সরকার প্রস্তাবিত ত্রিশ লাখ টনের হিমাগার এদেশের জন্য যথেষ্ট নয়

সংখ্যা: ২০৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

সরকার প্রস্তাবিত ত্রিশ লাখ টনের হিমাগার এদেশের জন্য যথেষ্ট নয়। বরং æদেশে দশ কোটি টন খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য দেশে প্রায়

প্রতি থানায় ১টি করে কমপক্ষে ৫০০ হিমাগার তৈরি করা।”

মুজাদ্দিদে আ’যম উনার এ ক্বওল শরীফ বাস্তবায়ন

করলে দেশে কোনোদিন খাদ্যাভাব হবে না।

সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও উচিত এ বিষয়ে সচেতন ও সক্রিয় হওয়া।

২০২১ সালের মধ্যে দেশে ৩০ লাখ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। গত ৩০মে-২০১১ ঈসায়ী তারিখে শেরে বাংলা নগরস্থ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে খাদ্য অধিদপ্তর ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রজেক্ট কো অর্ডিনেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিটের সাথে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্বাক্ষরকালে তিনি এ কথা বলেন।

উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশে খাদ্য গুদামগুলোর মোট ধারণ ক্ষমতা ছিল ১৫ লাখ টন। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে- অচিরেই আরো ৭ লাখ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গুদাম নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ১ লাখ ১০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু হিমাগার বিষয়ক সরকারের এ ধীরগতি কোনক্রমেই বরদাশতযোগ্য নয়। বিশেষ করে ২০১১ সাল নাগাদ মাত্র ৩০ লাখ টনের গুদাম লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা একান্তই যথার্থ নয়।

কারণ একমাত্র পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় দেশে শাক-সবজি, তরিতরকারি ও ফলফলাদি ইত্যাদির বাম্পার ফলন হওয়া সত্ত্বেও সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে একদিকে প্রান্তিক চাষী মূল্য পায় না; অপরদিকে মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেট এবং চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ নাগরিক চড়া মূল্যে খাদ্য কিনে।

সংরক্ষণের অভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি, তরিতরকারি এবং ফলফলাদি ইত্যাদি পচে নষ্ট হয় এমনকি গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলে খবর পাওয়া যায় । বিশেষ করে ‘দৈনিক আল ইহসানসহ অন্যান্য পত্র-পত্রিকায়ও এ সংক্রান্ত খবর প্রচুর আসছে।

তবে শুধু সবজি সহ আরো খাদ্যদ্রব্যও হিমাগারের অভাবে নষ্ট হয়। এক চলনবিলেই ১০০ কোটি টাকার শুঁটকি মাছ হিমাগারের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে বলে সম্প্রতি পত্রিকায় খবর হয়েছে।

আমাদের শাক-সবজি, তরিতরকারি এবং ফলফলাদি ইত্যাদি উদ্বৃত্ত হয় যেমন, তেমনি ঘাটতিও আছে। মৌসুমে শাক-সবজি তরিতরকারি এবং ফলফলাদি ইত্যাদি যে পরিমাণ উৎপন্ন হয় তা দেশের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকে বিপুল পরিমাণ। যা সাধারণভাবে চিন্তা করা অত্যন্ত কঠিন। অন্যান্য তরিতরকারি শাক-সবজির ৮০ ভাগই উৎপাদিত হয় শীত মৌসুমে। শীতকালের অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সবজি এতো অধিক উৎপন্ন হয় যে, শেষ পর্যন্ত সেগুলো কেনার লোক থাকে না। বিপুল উদ্বৃত্ত এবং ক্রেতার অভাবে তখন সেগুলো বিক্রি হয় পানির দরে। অনেক ক্ষেত্রে কৃষকের পরিবহন খরচও উঠে আসে না। উৎপাদন বেশি হলে শাক-সবজি পচে নষ্ট হয়। এর কারণ আমাদের দেশে শাক-সবজি সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই। হিমাগারের ভয়াবহ সঙ্কট। অথচ ফলমূল, শাক-সবজি, তরিতরকারি সংরক্ষণের যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হলে একদিকে যেমন চাষী লাভবান হবে তেমনি সাধারণ নাগরিকও অনেক কমদামে সবকিছু খেতে পারবে। এ শীত মৌসুমে শুধু আলুই উৎপাদন হয়েছে দেড় কোটি টনের অনেক বেশি।

দেশের প্রায় প্রতিটি থানায় যদি হিমাগার তৈরি করে তরিতরকারি, ফলফলাদি ও শাক-সবজি ইত্যাদি সংরক্ষণ করা যায় তবে এ সংরক্ষণের দ্বারা একদিকে যেমন দেশের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে; আর পাশাপাশি তা বিদেশে রফতানি করে হাজার হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।

 

দেশে মোট হিমাগার আছে ৩৪৩টি। এরমধ্যে চালু রয়েছে ২৯৬টি হিমাগার।

প্রসঙ্গত মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সরকারের উচিত দেশের প্রায় প্রতিটি থানায়ই সরকারি অর্থায়নে আপাতত কমপক্ষে দুই লাখ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন হিমাগার তৈরি করা।

দুই লাখ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন হিমাগার তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৩৫০ কোটি টাকা লাগবে। সে হিসেবে কমপক্ষে ৫০০টি হিমাগার তৈরি করতে সর্বোচ্চ মাত্র ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। ৫০০টি হিমাগারে ১০ কোটি টন খাদ্য সংরক্ষণ সম্ভব।

বাংলাদেশে আপাতত খাদ্যের চাহিদা মাত্র ৫ কোটি টন। ১০ কোটি টন খাদ্যসামগ্রী যদি সংরক্ষণ সম্ভব হয়; তাহলে আশা করা যায় দেশে আর কোন খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হবে না এবং খাদ্যাভাবও কোনদিন হবে না ইনশাআল্লাহ। আর ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা একটা দেশের জন্য খুব বেশি নয়। কারণ অভিযোগ উঠেছে জোট সরকারের আমলে এক ব্যক্তিই দুর্নীতি করেছে দুই লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। দেশে যদি টাকা না থাকে তাহলে তারা দুর্নীতি করে কীভাবে? তারপরেও উল্লেখ্য এ টাকাটা ১ বৎসরেই প্রয়োজন হবে তা নয়। কারণ, এতগুলি হিমাগার তৈরি করতে কয়েক বৎসর প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে হিমাগার তৈরির ক্ষেত্রে এদেশের অনেক লোকের কর্মসংস্থানও হবে ইনশাআল্লাহ।

এতদ্বপ্রেক্ষিতে সরকারের উচিত, অবিলম্বে প্রায় প্রত্যেক থানায় কমপক্ষে একটি বা সর্বমোট ৫০০টি সরকারি হিমাগার করে কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করা এবং না-খাওয়া মানুষ তথা সাধারণ মানুষের জন্য কমমূল্যে খাদ্য কেনার ব্যবস্থা করা। যা ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবীর কারণ হবে।

বলাবাহুল্য, আমাদের ঈমানী জজবার বড়ই অভাব। অথচ এ ঈমানী চেতনা থাকলে আমরা সহজেই মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার মুবারক ক্বওল শরীফ উপলব্ধি করতে পারতাম। এদেশের প্রতি খোদায়ী রহমত উপলব্ধি করতে পারতাম। পরিপূর্ণ নিয়ামত বুঝতে ও ফায়দা পেতে পারতাম।

-মুহম্মদ তা’রীফুর রহমান

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।