যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৯০

সংখ্যা: ২১৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন: আয়াত শরীফ-১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফ-এ মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হল মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরনিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়।

ধারাবাহিক

ওহাবী, খারিজী, লা-মাযহাবী, জামাতী তথা মুনাফিক গোষ্ঠী কর্তৃক প্রকাশিত মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ লিফলেটসমূহের দলীলভিত্তিক খ-ণমূলক জাওয়াব

বাতিলপন্থী ওহাবী, খারিজী, লা-মাযহাবী, জামাতী তথা মুনাফিক গোষ্ঠী রাজারবাগ শরীফ-এর প্রতি মিথ্যা প্রচার করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে যে সকল লিপলেট প্রচার করেছে সেগুলোর জবাবে আমরা যে সকল লিফলেট প্রকাশ ও প্রচার করেছি তন্মধ্য হতে কয়েকটি লিফলেট নি¤েœ হুবহু উল্লেখ করা হলো-

(২)

ধানমন্ডি ১৫ নাম্বার স্টাফ কোয়ার্টার কমিউনিটি সেন্টারে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে আয়োজিত মাহফিলকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত ওহাবী-খারেজী ও বাতিলপন্থীদের নাম-ঠিকানা ও পরিচয়বিহীন অবৈধ লিফলেটের দলীলভিত্তিক জবাব

পূর্ব প্রকাশিতের পর

২. ‘খলীফাতু রসূলিল্লাহ’ অর্থ- রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিনিধি। এর ব্যাখ্যায় বাতিলপন্থি ওহাবীরা লিখেছে, “রসূল উনার চারজনই খলীফা…….। অর্থাৎ তাদের মতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খলীফা হচ্ছেন মোট ৪ জন। এছাড়া আর কোন খলীফা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছিলো না।

এর সঠিক ব্যাখ্যা ও জবাব: বাতিলপন্থী ওহাবীদের উপরোক্ত বক্তব্য শুধু অশুদ্ধই নয় বরং মুর্খতাসূচক ও কুফরীমূলকও বটে। কারণ তারা উক্ত বক্তব্যের মাধ্যমে রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কয়েকজন খলীফা উনাদেরকে অস্বীকার করেছে। যেমন- আমীরুল মু’মিনীন হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ আরো অনেকেই খিলাফত পরিচালনা করেছেন। এছাড়া সমস্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারাই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খলীফা।

কাজেই রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খলীফা শুধু ৪ জন একথা মোটেও সত্য নয় বরং সম্পূর্ণ মিথ্যা ও দলীলবিহীন। তাছাড়া উপরে বর্ণিত হাদীছ শরীফেই স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে যে, যারা সৎ কাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করে তারা সকলেই ‘খলীফাতু রসূলিল্লাহ।’

সুতরাং তাদের উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে হাদীছ শরীফ বিরোধী প্রমাণিত হলো। আর হাদীছ শরীফ বিরোধী বক্তব্য প্রদান করা সুস্পষ্টরূপে কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।

৩. ‘ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত’ অর্থ: শরীয়ত ও তরীক্বতের ইমাম। এর ব্যাখ্যায় তারা লিখেছে, “শরীয়ত, তরীক্বত……….যার কোন নির্ধারিত ইমাম নেই।”

এর সঠিক ব্যাখ্যা ও জবাব: “শরীয়ত ও তরীক্বতের নির্ধারিত কোন ইমাম নেই” বাতিলপন্থী ওহাবীদের এ বক্তব্যটিও জিহালতপূর্ণ ও দলীলবিহীন। কারণ একজন সাধারণ মুসলমানও জানেন যে, চার মাযহাবের ৪ জন সম্মানিত ইমাম উনারা মূলতঃ শরীয়তেরই ইমাম। অর্থৎ ইমামুশ শরীয়ত। আর তরীক্বার ৪ জন সম্মানিত ইমাম উনারা মূলতঃ তরীক্বতেরই ইমাম। অর্থাৎ ইমামুত তরীক্বত। কাজেই শরীয়ত ও তরীক্বতের নির্ধারিত কোন ইমাম নেই তাদের একথা কি করে সত্য ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে?

তাছাড়া ‘ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত’ এটা নতুন কোন লক্বব নয়। হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযতর বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত বাহাউদ্দীন নকশবন্দ রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ অসংখ্য আলিম-উলামা ও পীর মাশায়িখগণ উনাদের লক্বব বা উপাধি ছিলো ‘ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত।’ তারা বাহাছে বসুক আমরা কিতাব থেকে তা প্রমাণ করে দিবো। ইনশাআল্লাহ।

৪. ‘ইমামুল আইম্মাহ’ অর্থ: সমস্ত ইমামদের ইমাম। এর ব্যাখ্যায় তারা লিখেছে, ইমামগণ উনাদের সর্দার তো আবূ হানীফা……………?

এর সঠিক ব্যাখ্যা ও জবাব: ‘ইমামুল আইম্মাহ’-এর সঠিক অর্থ হচ্ছে, ‘ইমামগণ উনাদের ইমাম।’ আর ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সমস্ত ইমামগণ উনাদের ইমাম বা সর্দার একথাও সঠিক নয়। কারণ উনার পূর্বে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনারা রয়েছেন। তবে কি তিনি উনাদেরও ইমাম? মূলতঃ ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অবশ্যই ‘ইমামগণ উনাদের ইমাম অর্থাৎ ইমামুল আইম্মাহ’। তবে উনার যামানার জন্য। কারণ প্রত্যেকের লক্বব বা উপাধিগুলোই উনার যামানার জন্য প্রযোজ্য। তা ব্যাপক অর্থে কখনোই ব্যবহৃত হবেনা। যদি ব্যাপক অর্থে ধরা হয় তবে তো বাতিলপন্থী ওহাবীদের মুরুব্বী আশরাফ আলী থানবীও কাফির সাব্যস্ত হয়। কারণ তার একটি লক্বব রয়েছে, ‘হাকীমুল উম্মত’ এর অর্থ দাঁড়ায় আশরাফ আলী থানবী হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবিয়ীন, তাবি তাবিয়ীন, ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম এমনকি হযরত ঈসা আলাইহিস সালামসহ সকল নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাকীম (নাউযুবিল্লাহ)। কেননা উনারা সকলেই তো হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই এক্ষেত্রে বাতিলপন্থী ওহাবীরা কি জবাব দিবে?

স্মর্তব্য যে, ‘ইমামুল আইম্মাহ’ নতুন কোন লক্বব নয় এবং শুধু ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লক্বব নয়। বরং ইমাম মালিক, ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাসহ আরো অনেকেরই লক্বব বা উপাধি হচ্ছে ‘ইমামুল আইম্মাহ।’ কাজেই ইমামুল আইম্মাহ লক্বব ব্যবহার করা শরীয়তবিরোধী হলে উনারা কখনোই তা ব্যবহার করতেন না।

৫. ‘মুহইস সুন্নাহ’ অর্থ: সুন্নত যিন্দাকারী, এ ব্যাপারে তারা যা লিখেছে, তা তাদেরকে চরম প্রতারক, মিথ্যাবাদী ও জাহিল বা গ-মূর্খ হিসেবেই সাব্যস্ত করেছে। কারণ শুধু আলিমরা কেন সারা বিশ্বের আলিম উলামা ও সাধারণ লোক সকলেই খুব ভালো করেই জানে ও মনে প্রাণে বিশ্বাসও করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি স্বয়ং নিজে সুন্নতের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পূঙ্খানুপুক্ষ্ম অনুসরণ-অনুকরণ করেন। উনার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে লক্ষ লক্ষ লোক সুন্নত সম্পর্কে জানতে পারছে ও সুন্নতের আমল করছে। কাজেই তিনি যে ‘মুহইস সুন্নাহ’ এতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ করার কোনই অবকাশ নেই। কারণ বাতিলপন্থী ওহাবীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ, তারা রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কোন একটি আমলও দলীল দ্বারা সুন্নতের খিলাফ প্রমাণ করতে পারবেনা। সুতরাং ‘মুহইস সুন্নাহ’ লক্বব বা উপাধিকে যারা অস্বীকার করে তারাই মূলতঃ সবচেয়ে বড় মিথ্যাবাদী ও প্রতারক। যা সকলেরই জানা।

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১