হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১২৮

সংখ্যা: ২৪৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

 

আল বালাগাল, মাহে শাওওয়াল, ত্বলায়াল ত্বলায়াল,

আল কালামী ইরহামী শান এই মাহে আফযাল।

ইহসানী ধন করে মগনন উত্তমে জাগুয়ার,

আল বারাকাত করে ইনায়াত মুহছিনে আনওয়ার।

ইহা ইলাহী উনার খাছ মহাদান,

মু’মিনের তরে রহে অফুরান।

ওই পাক হাবীবী নূরী ইরফান,

মুসলিমী হৃদে রহে আবাদান।

ফরমান ইহা রহে রহে বহা অনাদি অনন্ত,

রসূলে খোদা হরদমে সদা মহতী জীবন্ত।

মাহে শাওওয়াল,

ক্বলবে ছালিম দেন এনে দেন তেড়ে দিয়ে ক্বীল-ক্বাল।

তাগুতী বাহার করে সংহার ইসলামী জৌলুসে,

তামাম পৃথিবী করে গৌরবী খিলাফতী উচ্ছ্বাসে।

মুজাদ্দিদী নূরে বিশ্বকে ঘিরে প্রবাহিত উজ্জ্বলে,

পবিত্র দ্বীন রহেন সীমাহীন বিজয়ের হিল্লোলে।

নববী নজরে শাওওয়ালের শিরে মুজাদ্দিদী আলফাজ,

কামালে কামাল বেমিছাল হালে বিলকুল ছহি কাজ।

নাক্বীবাতুল উমাম,

পহেলা শাওওয়ালে তাশরীফ আনেন হয়ে খোদ ইরহাম।

তিনি তো খোদায়ী খাছ হাবীবা রসূলী মুক্তামণি,

তিনি সাইয়্যিদা শাহানা জোশ রৌশনে রহমানী।

তিনি ইমামুল উমামী লখতে জিগার রব্বানী নজরানা,

তিনি উম্মুল উমামী চশমে নূর ইসলামী ইহসানা।

তিনি জগতের খোশ খায়ির,

পহেলা শাওওয়ালে হন জাহির।

নিসায়ী কুলের হয়ে সহায়,

হলেন প্রকাশ ধূলি ধরায়।

তিনি বেমিছাল আকমালী নূর হাবীবী সাগুফতা,

ওই আকাশ বাতাসে উনার ছিফত পঠিছে ফেরেশতা।

ক্বওমে নিসায়ী উদ্ধার তরে উনার তাশরীফান,

রাহনুমায়ে দ্বীন হয়েই এলেন মহীয়সী মহাশান।

তিনি ইখলাছী লালায়ে মাওলা শুনো হে মুসলমান,

ওই উনার নজরে রহমত ঝরে হিদায়েতী অনুদান।

আজ নিদানের কঠিন সময়ে নারী যবে তড়পায়,

নারীত্ববোধের সতীত্ব শান বেলাল্লায় কাতরায়।

হায় নারীকুল বিলকুল আজ তমশায় গুজরায়,

ইজ্জত আর সম্ভ্রমসহ বনিতেছে খেলনায়।

যবে অশ্লীলতার গভীর গুহায় নারীরা গ্রেফতার,

যবে ইবলীসী ভয়ানক তীরে নারীরা ছন্নছার।

যবে নারীরা বেপর্দাকেই সাথী করে বসবাসে,

যবে নারীরা সমাজের বুকে রহে হায় পরিহাসে।

জঘন্য হায় ঘৃণ্যের গৃহে বনে আছে নর্তকী,

নর ললুপের লিপ্সা মিটাতে হচ্ছে যে ভর্তকী।

যবে ইসলামী শান বিরান ভেবেই দুনিয়াদারীতে মজে,

তখনি নারীরা হয়ে দিশাহারা পতনি পাতালে ভজে।

এমনি নিদানে মু’মিনারা কেঁদে ইলাহী রহম চায়,

মু’মিনার জাত চাহিছি নাজাত আয় খোদা দয়াময়।

সেই সে চরম দুর্দিনেই খোদায়ী খইর এলেন,

তিনি তো পরম নজরে নিসায়ী জজবাহী জোশ দিলেন।

ওই উম্মাহাতুল মু’মিনীন গুণে গুণান্বিত হয়ে তিনি,

ধরার যমীনে হলেন প্রকাশ খোদায়ী মেহেরবানী।

ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ বাগে ফেরদৌসী শানে,

তিনি অবস্থানেন নারীরা শুনেন প্রত্যেক জনে জনে।

উনার বিলাদত দিবস হচ্ছে পালন পহেলা শাওওয়াল কোলে,

আরো বেহতর ঈদুল ফিতর উজ্জ্বল দুইয়ে মিলে।

বাগে জান্নাত ভরে কারামাত ওদিবসে দিবারাত,

মু’মিন মু’মিনা আয় আয় ওরে লও লুফে নুজহাত।

বাইশে শাওওয়াল,

খুশির ফোয়ারা রয় প্রবাহিত তীব্রতে বেমিছাল।

আশিকী সমাজ উত্তাল আজ জুড়ে ওই কায়িনাত,

আজ নবরূপে সজ্জিত রহে তামাম মাখলূক্বাত।

আজ রহমী খাযিনা দেন রব্বানা জগতের বুকে ঢেলে,

অসংখ্য মালায়িক তাশরীফ ঠিক আসমানী দ্বার খুলে।

ওই আরশী নূরেই নূরায়ীত রহে রাজারবাগ দরবার,

জান্নাতী জেওরে সাজানো বাগান ফুলে ফলে সমাহার।

নাক্বীবাতুল উমাম নিবরাসাতুল উমাম সাইয়্যিদা সহোদরা,

আজ উনাদের নিকাহ দিবস খুশিতে আত্মহারা।

উচ্ছ্বাসে আজ সৃষ্টি সমাজ বিরাজে ঈদের মোহে,

আসমান আর যমীনের বুকে রৌনকী নূর বহে।

আজকে খুশির কাছীদা শরীফ মাখলূক্বী মুখে বলে,

আজ নিকাহের নাকারা আওয়াজ মুগ্ধ করেই দোলে।

বানাতু মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহী ধন উম্মুল উমামী নাজ,

জানাই খোশ আমদেদ মুবারক হো জান্নাতী মিনহাজ।

রহে খোদায়ী রহম রসূলী করম শাওওয়ালী উদ্যান,

গুলে গুলজার যমীন মাঝার আলোকিত আসমান।

-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৩

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৪

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৫

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৬

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৭