হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৪৮) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি

সংখ্যা: ২৮৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

باد (বাদ) লতীফা- ছবর উনার মাক্বাম। باد (বাদ) ফারসী শব্দ। অর্থ: বাতাস। বাদ-তথা বাতাসও মানুষের সমস্ত শরীরে বিদ্যমান।

পবিত্র বাদ লতীফায়ও পবিত্র আল্লাহ আল্লাহ যিকির করতে হবে। আর মনে করতে হবে যে, আমার শরীরের বাদ (বাতাস) এবং বাইরের বাদ (বাতাস) সবই খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করছে।

পবিত্র মুরাকাবার হালতে খ¦লিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সর্বপ্রকার আপদ-বিপদ, বালা-মুছীবত, দুঃখ-কষ্ট ছবর করার এবং আদেশ মুবারক পালনে কষ্ট সহিষ্ণু হওয়ার তাওফীক্ব আরজু করতে হবে। সর্বক্ষেত্রে ধৈর্য্যধারণ করতে হবে। আর ছবর বা ধৈর্যে্যর খিলাফ কোন কথা-কাজ, আচার-আচরণ যেন প্রকাশ না পায় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। ছবর বা ধৈর্যচ্যুতি ঘটনার সম্ভাবনাময় ব্যক্তি ও স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

মনে রাখতে হবে সাধকের সাধনার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী সকল বিষয়কে পরিত্যাগ করতে হবে। প্রতিকুল পরিবেশ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন

وَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ فَإِنَّكَ بِأَعْيُنِنَا ۖ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ حِيْنَ تَقُوْمُ.‏ وَمِنَ اللَّيْلِ فَسَبِّحْهُ وَإِدْبَارَ النُّجُوْمِ

অর্থ: আপনি আপনার মহান রব তায়ালা উনার আদেশ নির্দেশ পালনের  জন্য ছবর বা ধৈর্য্যধারণ করুন। আর আপনি তো আমার দৃষ্টির সীমানায় তথা হিফাযতে রয়েছেন। যখন রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হন তখন আপনার মহান রব তায়ালা উনার প্রশংসায় যিকির-ফিকির, তাছবীহ-তাহলীল পাঠ করুন। আর রাতে তথা ইশার ওয়াক্তে এবং তারকা অস্তমিত হওয়ার সময় তথা ফজরে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির-ফিকির, তাছবীহ-তাহলীল পাঠ করুন। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তূর শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৮-৪৯)

উল্লেখ্য যে, উল্লেখিত সময়গুলোতে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির-ফিকির করলে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ-নির্দেশ মুবারকসমূহ পালন করা খুবই সহজ ও সম্ভব হয়ে যায়। যিকির-ফিকিরও অনেক ফলপ্রসু হয়। তথা অতি সহজে ও সর্বাঙ্গে যিকির জারী হয়। সুবহানাল্লাহ!

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, একদা এক ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে আরজী করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবুল্লাহ  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

اِنَّ شَرَائِعَ الْإِسْلَامِ قَدْ كَثُرَتْ عَلَيَّ فَأَخْبِرْنِي بِشَيْءٍ أَتَشَبَّثُ بِهٖ قَالَ: ” لَا يَزَالُ لِسَانُكَ رَطْبًا بِذِكْرِ اللهِ

অর্থ: নিশ্চয়ই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আদেশ-নিষেধগুলো আমার কাছে কঠিন মনে হয়। আমাকে এমন একটি সহজ উপায় বলে দিন যাতে আমার  সবকিছুই সহজ বোধ্য মনে হয়। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সবসময় মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির-ফিকিরে মগ্ন থাকুন। তাহলে সবকিছুই সহজ হবে (তিরমিযী শরীফ)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫৬)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছারল ল মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫৭)

মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫৮)

মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১৬৭)

মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১৬৮)