সরকার সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস উঠিয়ে দিচ্ছে?

সংখ্যা: ২০৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

‘কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না’- এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সরকার এখন সংবিধান সংশোধনের নামে কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ-এর মালিক ‘খোদ আল্লাহ পাক’ বিরোধী আইন বাস্তবায়ন করতে তথা সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস উঠিয়ে দিচ্ছে?

প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীরা পার পায় কী?

 

‘গণতন্ত্র’ ‘গণতন্ত্র’ খেলার নামে এদেশের গণমানুষ ও গণমানস আর কতকাল বঞ্চিত হবে? আর কতদিন প্রতারিত হবে? জনগণের উদ্দেশ্যে বলা হলেও আসলে একটা গোষ্ঠী অথবা সুবিধাবাদী মহল আর কত সময় নিজেদের মত-পথ চাপিয়ে দিবে?

গত বছরের ২১শে জুলাই সংসদ উপনেতাকে চেয়ারম্যান করে সংবিধান সংশোধনের উদ্দেশ্যে ১৫ সদস্যের বিশেষ কমিটি করা হয়। কার্যত এই কমিটির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ থাকে কো-চেয়ারম্যান কথিত ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিবেদিত নেতা হিসেবে চিহ্নিত- সুরঞ্জিতের হাতে। যা গত ২৭শে মে জাতীয় প্রেসক্লাবে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি প্রকাশ্য জনসভায় ব্যক্ত করেছে। সে বলেছে- “বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম থাকবে কিনা তা এখন সুরঞ্জিতের হাতে।” প্রতিভাত হচ্ছে সংবিধান সংশোধনে গঠিত কমিটি গণপ্রতিনিধিত্বের আলোকে কাজ করেনি। করেছে বিশেষ গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন।

গত ৬ জুন পত্রিকান্তরে খবর প্রকাশিত হয়েছে, ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ বহাল এবং ‘ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ’ রাখাসহ ৫১টি সুপারিশ করেছে কথিত এ কমিটি। এসব সুপারিশ সংক্রান্ত রিপোর্ট জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে।

উল্লেখ্য, ‘বিসমিল্লাহ’ ও ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বহাল রাখার কথা বলা হলেও আসলে তা মুসলিম মানসের কাছে গরু মেরে জুতা দানের মতো বিষয় হচ্ছে। কারণ ‘বিসমিল্লাহ’ শব্দের অর্থের সুপারিশ করা হয়েছে ‘পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে’। যা মূলত বিসমিল্লাহ শব্দের মূল অর্থের সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ বিসমিল্লাহ শব্দে ‘আল্লাহ পাক’ শব্দ রয়েছে। অপরদিকে সৃষ্টিকর্তা শব্দের আরবী হল ‘খালিক্ব’। কাজেই পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে বললে তাতে ‘বিসমিল্লাহ’র অর্থ প্রতিফলিত হয়না। বরং ‘সৃষ্টিকর্তা’ বলে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের ধর্মীয় ভাবধারাই প্রতিস্থাপিত করার জন্যেই দুরভিসন্ধিমূলকভাবে এ সুপারিশ করা হয়েছে। যা মূলত এদেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে গভীর আঘাত হানবে।

অপরদিকে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ রাখা হলেও রাষ্ট্রধর্ম সম্পর্কিত সংবিধানের ২ (ক) অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালন রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সম-অধিকার নিশ্চিত করিবেন’ প্রতিস্থাপিত করার কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মকে যদি রাষ্ট্র, ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের’ ন্যায় সমমর্যাদা দেয়া হয়; তবে সেগুলিও কী ইসলামের ন্যায় আলাদাভাবে রাষ্ট্রধর্ম হয়ে যায় না? তাহলে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ একথার কি মূল্য থাকতে পারে? এ কথা কী করে অর্থবহ হতে পারে? এ কী ৯৭ ভাগ মুসলমান অধিবাসীর সাথে চরম প্রতারণা নয়?

প্রসঙ্গত প্রতারণার এখানেই শেষ নয়। বিশেষ কমিটির সুপারিশে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত ১২ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে আরো বলা হয়েছে- ‘রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দেয়া যাবে না।’

যদি তাই হয়ে থাকে তবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলার কি ফায়দা থাকতে পারে? এসব ধারা কী পরস্পর বিরোধী ও সাংঘর্ষিক হচ্ছে না?

অপরদিকে ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদের উদ্দেশ্যে রচিত এ সংবিধানে ‘মুসলমান’ বলে কোনো স্বীকৃতি নেই। যদিও ‘উপজাতি’ এবং ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীরও সাংবিধানিক স্বীকৃতি রয়েছে এবং তাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মুসলমানদের ঐতিহ্য সংরক্ষণের ও বিকাশের কোনো বয়ান নেই। এ কী চরম বৈষম্য নয়?

উপরন্তু আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে সংবিধানে ২৫ (২) ধারায় যে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সংহতির কথা বলা ছিল তাও সংবিধান সংশোধনের এ তথাকথিত বিশেষ কমিটি বিলুপ্তির জন্য সুপারিশ করেছে।

এরপরেও কী বলতে বাকী থাকে,

বুঝতে বাকী থাকে যে,

এ সংবিধান সংশোধন কমিটি আসলে ইসলাম ও মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার মতলব নিয়েই জোরে-শোরে কাজ শুরু করেছে।

যার চরম-পরম প্রমাণ হচ্ছে সংবিধানের ৮, ৮ (১) (ক) ও প্রস্তাবনায় উল্লিখিত “সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস”-এ ঈমানী বাক্যাবলী উঠিয়ে দেয়ার সুপারিশ। (নাঊযুবিল্লাহ) অথচ এসব রাখা বা ইনশাআল্লাহ বলার প্রেক্ষিতেই এদেশ স্বাধীন হয়েছে।

প্রসঙ্গত প্রশ্ন উঠে এ বিশেষ কমিটি কী পারবে এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানের অন্তর থেকে এ ইসলামী মূল্যবোধ উঠিয়ে দিতে?

তারা কী দেশের দশ লাখ মসজিদের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে চায়?

তারা কী সারা দেশে জুমুয়ার দিনে ২ কোটিরও বেশি লোকের অংশগ্রহণ চোখ বুঝে অগ্রাহ্য করতে চায়?

তারা কী ভুলে গেছে যে তারা কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না-

এ প্রতিশ্রুতির কারণেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পেরেছে। আর এখন শুধু কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ নয় বরং কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর মালিক খোদ আল্লাহ পাক বিরোধী আইন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। (নাঊযুবিল্লাহ)।

তারা কী তবে ৯৭ ভাগ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতির সাথে বেঈমানী ও বিশ্বাসঘাতকতা করতে চায়? বাংলার নব্য মীরজাফর হতে চায়? কিন্তু মীরজাফররা ইতিহাসে টিকে থাকতে পারে না। বাংলার মানুষ তাদের ক্ষমা করতে পারেনা। একথা তাদের বিলক্ষণ বুঝতে হবে।

-মুহম্মদ আরিফুর রহমান

 

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।