মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বানুল নাস বা’দাল আম্বিয়া, ছাহিবু রসূলিল্লাহি ফিল গারি, মুছাদ্দিকুল হুসনা, আশ শাহিদু আলান নাস, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছাল শরীফ দিবস। যে দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরয-ওয়াজিব।

সংখ্যা: ২৩৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতা উনার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক। যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব। মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে যিনি এতই মশগুল যে, জীবনের সার্বক্ষণিক সাথী, একান্ত বিশ্বস্ত, বিচক্ষণ ছাহাবী আলাইহিস সালাম উনাকে ‘বন্ধু’ হিসেবে গ্রহণ করেননি; তবে বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত অন্য কাউকে যদি বন্ধুরূপে কবুল করতাম তবে, তিনি হতেন আফদ্বালূন নাছ বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম।’

উল্লেখ্য, ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ এই মহান ছাহাবী হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিছাল শরীফ উনার দিন হওয়ায় স্বভাবতই তা আলাদা গুরুত্ব ও তাৎপর্য রাখে। যার মর্ম অনুধাবনে রয়েছে খাছ রহমত মুবারক ও বরকত মুবারক লাভের কারণ।

মূলত, ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সর্বোত্তম ছাহাবী আলাইহিস সালাম। উনার মর্যাদা, উনার মূল্যায়ন করা আমাদের সাধ্যের বাইরে। সুমহান নুবুওওয়াত মুবারক উনার পূর্ণ জীবন মুবারক-এ নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সবচেয়ে প্রিয় সহচর হওয়ার গুণাবলী থেকে শুরু করে, দান মুবারক উনার ক্ষেত্রে, ইবাদত উনার ব্যাপারে, মুরতাদদের সাথে যুদ্ধের বর্ণনাসহ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সার্বিক খিদমতে উনার ভূয়সী প্রশংসায় বহু পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে। তিনিই হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম।

বিশেষ করে এক্ষেত্রে পবিত্র সূরা তওবা শরীফ উনার পবিত্র চল্লিশ নম্বর আয়াত শরীফখানা বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। কারণ, এতে এক পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যেই উনার তিনটি প্রশংসার উল্লেখসহ উনাকে ‘সানী ইসনাইন’ বলে সুমহান মর্যাদা মুবারক দেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ফযীলত বর্ণনা প্রসঙ্গে স্বয়ং হযরত উমর ফারূক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমার সারা জীবনের আমল যদি হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সেই তিন রাত্রির আমলের সমান হতো!

‘তিবরানী’ শরীফ উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাই উল্লেখ মুবারক করেন, “নবী আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের পরে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম, তিনিই সর্বোত্তম মানুষ।”

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি একাধিক স্থানে উনার ছানা-ছিফত করেছেন। উনার প্রশংসা অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে। হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী তিনিই হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম এবং এই “ছিদ্দীক্বে আকবর” লক্বব মুবারক উনার একক বৈশিষ্ট্য। উনার মর্যাদা স্বল্প পরিসরে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। এমন কোনো ভাষা নেই, যে ভাষায় উনার জীবনীগ্রন্থ রচিত হয়নি। তিনি ছিলেন সেই মহান ব্যক্তিত্ব; যিনি প্রথম পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন, প্রথম পবিত্র কুরআন শরীফ সংগ্রহকারী অর্থাৎ জামিউল কুরআন এবং নাম দেন মুছহাফ এবং উনাকেই প্রথম ‘খলীফাতু রসূলিল্লাহ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। হযরত ছিদ্দীক্ব আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত ইসলামী জগতে এক নজিরবিহীন বিরল ব্যক্তিত্ব। সম্মানিত নুবুওওয়াত উনার পর উনার সম্মানিত ইমামত ও খিলাফত সকলেই বিনা দ্বিধায় মেনে নেন।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনার সম্পর্ক মুবারক-ই ছিলো প্রগাঢ়, অধিক পছন্দের, মর্যাদার ও অধিক আস্থার। উনার চিন্তা চেতনা ও চরিত্র মুবারক উনার সাথে সর্বাধিক সামঞ্জস্যশীল এবং একীভূত। যে কারণে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেননি, মুনাফিক সর্দার ইবনে উবাইর জানাযায়, বিমর্ষ হননি হুদাইবিয়ার সন্ধিতে, এমনকি হুঁশ মুবারক হারাননি আজীবনের আক্বা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিছাল শরীফ উনার সময়।

উল্লেখ্য, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পরে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারাও উদাত্ত কন্ঠ মুবারক-এ হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম, উনার পবিত্র ছানা-সিফত মুবারক করেছেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ উনার পর আমরা এমনি এক অবস্থায় পড়েছিলাম যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করলে আমরা ধ্বংস হয়ে যেতাম। (সুবহানাল্লাহ)

সঙ্গতকারণেই আমরা এ দিনে তথা এ মাসে অগাধ শ্রদ্ধার সাথে খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে স্মরণ করছি এবং বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটকালে গভীরভাবে উনার আলোচনা মুবারক ও মূল্যায়নের অশেষ আবশ্যকতা বোধ করছি।

আমরা অগাধ শ্রদ্ধার সাথে খলীফাতু রাসুলিল্লাহ্ হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার স্মরণ করছি এবং সর্বস্তরে খাঁটি দুরূদ শরীফ দিয়ে গভীরভাবে, উনার আলোচনা মুবারক ও মূল্যায়নের অশেষ আবশ্যকতা বোধ করছি। বিশেষ করে কি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, কি স্বদেশের ক্ষেত্রে আত্মভোলা সাধারণ মুসলমান ও বিপথগামী আলেম সমাজের পদস্খলনের বর্তমান মুহূর্তে তা অত্যন্ত জরুরী ও ফায়দাকর।

যে দুটি কারণে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার অনন্যতা মুবারক সূচিত হয়েছিল তা হলো মাখলুকাতের প্রতি মমত্ববোধ ও মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি প্রগাঢ় মুহব্বত মুবারক। বলার অপেক্ষা রাখে না, আজকের মুসলিম সমাজে পরস্পর মমত্ববোধ তথা মুহব্বত যেন নিতান্তই আকাশের চাঁদ। এরপরে ছিটে-ফোটা এদিক সেদিক যা দেখা যায় তাকে মায়া-কান্না ও লোকদেখানো চর্চা ভিন্ন অন্য কিছুই বলা যায় না। অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে- “সমগ্র মুসলিম সমাজ একটি শরীর সদৃশ। শরীরের কোনো অংশে আঘাত লাগলে যেমন তা গোটা দেহে ছড়িয়ে পড়ে তেমনি কোনো মুসলমান কষ্টে পড়লে অন্যান্যরাও তার ব্যথায় অংশীদার হবেন।” অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে সহমর্মিতাই হলো পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা। কিন্তু সে শিক্ষা থেকে আজ গাফিল থাকার কারণে একদিকে যেমন আমাদের পবিত্র ঈমানী কর্তব্য ব্যাহত হচ্ছে অপরদিকে তেমনি কিছু কিছু এনজিও এ সুযোগকে লুফে নিয়ে ক্রমশঃই এদেশে শিকড় গেড়ে বসছে।

হাভাতে, হতাশাগ্রস্ত, অশিক্ষিত মুসলমানদের জন্য তাদের ন্যূনতম চাহিদার যোগান দেয়ার অবকাশ ও মানসিকতা তৈরিতেই অভিযুক্ত এনজিওগুলোর নীলনকশা পর্যুদস্ত করা সম্ভব। আর এই সহমর্মিতা যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে কত প্রিয় উক্ত গুণের কারণে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম ‘আতিক’ উপাধি মুবারক প্রাপ্তির মধ্যেই তা প্রতিভাত হয়।

উল্লেখ্য, কাঙ্খিত সময়ে পানির অভাব এবং অবাঞ্ছিত পানির জোয়ারের পেছনে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে যাকাত না দেয়াকে নির্দেশিত করা হয়েছে। যার প্রতি গুরুত্ব প্রদর্শন করে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেছিলেন ‘সাবধান পবিত্র যাকাত উনার একটি রশিও যে দিতে অস্বীকার করবে তার প্রতিও পবিত্র জিহাদ অব্যাহত থাকবে। সুবহানাল্লাহ!

প্রদত্ত বিবৃতিতে সহজভাবেই মহান আল্লাহ পাক উনার আহকাম উনার প্রতি দৃঢ়তা তথা উনার প্রতি সীমাহীন মুহব্বত উনার প্রকাশ পায়। প্রমাণিত হয় মা’বুদের মুহব্বতে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার তিলাওয়াতে উনার চোখে কেবল অশ্রুই প্রবাহিত হয়নি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আদর্শের কণামাত্র চ্যূতিতে সে চোখে অগ্নিস্ফুলিঙ্গও ঝরেছে। বলা যায়, এই সুমহান ত্রাণকর্তার যথাযোগ্য ভূমিকার কারণেই বিপর্যয়ের সেই যুগে পবিত্র দ্বীন ইসলাম সুসংহত হয়েছিলো।

আমরা মনে করি, তিনি কেবল সে সময়েরই ত্রাণকর্তা নন, বরং যে কোনো বিপর্যয়ের যুগে উনাকে অনুসরণ করলে উদ্ধার পাওয়া সম্ভব। সুবহানাল্লাহ।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজ রাষ্ট্রযন্ত্রে তথা মিডিয়ায় আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার কোনো আলোচনা, স্মরণ তথা মূল্যায়ন আদৌ নাই। রাষ্ট্রযন্ত্রের ধর্মনিরপেক্ষ প্রকৃতি এবং সে আলোকে মিডিয়ার পরিধি এর পেছনে মূল কারণ। নাঊযুবিল্লাহ!

ধর্মনিরপেক্ষ মিডিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার স্মরণ করে না। অথচ চূড়ান্ত মুসলিমবিদ্বেষী, অস্পৃশ্য রবি ঠগের মূল্যায়নের অন্ত রাখে না। নাঊযুবিল্লাহ!

ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞায় বলা হয়- প্রত্যেকেই যার যার ধর্ম পালন করবে। কিন্তু অন্য কোনো ধর্ম না হলেও পবিত্র ইসলাম এমন এক দ্বীন যা পালনে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। অন্য ধর্ম ব্যক্তি উদ্যোগে পালন সম্ভব হলেও পবিত্র দ্বীন ইসলাম রাষ্ট্রযন্ত্রের সক্রিয় অংশগ্রহণ ব্যতীত সম্ভব নয়। পবিত্র দ্বীন ইসলাম যে রাষ্ট্রের মুসলমানেরা পালন করবে সে রাষ্ট্রে সুদ, বেপর্দা, বেহায়া-বেশরা চলতে পারে না। সে রাষ্ট্রে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতি এবং ব্রিটিশ আইন চলতে পারে না। সে রাষ্ট্রে ঢালাওভাবে কাফির-মুশরিকদের মূল্যায়ন হতে পারে না। সে রাষ্ট্রে অবশ্য অবশ্যই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ তথা হযরত ইমাম-মুজতাহিদ আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের সবিশেষ মূল্যায়ন, স্মরণ মুবারক থাকতে হবে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে তার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ৯৭ ভাগ মুসলমানের এদেশে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ত্রাণকর্তা হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার মূল্যায়ন, স্মরণ মুবারক অতি আবশ্যক। উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস এবং পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহন করার দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা রাষ্ট্রযন্ত্রের একান্ত কর্তব্য। গোটা শিক্ষানীতিতে তথা পাঠ্যক্রমে উনার সার্বিক আলোচনা মুবারক করা ফরয। উনার অনুপম আদর্শ মুবারক-ই পারবে আজকের এ বল্গাহারা জাতিকে আদর্শের লাগাম পরাতে, পূঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বিধ্বস্ত মানবীয় চরিত্রকে মানবতার পরশ দিতে সর্বোপরি উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে পবিত্র দ্বীন উনার আলো দিতে।

মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা মুবারক থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েজ- তাওয়াজ্জুহ মুবারক।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৬

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

আশ্চর্য হলেও সত্য যে সব যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারাই মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম বিরোধী । ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’ এ প্রতিশ্রুতির সরকারের কাছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এ দাবি- অবিলম্বে দেশ থেকে মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম বিরোধী সব মাওলানা নামধারীদের বহিষ্কার করা হোক ।