। তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় নিম্নে তুলে ধরা হলো।

 

†h me wel‡q evsjv‡`k nvB‡Kv‡U© wiU Kiv n‡q‡Q-

 

ক্রম বিষয় ফলাফল
পোপের দেশ ভ্রমণকে কেন্দ্র ১৪৩৯ হিজরীর পবিত্র ১২ই রবীউল আওউয়াল শরীফ পালন করতে ডিএমপি সর্ব প্রকার অনুষ্ঠান নিষেধ করলে তাদের নিষেধাজ্ঞার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট থেকে সুয়োমোটো রুল চাওয়া হয়। হাইকোর্ট এটর্নি জেনারেলকে তলব করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইজিপিসহ প্রশাসনকে তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও সব অনুষ্ঠান সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করতে নির্দেশনা প্রদান করে।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান মুবারক উনার খিলাফ অনলাইনে ব্যঙ্গ চিত্রসহ কটুক্তি করা বন্ধ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, আইজিপি, বি.টি.আর.সি.সহ সংশ্লিষ্ট সরকারী দফতর গুলোর নিষ্ক্রিয় থাকার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। হাইকোর্ট থেকে রুল জারী করা হয়েছে।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারকে আপত্তিকর ভাষায় চু-চেরা ক্বীল-ক্বাল করে দিয়ার্ষি আরাগের লেখা সৃষ্টিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘দিয়া আরেফিন ও নানীর বাণী” নামক বইদুটিতে হাইকোর্টে মেনশন করা হয়। বইগুলো বিক্রি ও প্রকাশনা বন্ধে ঢাকা ও নূরানীগঞ্জের এসপি, ডিসি ও স্বরাষ্ট্র সচিবকেসহ বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক কে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য হাইকোর্ট হতে আদেশ দেয়া হয়। ফলে সেই বইগুলোর প্রচার-প্রসার বন্ধ হয়ে যায়।
“মুসলিমদের দ্বীনী অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে ও হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র নাম মুবারক ব্যবহার করায় “ন ডরাই” মুভি প্রদর্শন কেন নিষিদ্ধ করা হবে না, মুভিটির সেন্সর ছাড়পত্র কেন বাতিল করা হবে না এবং কমিক বই “ন ডরাই – এডভেঞ্চার অফ আয়েশা” কেন বাজার থেকে প্রত্যাহার করা হবে না” – এই মর্মে হাইকোর্টে রিট করা হয়। হাইকোর্টে রুল দিয়েছে। রুল শুনানীর জন্য তারিখ নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
খাছ সুন্নত বাল্য বিবাহকে বাধাগ্রস্ত  করার লক্ষ্যে প্রবর্তিত কুফরী আইন বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন’২০১৭ বাতিল করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে শুনানী হয়েছে।
সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম দ্বীন ইসলাম তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে এ বিষয়ে দেশের কথিত ১১জন বিশিষ্ট নাগরিক উচ্চ আদালতে রিট করলে, ইন্টারভেনার হিসেবে সেই রিটে পার্টি হয়ে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম দ্বীন ইসলাম বহাল রাখা ও তাদের রিট আবেদনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে, তা খারিজ করার আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট তাদের রিট আবেদন ফাইল খারিজ করে, যার ফলে সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম দ্বীন ইসলাম বহাল থাকে।
পরবর্তীতে আবারো সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম দ্বীন ইসলাম তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে হাইকোর্টে আইনজীবী সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী আরেকটি রিট করে, সেটিও খারিজ হলে সে রিট খারিজের বিরুদ্ধে সুপ্রীমকোর্টে আপিল করলে, সেখানেও তার আপিলের বৈধতা ও সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম দ্বীন ইসলাম বহাল রাখতে সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগে পক্ষভুক্ত হতে লিভ টু আপিল ফাইল করা হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারক আমাদের করা আবেদনের উপর শুনানী গ্রহণ করে সেটি মূল আবেদনের সাথে সংযুক্ত করে নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়।
সরকার ভূমি অধিগ্রহণ আইনের মাধ্যমে মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা এবং পবিত্র মসজিদ উনার জমি অধিগ্রহণ করে নেয়া বন্ধ করতে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা এবং মসজিদ উনার জমি অধিগ্রহণ বন্ধে হাইকোর্ট থেকে রুল জারী করা হয়েছে।
মাদরাসায় রবীন্দ্রের রচিত সংগীত পাঠ করা বাধ্যতামূলক হওয়া বন্ধ করতে হাইকোর্টে রিট করা হয়। এ বিষয়ে পূনরায় রিট করা হবে। যার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে নির্দেশনা দিতে আদালত বিব্রতবোধ করায় আদালতে উপস্থাপন হয়নি মর্মে রিট আবেদনটি খারিজ করে দেয়া হয়।
১০ শিক্ষার্থীরা বোরখা পরায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিগ্রহের শিকার হওয়ার প্রেক্ষিতে স্কুল ও কলেজ ছাত্রীদের বোরখা পরার অধিকার চেয়ে এবং একই সাথে যেসব প্রতিষ্ঠান পর্দা করতে বাধা দেয় তাদের বিষয়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। হাইকোর্ট থেকে রুল জারী করা হয়েছে।

 

১১ হারাম খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে ১৯৭২ সালের পতাকা আইন লঙ্ঘন করে যত্রতত্র বিদেশি পতাকা উত্তোলন প্রশ্নে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না? এছাড়া পতাকা আইন ও রুলস অনুযায়ী জাতীয় পতাকা ও বিদেশি পতাকা উত্তোলনের নিয়মাবলি জনস্বার্থে প্রচার করার জন্য উচ্চ আদলতের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। হাইকোর্ট থেকে রুল জারী করা হয়েছে।
১২ নাস্তিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে সিলেবাস করার বিষয়ে নাস্তিকরা হাইকোর্টে যে রিট করেছিল সেই রিটে ইন্টারভেনার হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়ে ফাইল করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন অধ্যাপক পিটিশনার ছিল, তারা এ বিষয়ে আর কোন শুনানী করেনি। ফলে সিলেবাসে নাস্তিকতা প্রবেশ করতে পারেনি।
১৩ সরকার স্কুল কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অমঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করে প্রজ্ঞাপন দিলে, তাদের নির্দেশনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। আদালত অবর্জাভেশন দিয়ে বলেছে, স্কুল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অমঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা যাবে না। পরর্তীতে সরকারও এ ইস্যুতে বাধ্যবাধকতা করা থেকে বিরত থাকে।
১৪ গত ৫ জুলাই ২০২০ তারিখে “জাপান গার্ডেন সিটি ফ্ল্যাট মালিক কল্যাণ সমিতি” কর্তৃক স্বাক্ষরিত ফ্ল্যাট মালিকদেরকে প্রদত্ত এক নোটিশে বলা হয়েছে: “জাপান গার্ডেন সিটিতে কোরবানীর কোন পশু প্রবেশ করানো যাবে না।” একই ধরনের সিদ্ধান্ত ঢাকার আরো কিছু হাউজিং সোসাইটি, ফ্ল্যাট মালিক সমিতিও গ্রহণ করেছে বলে মিডিয়ায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর এসেছে। কোরবানীর পশু ও কোরবানী করার অধিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। কুরবানী ও পশু জবাইয়ে কেউ বাধা দিতে পারবে না এ মর্মে হাইকোর্ট থেকে রুল জারী করা হয়েছে।
১৫ মাদকাসক্ত চিহ্নিত করতে বিয়ের আগেই বর-কনের রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে সরকারী উদ্যেগে ব্যবস্থাগ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হাইকোর্ট রিট করা হয়।  

হাইকোর্ট থেকে রুল জারী করা হয়েছে।

 

১৬ সারাদেশের সব পতিতালয় ও এ ধরণের সকল ব্যবসা আইনত নিষিদ্ধ করা এবং এসব বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করা এবং একই সঙ্গে যৌন কর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট থেকে রুল দিয়েছে।
১৭ ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করা হয়, সেটি খারিজ করা হলে, খারিজের বিরুদ্ধে সুপ্রীমকোর্টে আপিল করা হয়েছে। সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানীর অপেক্ষায় রয়েছে।
১৮ হিন্দুদের কথিত দূর্গা পূজার সময় নদীতে মূর্তি ডুবানোর বৈধ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করা হয়। শুনানীর জন্য কার্য তালিকায় আসলেও কোর্ট এ বিষয়ে শুনতে বিব্রত হয়ে অপারগতা প্রকাশ করে, তাই কার্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়।
১৯ সারাদেশের বিভিন্ন শহর ও এলাকায় জোন ভিত্তিক লক ডাউন বিষয়ক সরকারী বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে লক ডাউন প্রত্যাহার চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। বিবাদী করা হয় স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, আইজিপিকে। আদালত জানায় সরকার ধীরে ধীরে লক ডাউন উঠিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক করে চলেছে। সরকার যদি আবারো নতুন করে লক ডাউন দেয় তখন আমরা নির্দেশনা দিব।

†h me wel‡q wb¤œ Av`vj‡Z gvgjv Kiv n‡q‡Q-

ক্রম বিষয় ফলাফল
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হূযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকের খিলাফ লেখা ছাপানোর জন্য তসলিমা নাসরিনসহ ওমেন চ্যাপ্টারের তিন জন সংবাদিকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে। ঢাকা শাহজাহানপুর থানায় মামলা গ্রহণ করে নথিভুক্ত করেছে। মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান মুবারক উনার খিলাফ বলার কারনে নাস্তিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। নাস্তিক শফিক রেহমান কঠিন লাঞ্ছিত হয়।
ফেসবুকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ও হযরত উম্মাহাতুল মু’মীনিন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারকে চু-চেরা ক্বীল-ক্বাল করে লিখার কারণে অপু মন্ডল নামের এক মালউনের বিরুদ্ধে সাইবার এ্যাক্টে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধিন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে ট্রাইব্যুনাল পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে পরবর্তী তারিখে উক্ত আসামীকে আটকরত অবস্থায় যেন কোর্টে হাজির করা হয়।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারকে আপত্তিকর ভাষায় চু-চেরা ক্বীল-ক্বাল করে ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দেয়ায় কুমার দিপু নামক মালউনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা করা হয়। ট্রাইবুনাল মামলা আমলে নিয়ে ঢাকা শাহজাহানপুর থানায় এজহারভুক্ত করে, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করেণ।
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে অশ্লীল উল্লেখ করে লেখা ছাপানোয় দৈনিক ভোরের কাগজকে প্রথমে লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে মামলা করা হয়। বর্তমানে জজকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।

 

পবিত্র রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায় বেসরকারী টিভি চ্যানেল এনটিভি’র বিরুদ্ধে ১০০০ কোটি টাকার মানহানী মামলা দায়ের করা হয়েছে। সমন জারি হয়েছে।
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার শান মুবারকে চু-চেরা করে ইউটিউবে বক্তব্য দেয়ায় কথিত পীর এনায়েতুল্লাহর বিরুদ্ধে সাইবার এ্যাক্টে মামলা করা হয়ছে। মামলার  তদন্ত কার্যক্রম সি.আই.ডিতে প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।
পবিত্র শবে বরাত নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে ৮ জন ওলামায়ে সু’র বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে। বাসাবো থানায় মামলাটি তদন্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।
যারা রাষ্ট্রধর্ম দ্বীন ইসলাম বাতিল করতে হাইকোর্টে রিট করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে একাধিকবার আদালতে মামলা করার জন্য আবেদন করা হয়, শুনানী হয়। আদালত (মেজিষ্ট্রেট আদালত) প্রত্যেকবার সময় নিয়ে সি.এম.এম এর সাথে পরামর্শ করে মামলা গ্রহণ করেনি।
১০ গত ৫ জুলাই ২০২০ তারিখে “জাপান গার্ডেন সিটি ফ্ল্যাট মালিক কল্যাণ সমিতি”-এর পক্ষে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক স্বাক্ষরিত ফ্ল্যাট মালিকদেরকে প্রদত্ত এক নোটিশে বলা হয়েছে: “জাপান গার্ডেন সিটিতে কোরবানীর কোন পশু প্রবেশ করানো যাবে না।” তাদেরকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে। মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।
১১ সুমহান পবিত্র সাইয়্যিদুল আই’য়াদ শরীফ পালন করা নিয়ে চু-চেরা ক্বীল-ক্বাল করায় কুড়িগ্রাম শান্তনগর জামে মসজিদের খতিবের বিরুদ্ধে সাইবার এ্যাক্টে মামলা করা হয়ছে। মামলাটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধিন প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
১২ হিন্দুদের গণশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে তাদের ষড়যন্ত্রমূলক অনুষ্ঠানটি বন্ধ করতে বাধ্য হয় ।

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।