হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৪

সংখ্যা: ২৯১তম সংখ্যা | বিভাগ:

পিঠ যে ঠেকেছে দেয়ালে,

গ্রহে পরাজয় মুসলিম আজ অলস লোভের খোলে।

আজ অশ্লীলতার ঘৃণ্য তলায় মুসলিম প্রশাসন,

দুনিয়াকে তারা ভেবে জান্নাত, পায় শুধু প্রহসন।

হায়, ওরে কই কোথা হেরি সেই মুসলিম,

যাহাদের ভয়ে থর থর করে কেঁপে রহে মুজরিম।

কই মানবতার নূরী প্রতীক, আতিক মুসলমান,

কই ছাহাবী সবুজ কালিমাখচিত ঝাণ্ডায় মহীয়ান।

আজ দিকে দিকে রহিতেছে ফিকে, কথিত ঈমানদার,

হেরি মুমিনি খুণেই বহিছে নহর, মরু পলি একাকার।

কেন মু’মিনীন গমগিনে হায় পঁচিতেছে গুহাগারে,

গুমরে গুমরে, কেঁদে কেঁদে সার কঠিন অন্ধকারে।

দিতে শ্রেষ্ঠ রসূলী উম্মত হয়ে ঈমানের পরিচয়,

নিজেদের, দ্বিধা ও ভয়ের গান্ধা পাগাড়ে, করছি অবক্ষয়।

রহে মুসলিম আজ নির্বোধী বাজে হামিশা গ্রেফতার,

গ্রহে, কুফরী রঙ্গে রঞ্জিত হতে ইবলীসি উপহার।

ওরে মুসলিম জাতি নিম্ন সমাজে আর নয় বসবাস,

মানবেতরের বেহায়া বাসরে নাহি গ্রহ উপহাস।

মুশরিকি আর নাছারা সম্মোহন আয়রে ছিড়িয়া আয়,

রহি হারানো সৌর্জ আনতে ফিরায়ে, বাস্তবি আয়নায়।

দেখ, কুখ্যাত ওই উলামায়ে সূরাই তাগুতি আশকারায়,

মুসলিম মাঝে বসছে জেকেই রিযিকের আশায়।

তাগুতি মতেই দিচ্ছে ফতওয়া দ্বিধা নাহি করে আর,

আহা মুসলমানের আক্বীদা আমল করতেছে চুরমার।

আহা উলামায়ে সূর মদদে কেবল মুশরিকি তাণ্ডব,

হায় মুসলমানের শির কেটে লয় পশুসম বাস্তব।

ওই ইহুদী নাছারা নাস্তিক মিলে মুলকে মুসলিমীন,

করছে  দখল দেশ হতে দেশ, দেখ হে ফিলিস্তীন।

শুনো মুসলমান, মাহে রজব শাবান রমাদ্বানী নছীহত,

কহি মুবারক এই ত্রি মাহে রহে স্মৃতিময়ী বরকত।

সেই, পবিত্র আহলে বাইতী রসূলসহ কাহিনীতে অম্লাণ।

প্রতি মুসলিমী উচিত লভিতে সেথা হতে কল্যান।

কহি, কওমে মু’মিন শুনো কান খুলে জাগ্রত দুনিয়ায়,

ওই নববী নকশা, এলেন সহসা, মুসলিমী আঙ্গিনায়।

তিনি বিজয়ী বীর, সুলত্বানুন নাছীর, বিশ্ব মুক্তি ধর,

উনার সকাশে ইবলীস নেশে ভয়ে রহে থর থর।

কেবল তিনি সুন্নতি ন্যায্য নীতিতে হামিশা অটলবান,

ওই তিনিই বাতিলের বাসনা ভাংতে তূর্য নূর নিশান।

শুন, তিনি নাস্তিকী নিঃশ্বেষী শুল, গুড়ে দেন বিষ দাঁত,

রহেন, তিনি মুশরিকি নিস্তে দারাজ, দূর্দমী অভিজাত।

শুনুন, তিনি ধরণীর দূর্যোগী দিনে রহমতি মহাধন,

তিনি আল্লাহ উনার আসমানী শামস শান্তির বন্ধন।

তিনি ইলাহী নায়িব নববী নাজ, কামিলুন ইনসান,

তিনি হাবীবী নূরেই খাছ নূরীয়ান সাইয়্যিদী খান্দান।

কেবল তিনি হাবীবী দুশমনদের ধ্বসাতে হন যাহির,

কেবল তিনিই হলেন ইমামুল উমাম মুসলিমী রাহগীর।

থেকোনারে আর মুসলিম জাতী কমজোরী অন্তরে,

ইমামুল উমামী আলোকিত ডাকে, দিশা লও সবে ওরে।

কহি নামায রোযা হজ্জ ও যাকাত, আদায় করেও তুমি,

তবু, ভুল আক্বীদা করলে পোষণ, থাকবে বিপদগামী।

রহে ইমামুল উমামী এই ফতওয়ায় বিদয়াতীরা কুপোকাত,

কেবল উলামায়ে সূরাই মুসলিম মাঝে জিয়ে রাখে উৎপাত।

তাই মুসলিমী সমাজে মোরা, জজবাহী ডাক দেই,

ওই ইমামুল উমামী ছোহবতবিহীন, বিকল্প রাহা নেই।

মু’মিন, দরবারে উনার কহি সমাচার, ঈমান বাঁচাতে হলে,

এসো হে জলদি হতেই নন্দি, দ্বিধা ও হিংসা ভুলে।

তিনি, বার্ষিক, মাসিক, সাপ্তাহিক, দৈনিক আল ইহসান,

ফের শত সহস্র কিতাব লিখেই জাগাচ্ছেন ইনসান।

ওই উনার মুবারক তীব্র তা’লীমে ধরাশায়ী শয়তান,

তাই দ্রুতই তাগুত মুসলিম হতে করছেই প্রস্থান।

প্রায় সাড়ে তিনশত কোটি মুসলিম সবে ধরি ঐক্যের রশি,

তামাম তাগুত এক করে দিবো অগ্নিগিরিতে ফাঁসি।

নিয়ে শায়খে আকবর সুলত্বানুন নাছীরী ত্যাজস্বী শাহী নূর,

অবশ্যই, খিলাফত দিয়ে, কায়িমী স্বার্থ করবোই চুরাচুর।

-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৩

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৪

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৫

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৬

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৭