মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাওলানা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৮৩

সংখ্যা: ২৮৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

বিবাহের উদ্দেশ্যে ছেলে বা মেয়েকে দেখার সুন্নতী তারতীব

বিবাহের ক্ষেত্রে সমাজে কিছু বদ রসম ও ভুল পন্থা-পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। যা সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার খিলাফ। আবার অনেক ক্ষেত্রে বেপর্দা, বেহায়াপনা ও ফিৎনা-ফাসাদের সৃষ্টি হয়। মেয়ে দেখতে যায় ছেলের বাবা, ছেলের ভাই, ছেলের নানা-দাদা, চাচা ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গ। নাউযুবিল্লাহ! যা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয ও হারাম।

প্রকৃতপক্ষে সম্মানিত সুন্নত মুবারক এবং শরঈ বিধান হচ্ছে, বিবাহের পূর্বে শুধূমাত্র ছেলেই দেখবে। আর মেয়ে দেখবে সেই ছেলেকে। তবে অন্য কোন মেয়ে কিংবা মহিলা প্রস্তাবিত মেয়েকে দেখতে পারবে। খেঁাজ-খবর নিতে পারবে। তাতে কোন অসুবিধা নেই। আবার অন্য কোন পুরুষ প্রস্তাবিত ছেলেকে দেখতে পারবে। তাতেও কোন অসুবিধা নেই। তবে দেখার বিষয়টি হবে সর্বশেষ। আগে কথা-বার্তা হবে। অন্যান্য বিষয় দেখা-শোনা, খোঁজ-খবর নেয়ার বিষয়গুলি সুস্পষ্ট হবে। সেগুলো সঠিক বা পছন্দ হলে ছেলে বা মেয়ে দেখার বিষয়টি আসবে। কারণ, পর্দানশীন কোন মেয়েকে যদি কেউ দেখে, আর পছন্দ না করে তাহলে ঐ মেয়ের জন্য তা একটি বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। কাজেই প্রথমত যে ছেলের জন্য মেয়েকে কিংবা মেয়ের জন্য ছেলেকে প্রস্তাব দেয়া হবে তার বায়োডাটা (জীবন বৃত্তান্ত) নেয়া যেতে পারে। সেখানে তার সম্পূর্ণ বৃত্তান্ত বা তথ্য এবং জানা ও শুনার প্রয়োজনীয় সবটাই সেখানে উল্লেখ থাকবে। সেই সূত্র ধরে বাড়ী-ঘর দেখা, আনুষাঙ্গিক খেঁাজ-খবর নেয়া উচিত। সবশেষে ছেলে কিংবা মেয়েকে দেখা। যদি বায়োডাটার দেয়া তথ্য পুরোপরি মিলে যায় তাহলে বিবাহের জন্য দিন তারিখ ধার্য্য করা যেতে পারে।

যদি ছেলে মেয়েকে দেখতে যায়। তাহলে ছেলের সাথে তার মাহরাম কোন মেয়ে কিংবা মহিলা আছে কিনা সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি না থাকে তাহলে প্রস্তাবিত মেয়ের সাথে মেয়ের মাহরাম পুরুষ থাকতে হবে। প্রস্তাবিত মেয়ে প্রস্তাবিত ছেলের সাথে সাক্ষাত করার সময় হালকা সাজ-গোছ করতে পারে। কিন্তু নিজের চেহারা-ছূরত পরিবর্তন হওয়ার মত সাজ-গোছ করবে না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। সেক্ষেত্রে কোন ভনিতা বা প্রতারণারও আশ্রয় নিবেনা। কেননা, মিথ্যা, ছল-ছাতুরী ও প্রতারণার মধ্যে কোন বরকত নেই। আর বিবাহের মত অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বরকত শূণ্য হলে ফিতনা-ফাসাদ ও অশান্তি লেগেই থাকে। কখনো শান্তি বা ইতমিনান লাভ হয় না। পাত্র-পাত্রী দেখার মূল উদ্দেশ্যই হলো মুহব্বত পয়দা হওয়া, মুহব্বত বৃদ্ধি পাওয়া। আর সেটাই সেক্ষেত্রে ব্যহত হয়। নাউযুবিল্লাহ!

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ خَطَبْتُ اِمْرَأَةً فَقَالَ لِيْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَلْ نَظَرْتَ إِلَيْهَا؟ قُلْتُ لَا قَالَ فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّهٗ أَحْرَى أَنْ يُّؤْدَمَ بَيْنَكُمَا

অর্থ: হযরত মুগীরা ইবনে শুবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, আমি একদিন একজন নারীকে বিবাহের প্রস্তাব করলাম। তা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে জানালাম। তিনি আমাকে বললেন, আপনি কি উনাকে দেখেছেন? আমি বললাম, না। আমি এখনো উনাকে দেখিনি। তিনি আমাকে নির্দেশ মুবারক দিলেন, সেই মেয়েকে দেখে নিন। উনাকে দেখার কারণে আপনাদের উভয়ের মধ্যে মুহব্বত পয়দা হবে, মুহব্বত বৃদ্ধি পাবে। সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসায়ী শরীফ, ইবনে মাযাহ শরীফ)

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৬

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৭

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৮

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৯

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৯০