সম্পাদকীয়

সংখ্যা: ২৬৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সব সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত পবিত্র দুরূদ শরীফ ও পবিত্র সালাম মুবারক।

(১)

চন্দ্র মাসের ধারাবাহিকতায় প্রতি সম্মানিত ঈদ উনার ক্ষেত্রেই বলতে হয়- বছর ঘুরে আবারো এলো মহাসম্মানিত ঈদ। কিন্তু পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার ক্ষেত্রে এ কথামালা প্রযোজ্য নয়। কারণ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ এমন মহাসম্মানিত ঈদ- যার কেবল শুরুই আছে। যার কোনো শেষ নেই। যার কোনো বিরতি নেই। যা অনন্তকালের জন্য। আর পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম এ অনন্তকালের পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার তাজদীদ মুবারক করেছেন, ধারণ করেছেন, বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছেন, কুল-কায়িনাতবাসীকে বিতরণ করেছেন সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

এ বিষয়ে হযরত সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্য থেকে অগণিত ও কিতয়ী দলীল দিয়েছেন। আক্বলমন্দের জন্য দু’একটি উদাহরণই যথেষ্ট। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে গোটা আলমের জন্য রহমত মুবারক ব্যতিরেকে প্রেরণ করি নাই।” সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন কোনো একটি এলাকার জন্য প্রেরিত হননি; তেমনি তিনি কোনো একটি সময়ের জন্যও আবির্ভুত হননি। বরং উনার মুবারক তাশরীফ অনন্তকালের জন্য। উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস মুবারকের সম্মানার্থে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালের জন্য। দিনের চব্বিশ ঘণ্টা, বৎসরের সবসময় এবং অনন্তকালের অনন্ত সময় পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার খিদমতেই ব্যাপৃত। সুবহানাল্লাহ!

প্রসঙ্গত, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করেন। অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন। হে ঈমানদারগণ! আপনারাও উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করুন এবং পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করুন অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করুন যথাযথ সম্মানের সাথে।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বর্ণনা করা হয়নি। অর্থাৎ তা অনন্তকালের জন্য। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!

(২)

উল্লেখ্য, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় উম্মতদের হাদিয়া মুবারক করেছেন পরিপূর্ণ দ্বীন- পবিত্র ইসলাম।

আর ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম’ তথাকথিত অন্যান্য ধর্মের মতো নয়। পবিত্র দ্বীন ইসলাম পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। অন্য কোনো ধর্মই খেলাধুলা, নির্বাচন, গান-বাজনা, মূর্তি, অভিনয়, উলঙ্গপনা ইত্যাদির বিরুদ্ধে কিছু বলেনি।

সে সুবাদে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ও ধর্মের প্রেক্ষিতে স্বাধীনতাউত্তর এদেশে গান-বাজনা, কথিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, সিনেমা এগুলোকে সরকারি পর্যায়ে শুধু সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়নি; পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও যাতে অন্যান্য বিধর্মীদের সাথে তাল মিলিয়ে নাচতে পারে, সেজন্যও সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে ও হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! এক্ষেত্রে এদেশের জনগণের শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান উনাদের পবিত্র দ্বীন ‘ইসলাম’ সম্পূর্ণই উপেক্ষিত, অবহেলিত ও অস্বীকার্য থেকে যায়। নাউযুবিল্লাহ! কিন্তু এদেশের ৯৮ ভাগ মুসলমান কী মানতে পারে যে, তাদের পবিত্র দ্বীন- ‘ইসলাম’ রাষ্ট্রযন্ত্র স্বীকার করবে না?

এদেশের জনগোষ্ঠীর ৯৮ ভাগ মুসলমান কী মানতে পারে যে, তাদের প্রাণাধিক প্রি দ্বীন- ‘ইসলাম’ উনাকে রাষ্ট্রযন্ত্র সম্মান করবে না। ৯৮ ভাগ মুসলমান সহ্য করতে পারে যে, তাদের ঈমান- পবিত্র দ্বীন ‘ইসলাম’ উনাকে রাষ্ট্রযন্ত্র পদে পদে ধিকৃত করবে?

পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে খেলাধুলা হারাম। কিন্তু তারপরেও রাষ্ট্রযন্ত্র দেশের কোটি কোটি নাগরিককে না খাইয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা হারাম খেলাধুলার পিছনে ব্যয় করছে; তখন এদেশের জনগোষ্ঠীর ৯৮ ভাগ মুসলমান উনারা রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে কী ধরনের আশাহত ও চরম বিপরীতমুখী আচরণের মুখোমুখি হয়, তা কী ভাবা যায়?

রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় যখন সিনেমাসহ যাবতীয় অশ্লীলতার অবাধ অনুশীলন হয়; তখন দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমানের দ্বীনী অনুভূতিতে কত চরম আঘাত হানা হয়? তাও কী সম্যক উপলব্ধি করা যায়?

(৩)

দিনে দিনে প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া দেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে কু-প্ররোচনা দিচ্ছে- কীভাবে কত সংক্ষিপ্ত পোশাক পরা যেতে পারে, মদ ও মাদক ধরা যেতে পারে, পরকিয়া, লিভ টুগেদার তথা অবাধ যৌনাচারে ভাসা যেতে পারে। নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ!

উল্লেখ্য, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ উনার ৮-৯ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও ভয়প্রদর্শনকারীরূপে। অতএব, তোমরা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনো এবং উনার মুবারক খিদমত করো, মুবারক তা’যীম-তাকরীম করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে উনার মুবারক ছানা-ছিফত বা প্রশংসা মুবারক করতে থাকো।”

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র সূরা সাবা শরীফ উনার ২৮ নম্বর আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক ফরমান- “হে আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি অবশ্যই আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না বা বুঝে না।”

প্রসঙ্গত, আজকে গণমাধ্যমকে বলা হয় মিডিয়া। সবকিছু জানার জন্য মানুষ এই মিডিয়ার উপরে নির্ভর করে। মিডিয়া জানিয়েছে- পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ডে ১.৭৮ জন, প্রতি মিনিটে ১০৭ জন, প্রতি ঘণ্টায় ৬,৩৯০ জন এবং প্রতিদিন ১,৫৩,০০০ লোক মারা যাচ্ছে।

কিন্তু মিডিয়া- মানুষকে জানাতে পারেনি যে মানুষের মৃত্যুর পরে কি অবস্থা হয়? মানুষের প্রবৃত্তি কী? মানুষের পরিণতি কী? ক্বিয়ামত কী? জাহান্নাম-জান্নাত উনার বিষয় কী?

(৪)

উল্লেখ্য, এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’- এ কালিমা শরীফ-এ বিশ্বাসী।

এদেশে ১০ লাখ ঊর্ধ্ব মসজিদের ৫ ওয়াক্ত আযানে দৈনিক ১০ বার করে অর্থাৎ কোটিবারেরও বেশি উচ্চারিত হয় ‘আশহাদু আন্না মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ।’ অর্থাৎ ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল।’

ব্যক্তি মুসলমান প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাযের আযানে ও ইক্বামতে ২০ বার করে শুনে ‘আশহাদু আন্না মুহম্মদার রসূলাল্লাহ।’ অর্থাৎ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে রসূল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এবং বিতরসহ ৫ ওয়াক্ত নামাযের মধ্যে তাশাহুদে কমপক্ষে ১৭ বার সাক্ষ্য দেয়, “……ওয়া আশহাদু আন্না মুহম্মদার রসূলুল্লাহ।” অর্থাৎ ব্যক্তি মুসলমান দৈনিক ৩৭ বার সাক্ষ্য দেয়, ‘আশহাদু আন্না মুহম্মদার রসূলুল্লাহ।’ সুবহানাল্লাহ!

আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা এনেছেন তা আঁকড়িয়ে ধর এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাকো।” (সূরা হাশর: আয়াত শরীফ ৭)

মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে রসূল হিসেবে ৩৭ বার সাক্ষ্য দেবার পরও দেশের ৯৮ ভাগ মুসলমান ফরয-ওয়াজিব পালন থেকে দূরে থাকে কীভাবে? সুন্নত পালন থেকে গাফিল থাকে কীভাবে? হারাম-হালাল একাকার করে কী করে? বেপর্দা-বেহায়া-বেশরায় মশগুল হয় কী করে? তাহলে কীভাবে ২০ বার ‘মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ’ কানে শোনা ও স্বীকৃতি দেয়া হয়? এবং বিতরসহ ৫ ওয়াক্ত নামাযে ১৭ বার তাশাহহুদে নিজ মুখে উচ্চারণ করা ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ’ বলার অর্থ কিসে পরিণত হয়?

(৫)

বলাবাহুল্য, দেশের মুসলমান এখনো জান্নাত আশা করে এবং জাহান্নামকে ভয় পায়। আর জান্নাত-জাহান্নামের আমল সম্পর্কেও তারা অজ্ঞাত নয়। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে জান্নাত-জাহান্নামের মূলত মালিক- আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা মূল্যায়ন, শান-মান, অনুধাবন, আদেশ, নিষেধ পালন থেকে তারা কী করে পিছিয়ে থাকতে পারে?

কাজেই মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহম্মদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।

মূলত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাযথ ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালনের দ্বারাই মুসলমান সে ঈমানী চেতনা ও প্রেরণা তথা কুওওয়াত বা নিয়ামত পাবে।

মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন করার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারকেই কেবলমাত্র সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত মুবারক হাছিল সম্ভব। আর ইতিহাসে তিনিই সর্বপ্রথম দিচ্ছেন অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার মহামহিম নিয়ামত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

 

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়