সম্পাদকীয়

সংখ্যা: ১৯২তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা আল্লাহ পাক উনার জন্য।  যিনি পবিত্র মহামহিম। সর্বোত্তম আখলাকের অধিকারী আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অনন্তকালের জন্য অফুরন্ত ছলাত ও সালাম। যিনি স্বীয় উম্মতকে ফিৎনা সম্পর্কে নছীহত করেছেন।

আল্লাহ পাক যুগে যুগে নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম প্রেরণ করে দুনিয়াকে ফিৎনা মুক্ত করেন। কিন্তু মানুষ কালক্রমে বার বার দুনিয়াতে ফিৎনা-ফ্যাসাদের অবতারণা করে। আল্লাহ পাক বলেন, æপৃথিবীকে কুসংস্কারমুক্ত ও ঠিক করার পর তাতে ফিৎনা তৈরি করো না।”

উল্লেখ্য, ফিৎনা তৈরি করা আল্লাহ পাক উনার কাছে খুবই অপছন্দের বিষয়। আল্লাহ পাক বলেন, æফিৎনা-ফ্যাসাদ করা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা আল্লাহ পাক উনার কাছে হত্যার চেয়েও বেশি অপরাধ।” (সূরা বাক্বারা) æপৃথিবীতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করতে প্রয়াসী হয়োনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক ফিৎনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারীকে পছন্দ করেননা।” (সূরা ক্বাছাছ)

হালে এক নতুন ফিৎনা ভয়ঙ্কররূপে দেখা দিয়েছে। এটি ইসলামের নামে মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসবাদী ফিৎনা। এরা বিভিন্ন স্থানে এমনকি মাযার শরীফেও বোমা-গ্রেনেড হামলা করে দেশ, জাতি ও ধর্মের ক্ষতি সাধনে লিপ্ত রয়েছে। এরা দেশকে ব্যর্থ বা অকার্যকর প্রতিপন্ন করতে চায়। দেশকে সাম্রাজ্যবাদী ইহুদী-খ্রিস্টানদের দখলের সুযোগ করে দিতে চায়।

ইরাক-আফগানিস্তান দখলের পর শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের অপরাপর মুসলিম দেশগুলোর উপরও সাম্রাজ্যবাদীদের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এন.আই.সি এবং সি.আই.এ’র মূল্যায়ন রিপোর্টে বলা হয়েছে, æপাকিস্তান ২০১৫ সালের মধ্যে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তখন পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধ, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, দ্বন্দ্ব ও লড়াই জমে উঠবে।” মূলতঃ  বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী ইহুদী-খ্রিস্টানরা এ অবস্থাটা প্রায় এখনই তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। বলতে গেলে বাংলাদেশকে তারা এখনই অকার্যকর বা ব্যর্থ রাষ্ট্র ঘোষণা করতে উদ্যত। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষায় রাষ্ট্র ব্যর্থ বা অকার্যকর হলে তা সহজেই জাতিসংঘের অধীন বা বিদেশী শক্তির করায়ত্ত হতে পারে।

স্মর্তব্য, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, æদেশকে মুহব্বত করা ঈমানের অঙ্গ।” দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা ফরয। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের ঈমানে ত্রুটি রয়েছে, যাদের আক্বীদা শুদ্ধ নয় অথবা যারা ঈমানদারই নয় তারাই দেশের স্বাধীনতা বিরোধী হয় অথবা দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। ’৭১-এ, এ ধারারই নামধারী ইসলামী দল দেশের স্বাধীনতা চায়নি।  এখনও এদের সমগোত্রীয় মাযহাব বিদ্বেষী- লা-মাযহাবী, সালাফী নামধারী আহলে হাদীছ তথা খারিজী, ওহাবী গোষ্ঠীই দেশকে অকার্যকর বা ব্যর্থ প্রতিপন্ন করতে প্রচেষ্ট।

দেশে বর্তমান জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের নেপথ্য নায়করা সবাই স্বতঃসিদ্ধ ইসলামী মাযহাব বা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত বিরোধী- লা-মাযহাবী, সালাফী তথা নামধারী আহলে হাদীছপন্থী। এরা চরম-পরম ওলীআল্লাহ বিদ্বেষী। হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাযার শরীফ-এ এরাই বোমা হামলাকারী।

মূলতঃ এরা যেহেতু মাযহাব মানে না তাই কুরআন-সুন্নাহ্র সমন্বিত ইল্ম এদের নেই। এরা আয়াত শরীফ-এর ছহীহ অর্থ গ্রহণে অক্ষম হয়ে মনগড়াভাবে চলে। এরা তাই এদের নিজেদেরকে ছাড়া অন্য মুসলমানকেও কাফির মনে করে। তাদেরকেও হত্যা করে, মাল-

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়