মুসলিম উম্মাহকে একীভুত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান শুধু মুখে নয়; সংবিধানের অন্তর্ভুক্তকরণের সাথে সাথে চাই কার্যকরী বাস্তবায়ন। মুসলিম বিশ্ব এক হলে একদিনেই অমুসলিম বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়া সম্ভব।

সংখ্যা: ২৫৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়াই ইসলামী দেশগুলো নিজেদের সমস্যা সমাধানে একত্রে বসতে পারে’। ওআইসি’র সফরকারী মহাসচিব গত ১৮ আগষ্ট ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরাইলীরা নিরপরাধ নারী-শিশু হত্যা করলেও অতীতে দেখা গেছে, কোনো মানবাধিকার সংস্থাই এ নিয়ে কথা বলেনি। ওআইসি’র এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে’।

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলতে হয় যে- ‘প্রধানমন্ত্রী সত্যিই কি মুসলিম উম্মাহর প্রতি মমত্ববোধ পোষণ করেন?’। কারণ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ২৫(২) ধারায় বর্ণিত ছিল: “ইসলামী সংহতির ভিত্তিতে মুসলিম দেশসমূহের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক সংহত, সংরক্ষণ এবং জোরদার করতে সচেষ্ট হবেন।” লেখাবাহুল্য, প্রধানমন্ত্রী যেসব কথা বলেছেন তা সংবিধানেই বিবৃত ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই ষোড়শ সংশোধনীর দ্বারা উক্ত অনুচ্ছেদটি বিলুপ্ত করেছে। নাঊযুবিল্লাহ!

সঙ্গতকারণেই মুসলিম উম্মাহর ভ্রাতৃত্ববন্ধন দৃঢ় ও বিস্তার এবং মুসলিম নির্যাতন বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা জ্ঞাপনের গভীরতা ও আন্তরিকতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ বিরাজমান। কারণ প্রধানমন্ত্রী শুধু ইসরাইলী হত্যাকাণ্ডের নিন্দাবাদ জানান; কিন্তু পার্শ্ববর্তী ভারতে অব্যাহত মুসলিম নির্যাতন, গণহত্যা, চাকরি, শিক্ষা সর্বক্ষেত্রে চরম বৈষম্যকরণ ইত্যাদির বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেন না। শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন; প্রধানমন্ত্রীর সরকারও এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানায় না। শুধু ভারতেই নয়; সারা বিশ্বে চলছে চরম মুসলিম নির্যাতন। নির্বিচারে মুসলিম নারীদের সম্ভ্রমহরণ এবং অবাধে মুসলমানদের অগাধ সম্পদ লুণ্ঠন। নাঊযুবিল্লাহ!

বস্তুত এমন একটি অবস্থায় দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশ বসে থাকতে পারে না। এজন্য দরকার মুসলিম উম্মাহর একতা ও সংহতির জন্য বাংলাদেশের ভূমিকাকে অর্থবহ ও জোরালো করে তোলা। এবং বাংলাদেশকেই নিরীক্ষক ও দিক-নির্দেশকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া। ওআইসি’র পাশাপাশি আরব লীগ নামেও আরো একটি ইসলামিক সংগঠন রয়েছে। ওআইসি’র মতো আরব লীগেরও একটি হাই-সাউন্ডিং লক্ষ্য রয়েছে, তা হলো- ‘আরব দেশগুলোর স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোর মাঝে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা’; যা কিনা শুধুই কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্রের বহুলপ্রচারিত ম্যাগাজিন ফোর্বসের করা এক তালিকা অনুযায়ী- কাতার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র। ম্যাগাজিনটি বলেছে, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সুবাদে ১৭ লাখ জনসংখ্যার দেশটি মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে সবচেয়ে ধনী দেশ।

এ পর্যন্ত কাতারের মাথাপিছু বার্ষিক জিডিপি ৯৩ হাজার ৪০০ ডলার। অন্য দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ৪৮ হাজার ৪০০ ডলার জিডিপি নিয়ে ষষ্ঠ এবং কুয়েত আছে ১৩তম অবস্থানে। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক এবং ২০২০ সালের অলিম্পিক গেমস আয়োজনের প্রতিযোগিতাকারী কাতার ইতোমধ্যেই সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী দেশে পরিণত হয়েছে।

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, হারাম খেলাধুলায় কাতারসহ আরব দেশগুলো দুই হাতে খরচ করে; কিন্তু মুসলিম ভাইয়েরা না খেয়ে অকাতরে মারা যাচ্ছে, সেদিকে তাদের দৃষ্টি নেই। অপরদিকে শুধু কাতারই নয়; ধনী মুসলিম দেশ আছে আরো বহু এবং তাদের সংগঠনও আছে। কিন্তু এরাও কেউই নিপীড়িত মুসলমান ও অবদলিত মুসলমান দেশের পাশে নেই এবং এখনো দাঁড়াচ্ছে না।

অথচ পৃথিবীতে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি এবং মুসলমান দেশের সংখ্যা ৬৫-এরও অধিক। পৃথিবীতে মোট তেল ও গ্যাসের ৮০ ভাগ, কয়লার ৬০ ভাগ, স্বর্ণের ৬৫ ভাগ, রাবার ও পাটের ৭৫ ভাগ এবং খেজুরের ১০০ ভাগ মুসলমান দেশের। সুবহানাল্লাহ! পৃথিবীর মোট দেশের আয়তনের তিনভাগের একভাগ এখনো মুসলমানদের দেশসমূহ। পৃথিবীর মোট ৩ কোটি সৈন্যের প্রায় অর্ধেকই মুসলমান। সুবহানাল্লাহ! অমুসলিম বিশ্বের ৮৭ ভাগ বাণিজ্যই মুসলমানের সাথে। অর্থাৎ মুসলমানরা তথা মুসলমান শাসকরা চাইলেই যেকোনো মুহূর্তে সারা বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে পারে।

অমুসলিম বিশ্ব তথা লুটেরা যালিম কাফিররা মুসলমান বিশ্বের তথা মুসলমানদের সম্পদ হরণ করেই তথা মুসলমানদের সম্পদের উপর নির্ভর করেই বেঁচে আছে। কিন্তু মুসলমানরা সে বিষয়ে বড়ই বেখবর। এবং এক মুসলমান অপর মুসলমানের কোনো প্রয়োজনেই এগিয়ে আসছে না। মুসলমানদের মধ্যে এমন হাজার হাজার ধনী রয়েছে, যাদের একজনের যাকাতই হাজার কোটি টাকার ঊর্ধ্বে।

এর বিপরীতে ব্রিটেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইসলামিক রিলিফ’ জানিয়েছে, বিশ্বের শতকরা ৭২ ভাগ মুসলিমই দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবনযাপন করছে। অথচ মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃবন্ধন অটুট ও যাকাত প্রদানের চেতনা থাকলে এমনটি হতো না। আজ ইরাক, সুদান, সিরিয়া, ভারত, কাশ্মীরসহ বার্মায় যে মুসলিম নির্যাতন- তা মূলত মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধের সঙ্কটের কারণেই।

অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “গোটা মুসলিম বিশ্ব একটি দেহের ন্যায়। দেহের একপ্রান্ত আঘাতপ্রাপ্ত হলে তা যেমন দেহের অন্য প্রান্তে সঞ্চালিত হয়; তেমনি মুসলমান এক প্রান্তে আক্রান্ত হলে গোটা মুসলিম বিশ্বেই তার ঢেউ তুলবে।”

কিন্তু মুসলমানগণ তথা মুসলিম শাসকগণ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আমল থেকে বঞ্চিত।

-আল্লামা মুহম্মদ মাহবুবুল্লাহ, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।