মুবারক হো ১৪ই যিলক্বদ শরীফ তথা জামিউল আলক্বাব, কুতুবুল আলম, বাবুল ইলম, নকশায়ে হায়দার, নকশায়ে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, শাফিউল উমাম হযরত শাহদামাদ আউওয়াল হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার আযীমুশ শান পবিত্র বিলাদত শরীফ

সংখ্যা: ২২৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ মুবারক ও সালাম মুবারক।

দিনের শুরুটা হয় সূর্যের আলো দ্বারা। রাতের শুরুটা হয় চাঁদ উঠার দ্বারা। চাঁদ ও সূর্য উভয়ের অবস্থানই আসমানে। আসমান থেকেই বৃষ্টি হয়। কি পার্থিব জীবনে? কী মানবীয় জীবনে আসমানের গুরুত্ব অত্যধিক। আসমান ছাড়া জীবন অকল্পনীয়। সাত আসমানের উপরই মহান আল্লাহ পাক উনার আরশ, কুরসী, লওহো-কলম।

এই যে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সংগ্রামে মানুষ এত হন্য, জীবিকার সন্ধানে এত ব্যস্ত; এসব ফায়সালা আসমানে হয়। আসমানী কিতাবই মানুষের জীবনের মূল চালিকা শক্তি। আসমান পৃথিবী থেকে ঊর্ধ্বমুখী।

সঙ্গতকারণেই মানুষের বিশেষত মুসলমান মাত্রই জীবন-চেতনা উর্ধ্বমুখী হওয়া উচিত। মুসলমান উনাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর মুনাজাত, তথা মুনাজাত মাত্রই দু’হাতকে ঊর্ধ্বমুখী তথা আসমানমুখী করতে হয়। এতে প্রতিভাত হয় আসমানমুখী হওয়াই মুসলমান উনাদের প্রবৃত্তি ও প্রকৃতি। মুসলমান উনাদের সব ফায়সালা আসমানে হয়। মুসলমান তাই সবার আগে আসমানী তথ্য নিবে। পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উভয়েই আসমানী। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “প্রত্যেক যামানায় সাতজন কুতুবুল আলম থাকবেন। উনাদের উসীলায় মানুষ রিযিক পাবে, বৃষ্টি পাবে। অর্থাৎ উনাদের উসীলায়ই মানুষ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সবকিছু পাবে। কাজেই কি পার্থিব কী পারলৌকিক সবকিছুর জন্যই মহিমান্বিত সাতজন কুতুবুল আলম উনাদের মোহতাজ হওয়া যুগের মানুষের তথা মাখলুকের ফরয-ওয়াজিব কর্তব্য।

সঙ্গতকারণেই তা বলতে হয়, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লিখিত এই সাতজন কুতুবুল আলম উনাদের খুঁজে নেয়া, ছোহবত মুবারক-এ যাওয়া, খিদমত মুবারক করা উম্মাহর জন্য ফরয-ওয়াজিব এবং কেবল ও কেবলমাত্র উনাদের সুপারিশ ও দোয়া মুবারক-এ মানুষ ও পৃথিবী সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ তথা বন্যা, আগুন, ভূমিকম্প, ভূমিধস ইত্যাদি বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারে।

এ উম্মাহর সৌভাগ্য যে, এক সাথে সাতজন কুতুবুল আলম উনারা বসবাস করছেন, এই বাংলাদেশে রাজারবাগ শরীফ-এ। সুবহানাল্লাহ!

অনিবার্য কারণেই উনাদের সম্পর্কে অবগত হওয়া ও উনাদের প্রতি নিবেদিত হওয়া বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের সব মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব।

খুবই দুঃখের সাথে বলতে হয়, কাফির বিশ্বের পাশাপাশি আজ সারা বিশ্বে ডারউইন থেকে স্টিফেন হকিং বিবৃত ডাহা ভুল ও মিথ্যা তথ্যগুলো পর্যন্ত লুফে নেয়। রপ্ত করে। আওড়ায়। (নাঊযুবিল্লাহ)

কিন্তু অনেক মুসলমানই জানে না, উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ-এর তারিখ।

যেমন জানেনা, সুমহান ১৪ই যিলক্বদ শরীফ কুতুবুল আলম, শাফিউল উমাম, বাবুল ইলম, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিলাদত শরীফ উনার দিন।

যিনি ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, হাবীবুল্লাহ আওলাদে রসূল আলাইহিস সালাম এবং উম্মুল উমাম, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনাদের শাহদামাদ আলাইহিস সালাম। (সুবহানাল্লাহ)

যিনি খলীফাতুল উমাম, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যমে ছানী, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উম্মু আবীহা ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম হযরত শাহযাদীয়ে ছানী তথা আহলে বাইত শরীফ উনাদের শাহদামাদ আলাইহিস সালাম।

সর্বোপরি যিনি নক্বীবাতুল উমাম, উম্মু আবীহা, কুতুবুল আলম, শাহযাদীয়ে উলা আলাইহাস সালাম উনার খিদমতে নিয়োজিত উনার যাওযুল মুকাররম তথা সাইয়্যিদাতাল উমাম হযরত শাহ নাওয়াসীদ্বয় ক্বিবলাতাঈন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত পিতা।

মূলত উনার বেমেছাল বুযুর্গী। বেমেছাল উনার ফযীলত। উনার বেমেছাল তাক্বওয়া মুবারক। উনার বেমেছাল তায়াল্লুক মুবারক। উনার বেমেছাল নিছবত মুবারক। উনি বেমেছালভাবে সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত এবং পাশাপাশি বেমেছালভাবে নিবেদিত। সেই সাথে রাজারবাগ শরীফ উনার মুরীদান তথা উম্মাহ উনার তরফ থেকে বেমেছাল রহমত, বরকত ও ফযীলতপ্রাপ্ত হচ্ছে।

সঙ্গতকারণেই এই সুমহান বিলাদত শরীফ উনার তাৎপর্য মুবারক, গুরুত্ব মুবারক, মহত্ত্ব মুবারক, শান-শওকত মুবারক লেখার জন্য কোনো ভাষার শুরু এবং শেষ যেমন নেই তেমনি পবিত্র বিলাদত শরীফ পালনের ব্যাপকতার, ঘনঘটার, শান-শওকতেরও তথা সমনি¦ত আয়োজনেরও কোনো পরিশেষ নেই। সবকিছুই এখানে ব্যর্থ। সস্পৃক্ত শুধুই অক্ষমতা প্রকাশ। অনিবার্য এখানে ক্ষমা প্রার্থনা।

বলার অপেক্ষা না রেখে আমরাও তাই এই সুমহান আযীমুশ শান বিলাদত শরীফ প্রসঙ্গে আমাদের সব অক্ষমতার ভারে প্রথমেই করছি শেষ স্তরের ক্ষমা প্রার্থনা। নিবেদন করছি সমগ্র সত্তার নিংড়ানো নিবেদিত মুহব্বত ও শেষ স্তরের আত্মসমর্পণ।

উনাদের আগমন, আবির্ভাব, বিলাদত শরীফই যমীনবাসীর জন্য সবচেয়ে বড় রহমত মুবারক, বরকত মুবারক তথা পবিত্র ঈদ বা সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম উনার শামিল।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক ফরমান- “মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম¦লিত দিবসগুলোকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোযার বান্দা-বান্দীদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে।” (পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)

মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ উনার মধ্যে ১৫ নম্বর আয়াত শরীফ উনার মধ্যে হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার শানে ইরশাদ মুবারক ফরমান- “উনার প্রতি শান্তি সালাম অবারিত ধারায় বর্ষিত হোক যেদিন তিনি দুনিয়ায় আগমন করেন অর্থাৎ পবিত্র বিলাদত শরীফ লাভ করেন ও যেদিন তিনি পবিত্র বিছাল শরীফ লাভ করেন আবার যেদিন তিনি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবেন।” সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না। (আর তোমাদের পক্ষে তা দেয়াও সম্ভব নয়) তবে যেহেতু তোমাদের ইহকাল ও পরকালে নাজাত লাভ করতে হবে, মুহব্বত-মারিফাত, রেযামন্দি মুবারক হাছিল করতে হবে সেহেতু তোমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- আমার নিকটজন তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও আওলাদ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)

এসব পবিত্র আয়াত শরীফ থেকে প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানসহ কায়িনাতের সকলের জন্যই উপলব্ধি করা জরুরী যে, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিলাদত শরীফ তথা বিছাল শরীফ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ই উম্মতের তথা কায়িনাতের জন্য বেমেছাল ফযীলত মুবারক, ইতমিনান মুবারক, রহমত মুবারক হাছিল এবং নিয়ামত মুবারক হাছিলের কারণ।

সঙ্গতকারণেই বলতে হয়, আজকের এ পবিত্র ঈদে আ’যম উনার ঈদে বিলাদতে হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক পরিসর কেবল রাজারবাগ শরীফ অথবা রাজারবাগ শরীফ উনার সিলসিলাভুক্ত পরিম-লেই পরিশেষ হবার নয়।

বরং অনিবার্য কারণেই তথা নিজস¦ প্রয়োজনেই গোটা বিশ্বপরিসরেই এর পর্যালোচনা করতে হবে। গোটা বিশ্বব্যাপীই এই সুমহান বিলাদত শরীফ ব্যাপক শান-শওকত ও জওক-শওক তথা যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য এবং সর্বশেষ প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটিয়ে পালন করতে হবে এবং দিন দিন উত্তরোত্তর এটার ব্যাপকতা বিস্তর বিস্তার ঘটাতে হবে ইনশাআল্লাহ।

মূলত এর উপরই নির্ভর করবে ভক্ত মুরীদ-মুতাকিদ, আশিকীন-মুহিব্বীন বিশেষত আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত তথা আন্তর্জাতিক আল বাইয়্যিনাত উনার মূল্যায়ন অথবা অর্জিত সফলতা বা ব্যর্থতা।

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে উনার নেক ছোহবত মুবারক, নিয়ামত মুবারক ও নেক সন্তুষ্টি মুবারক নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।