১৯৪৭ সালের বেনিয়া বৃটিশদের দেশবিভক্তির দোহাই দিয়ে এখন পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের ভূখন্ড দাবী করছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। নেপথ্যে, বাংলাদেশ থেকে ৩ জেলাকে আলাদা করে স্বাধীন সন্ত্রাসবাদী জুম্মল্যান্ড গঠন করা। সরকারের উচিত তড়িৎ এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

সংখ্যা: ২৭৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

বাংলাদেশের ভূখন্ডে থেকে, বাংলাদেশেরই সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরও এদেশেরই বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত উপজাতি সন্ত্রাসীরা। এমনকি পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঞ্চল হিসেবেও মিথ্যাচার ও প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে একটি উপজাতীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ। প্রতিবছর ১৭ই আগষ্ট উপজাতি সন্ত্রাসীরা পার্বত্য ৩ এলাকায় চট্টগ্রাম আগ্রাসন দিবস পালন করে থাকে।

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত রাষ্ট্রের জন্ম হয়। তার আগের দিন জন্ম হয়েছে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের। ভারত বিভাগে র‌্যাড ক্লিফের বিভাজন রেখা অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম পড়ে পূর্ব পাকিস্তানের ভাগে (বর্তমান বাংলাদেশ)। কিন্তু সেই ভাগ মেনে নিতে পারেনি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী উপজাতি চাকমা সন্ত্রাসীরা। যার কারনে সেদিন উপজাতি সন্ত্রাসী স্নেহ কুমারের নেতৃত্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকে বাংলাদেশের রাঙামাটিতে ভারতের পতাকা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু পাকিস্তান রেজিমেন্টের বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা এ ঘটনার ২ দিন পর রাঙামাটি থেকে ভারতের পতাকা নামিয়ে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করে। সেই থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পূর্ব পাকিস্তানের। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয় পূর্ব পাকিস্তানের ভূখ- নিয়ে। সে হিসাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ১৯৪৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম যদি পাকিস্তানভুক্ত না হতো তাহলে তা বাংলাদেশেও অন্তর্ভুক্ত হতে ব্যর্থ হতো।

ভারত ভাগের ৬৯ বছর পর হলেও বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন নামধারী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের রাঙামাটি থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভারতীয় পতাকা নামিয়ে দেয়ার দিন ১৭ আগস্টকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আগ্রাসন দিবসরূপে পালন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর থেকে ভারতে অবস্থিত চাকমা উপজাতিরা এদিনকে ব্লাক ডে বা কালো দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে- প্রতিবছর উপজাতি চাকমা সন্ত্রাসীরা এই দিনটিকে কালো দিবস পালন করে আর ভারতের মিডিয়া তা ফলাও করে প্রচার করে। তারা ভারতীয়দের দেখায়- দেখ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামটা ১৯৪৭ সালে ভারতের হওয়ার কথা ছিল। এখানে বলার বিষয় হলো, পার্বত্য চট্টগ্রাম যদি ভারতের অংশই হয় এবং তা পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হয়ে অন্যায় কাজই হয় তাহলে দেশ ভাগের সময় নদীয়া, মুর্শিদাবাদ পূর্ব বাংলার অংশ হয় এরপর ১৭ই আগস্ট ভারত তা দখল করে এবং আসামের বাঙালি মুসলিম অধ্যুষিত জেলা করিমগঞ্জ গনভোটে বর্তমান বাংলাদেশ তথা পাকিস্তান অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দেয়, কিন্তু রেডক্লিফ করিমগঞ্জ ভারতকে দিয়ে দেয় তাহলে এখন যদি ভারতের করিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়ার মানুষরা পাকিস্তানের পতাকা উড়ায় তাহলে কি সেটা ভারত সরকার মেনে নেবে? মূলত এগুলো সবই ভারতের ইশারায় সংগঠিত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, আজকে উপজাতি সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানের সাথে জুড়ে দেয়ার বিরোধীতা করে ১৯৪৭ সালের চেতনায় ফিরে যেতে চাইছে। পাকিস্তান বিদ্বেষ প্রদর্শন করছে। অথচ এই উপজাতি সন্ত্রাসীরাই ১৯৭১ সালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাকিস্তানকে সমর্থন করে শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিলো। উপজাতি রাজাকার ত্রিদিবের নেতৃত্বে ভারত প্রত্যাগত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশের উপর গণহত্যা চালিয়েছিলো এই উপজাতি রাজাকার সন্ত্রাসীরা। তাদের নেতারা পাকিস্তানের মন্ত্রীর মর্যাদা পর্যন্ত পেয়েছিলো। কিন্তু আজকে তারা বাহি্যৃকভাবে পাকিস্তান বিদ্বেষ দেখিয়ে মায়াকান্না করছে শুধুমাত্র একটি কারণে। তা হলো ‘পার্বত্য চট্টগ্রামকে যেকোনো উপায়ে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করে আলাদা জুম্মল্যান্ড গঠন করা’। তাদের প্রথম টার্গেট- ভারতের অংশ বলে লম্ফঝম্ফ করে পরে জুম্মল্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা।

আর তাদের এই সন্ত্রাসী দেশবিরোধী কর্মকান্ডের পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা করছে বর্তমান সরকারের বন্ধু নামধারী ছদ্মবেশী সন্ত্রাসী দেশ ভারত। জানা গেছে, ভারত ও মিয়ানমার থেকে কৌশলে নানা উন্নত অন্ত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি সন্ত্রাসীদের হাতে এসে পৌছাচ্ছে। ভারতের এই পৃষ্ঠপোষকতা নতুন কোনো বিষয় নয়, এর ইতিহাসও অনেক পূরনো। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করার পথে মূল কাটা হলো সেখানে বসবাসরত বাঙালিরা। তাই বিভিন্ন সময়ে হাজার হাজার বাঙালিকে হত্যা করেছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। বঙ্গবন্ধূ শেখ মুজিবুর রহমানের সময়েই উপজাতি সন্ত্রাসীরা বাঙালি গণহত্যার ছক একেছিলো।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় তৎপরতার কারনে তারা সে সাহস তখন পায়নি। ভারতও তখন তাদের সহযোগীতা করেনি। কিন্তু পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ভারতের পূর্ণ সহযোগীতায় হাজার হাজার বাঙালিকে হত্যা করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। হাজার-হাজার বাঙালি, সেনাবাহিনী, বিডিআর, আনসার, ভিডিপি, বনরক্ষীসহ বহু সরকারি ও বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী খুন ও অপহৃত হয় এই ‘শান্তি বাহিনী’র হাতে। পার্বত্যঞ্চলকে ‘বিদ্রোহ উপদ্রুত অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষনা দেয় সরকার। একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সুত্রে জানা যায়-

“বাংলাদেশের সংহতি ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী এই বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীকে আশ্রয়, প্রশ্রয়, প্রশিক্ষণ, রেশন, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’। যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে খোদ উপজাতি সন্ত্রাসীদের মুখপাত্র বিমল চাকমা। সে জানিয়েছে- ভারতই তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় ও সহযোগীতা করছে”।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। সরকার নিজেদের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি দাবী করে থাকে। কিন্তু এই দাবীর পক্ষে সরকারের আচরণ ভিন্ন। সরকার উপজাতি সন্ত্রাসীদের এই সকল দেশদ্রোহী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কোনো শক্ত ব্যবস্থাই নিচ্ছেনা। অথচ ধীরে  ধীরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারের উচিত হবে তড়িৎ এই দেশবিরোধী ভারতীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহার না করে সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি করা, টহল বৃদ্ধি করা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছিন্নমুল বাঙালিদের নিয়ে এসে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূনর্বাসিত করা। বিশেষ করে, বাংলাদেশের উপজাতি সন্ত্রাসীদের সহযোগীতার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করা। আর এটাই দেশের ২৫ কোটি জনগন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের কাছ থেকে আশা করে থাকে।

মুহম্মদ আরিফুল্লাহ, ঢাকা।

সরকারের জন্য বিশ্লেষণ ‘জনকন্ঠের’ ‘বোরকাওয়ালী (তথা কথিত) হতে সাবধান’ হতে হলে বায়তুল মোকাররমে পাঁচ হাজার নারীর নামাযের ব্যবস্থা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা তা উদ্বোধনের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করতে হবে। বায়তুল মোকাররমকে জামাতী ও জঙ্গি বোরকাওয়ালীদের অভয়ারণ্য হতে দেয়া যাবে না। দিলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর কাড়ার সস্তা রাস্তা অবলম্বনের খাহেশ পরিহার করতে হবে সব মহলকেই।

        ইসলামের লেবাছে জামাতীরা প্রকাশ্যে ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যাচার করে        রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা করে যাচ্ছে। ওদের সবকিছুই মেকী।         টিপাইমুখী বাঁধের নামে জামাতী সমাবেশ পুরোটাই ছিল ভাড়া করা গু-া-       বদমায়েশ, শিবির ক্যাডারদের শোডাউন।         ‘স্বাধীনতা এনেছি’- জামাতীদের এ প্রকাশ্য ঘোষণা আল্লাহ পাক-এর        আরশ কাঁপাচ্ছে।         মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকার ও অবমাননা করা হচ্ছে।         দেশের পনের কোটি লোকের উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানো হচ্ছে।         কাজেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা সর্বোপরি পনের কোটি জনগণের       উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানোর দায়ে জামাতীদের অবিলম্বে শক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক        শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং আগামীতে জামাতীদের কোন ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি না দেয়া সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬১

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১০

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৯