কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

সংখ্যা: ১৫৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

ভাষান্তরঃ- ইবনে একরাম হোসেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার “মজলিসুল উলামা” দাবী করেছে যে, কোকাকোলা এবং এ ধরনের সকল কোমল পানীয়তে (soft drinks) খুব সামান্য পরিমাণে হলেও এ্যালকোহল (Alcohol) মিশ্রিত রয়েছে। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এবং এসকল পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো এ দাবী বা অভিযোগ অস্বীকার করে না এবং করতেও পারবে না।

“মজলিসুল উলামা”-এর দাবীর স্বপক্ষে দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছে এবং তাদের প্রকাশিত রিপোর্টের সাথে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে দিয়েছে। মানুষের দ্বীন হিফাযতের জন্য তাদের প্রকাশিত রিপোর্টটি হুবহু ‘বাংলায় অনুবাদ’ করে পাঠক সমাজে উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ।

(ধারাবাহিক)

যেহেতু গোপনীয়তার মাধ্যমেই এ ব্যবসা চলছে ফলে ক্রেতা কখনই এ বিষয়গুলো জানতে পারছে না। কোকাকোলা কোম্পানীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মন্তব্য করেন “প্রত্যেক নতুন জেনারেশনের কাছে কোকাকোলাকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে হবে।” এ মন্তব্যের পর বোঝার আর কিছু বাকী থাকে না। এই উক্তির উপর নির্ভর করে CAP (মুসলিম সংগঠন) মুসলমানদের উপদেশ দিয়েছে “Always Coca-Cola” বলে কোকাকোলা কোম্পানী যে বিজ্ঞাপন প্রচারণা চালায় তা থেকে সাবধান থাকতে।

মার্ক পেন্ডারগ্রেস্ট যা প্রকাশ করেছে তা সত্য কেননা পিতামাতাদের একটি সহজ অভ্যাস হচ্ছে তাদের সন্তানদেরকে কোকাকোলা দেয়া। কুরআন শরীফে এবং হাদীছ শরীফে যা উল্লেখ আছে-

সন্দেহজনক জিনিষ হারামঃ

আন নুমান বিন বাশির রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ননা করেন যে, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যা হালাল তা স্পষ্ট, যা হারাম তাও স্পষ্ট। কিন্তু এ দু’য়ের মধ্যে রয়েছে কিছু সন্দেহজনক জিনিষ যা মানুষ চিহ্নিত করতে পারে না। যে সন্দেহজনক বস্তু থেকে বেঁচে থাকে সে যেন তার দ্বীনকে রক্ষা করলো। অকল্পনীয় নিয়ামত পেল। কিন্তু যে সন্দেহজনক বস্তু থেকে বেঁচে থাকে না সে হারামে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে সেই মেষ পালকের মত। মুসলমানদের জানা উচিত তারা কি খাচ্ছে। আল্লাহ পাক বলেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যা হালাল তা গ্রহন করুন। যারা ঈমান এনেছো, তারা হালাল খাদ্যসমূহ খাও। তা তোমাদের জন্য আমি প্রদান করেছি।”

 ‘কোক’ খাদ্য নীতি ভঙ্গ করেছে কি?

নীতি নির্ধারকগণ বলেন, যদি মার্ক পেন্ডারগ্রেস্ট এর তথ্যসমূহ প্রমাণিত হয় তবে মারাত্মক গুরুত্ত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন আসে। খাদ্যনীতি অনুযায়ী কোক নীচের অপরাধসমূহের জন্য দায়ী।

 এলকোহলের উপস্থিতিঃ ১৯৮৫ সালের খাদ্য আইনের ৩৪৮ ধারা অনুযায়ী কোন কোমল পানীয়তে এলকোহল থাকতে পারবে না। এলকোহলের উপস্থিতির কোন নির্দেশনা নেই। খাদ্যনীতির ১১ (১) (ডি) ধারা অনুযায়ী এলকোহলের উপস্থিতি ঘোষণা না করা সরাসরি আইন অমান্য করা। কেন না যে কোন খাদ্যদ্রব্য বা পানীয়তে এলকোহল থাকলে সেখানে স্পষ্ট অক্ষরে Capital Letter এ Bold আকারে উল্লেখ করতে হবে। “CONTAINS ALCOHOL” এবং লেখার Font ৬ পয়েন্টের নীচে করা যাবে না।

অন্য কোমল পানীয়তেও  কি এলকোহল রয়েছে?

কোকের এই ঘটনা এখন প্রশ্ন তুলেছে অন্য কোমল পানীয়তেও কি তবে এলকোহল এবং ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে? উৎপাদক বিশেষজ্ঞদের মতে সব কোমল পানীয় একই নিয়মে প্রস্তুত হয়ে থাকে এবং একই রকমের উপাদানে কিছু কম বেশী ভাব উপস্থিত থাকে। সব কোমল পানীয় বর্জন করা উচিত।

১৯৯৩ সালের ৭ই মে দৈনিক পিটারমারটিজবার্গ-এ নীচের নিবন্ধটি ছাপা হয়েছিল:

কোকাকেলাঃ  কোকাকোলার মূল রেসিপিকে বলা হয় আমেরিকার সবচেয়ে উন্নত গোপনীয় বিষয়। কোম্পানী বলে ফর্মূলা রয়েছে গোপন প্রকোষ্ঠে। অথচ “GOD, Country” এর লেখক বলেন, তিনি ফর্মূলা পেয়েছেন কোম্পানীর আর্কাইভে। জন পেমবারটনের নিজস্ব কিছু কাগজপত্রের একটি প্যাকেট থেকে তিনি ফর্মূলা পেয়েছিলেন। জন পেমবারটন ১০৭ বছর (১২৩ বছর বর্তমান সময় থেকে) পূর্বে এই ফর্মূলা আবিস্কার করেন। সেই রেসিপিতে ছিল সাইট্রেট কেফেইন, ভ্যানিলা নির্যাস, সাত রকম ফ্লেভারিং এজেন্ট, কোকার নির্যাস (কোকেইন)। সাইট্রিক এসিড, লাইম জুস, চিনি, পানি, কেরামেল এবং এলকোহল। ১৯০৩ সালে কোকেইনকে বাদ দেয়া হয়। এত বছর ধরে কোকাকোলা কোম্পানী হাতিয়ে নিয়ে গেছে অসংখ্য টাকা কড়ি। (অসমাপ্ত)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন