আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী উনার প্রতি অপবাদকারী জালিম গং নিঃসন্দেহে বাতিল, গুমরাহ, লানতপ্রাপ্ত, জাহান্নামী ও সুন্নী নামের কলঙ্ক  রেজাখানীরা আয়নায় নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখে নিক ॥ ইসলামী শরীয়ার আলোকে একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা-৪

সংখ্যা: ২১০তম সংখ্যা | বিভাগ:

প্রিয় পাঠক! আমরা আলোচনা করছিলাম যে, রেজাখানী গুমরাহ জমাতের লেখক লিখেছিলো, “একটি ঐতিহাসিক সত্য; এ উপমহাদেশে ওহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আহমদ বেরলভী”, নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক! এটা যে কত বড় একটি মিথ্যা কলংক লেপন তা আপনারা ইতমধ্যে ধরতে পেরেছেন। আমি এখানে ঐ কুখ্যাত লেখকের একটি অনুবাদকৃত বই থেকে কিছু উদ্ধৃতি  তুলে ধরবো, যে সত্য-মিথ্যা মিশ্রিত বইটির কারনে সে নিজেকে দলীলসমৃদ্ধ মনে করার মওকা পাচ্ছে। “ওহাবী মাযহাব এর হাক্বীকত” নামক বইটিতে সে এই উপ-মহাদেশে কতিপয় ওহাবীর ফিরিস্তি তুলে ধরেছে যাদের একজনের সাথেও আমিরূল মুমিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার সাথে বা উনার আজিমুশ্বান মুবারক সিলসিলার সাথে জাহিরী বাতিনী কোন দিক হতেই কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষনীয় সেটা হলো, এই রেজাখানী জমাত বইটির নাম দিয়েছে “ওহাবী মাযহাব এর হাকীক্বত” যার মাধ্যমে তারা নিজেরাই মুসলিম সমাজের নিকট ওহাবীদেরকে একটি মাযহাব বলে পরিচিত করার অপ-চেষ্টা করেছে। অথচ ওহাবী কোন মাযহাব এর নাম নয় এটাতো সর্ম্পূন একটি বাতিল সম্প্রদায়ের নাম। ওদেরকে মাযহাব হিসেবে পরিচয় করার কোন প্রকার যুক্তিই গ্রহনযোগ্য নয়।

উল্লেখ্য, গুমরাহ রেজাখানী লেখক উক্ত বইতে বিশেষকরে উপমহাদেশে ওহাবীদের পরিচয় দিতে গিয়ে শুরু হতে যাদের নাম উল্লেখ করেছে তাদের কয়েকজন হলো- মৌলভী চেরাগ দীন, আখবার-ই- আহলে হাদীস এর নিবন্ধকার মৌলভী জামাল আরিফ, পাক্ষিক আল-ইরশাদ-ই-জাদীদ এর মালিক মৌলভী ইয়ুসুফ,লা-মাযহাবী মৌলভী ইব্রাহীম সিয়ালকোটি, মৌলভী সানাউল্লাহ অমৃতস্বরী, মৌলভী মুহম্মদ দেহলভী, মৌলভী আবদুল ওহাব দেহলভী, মৌলভী দাউদ গজনভী, মৌলভী আব্দুল্লাহ রুপড়ী,মৌলভী ফকির উল্লাহ মাদ্রাজী, মৌলভী আবদুল ওয়াহিদ গজনভী, মৌলভী সামরুদী, মৌলভী এনায়েত উল্লাহ আসারী গুজরাতি, মৌলভী সামশুল হক, আমিরে আহলে হাদীস মৌলভী ইসমাঈল সালাফী সহ আরো অনেক ব্যাক্তি যাদেরকে উক্ত বিভ্রান্তিকর বইতে সালাফী কিংবা আহলে হাদীস বলে উল্লেখ করার সাথে সাথে ওহাবী শব্দও প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে একটি বিষয় সহজেই বোধগম্য হবার কথা সেটি হলো, মূলত; যারা নিজেদেরকে সালাফী, লা-মাজহাবী বা আহলে হাদীস বলে দাবী করে তারাই হলো ওহাবী যা রেজাখানী গং নিজেরাও বুঝাতে চেয়েছে। অথচ, উল্লেখিত একজন ওহাবী মৌলভীর সাথেও কোন দিক হতেই শহীদে আযম, আমিরুল মুমিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার আকিদা আমল, নিসবত কিংবা উনার মশহুর আকাবির খলীফাগন কারো সাথেই কোন সম্পর্ক নেই। কষ্মিনকালেও রেজাখানী বিভ্রান্ত জমাত তা ছাবিত করতে পারবেনা।

এছাড়া একটি বিষয় বিশেষভাবে প্রনিধানযোগ্য সেটি হলো- লা মাজহাবী ওহাবী গং তাদের রব হিসেবে আল্লাহ পাক উনাকে কিংবা তাদের নবী-রাসূল হিসেবে নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দাবী করলে বা লিখলে কোন ঈমানদার মুসলমানের জন্য জায়িজ হবেনা আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে ওহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা বা পৃষ্ঠপোষক বলা। নাউজুবিল্লাহ! তাহলে সে কাট্টা কাফির মুরতাদে পরিনত হবে। তেমনিভাবে উপমহাদেশের ওহাবী লা মাজহাবী গং তাদের শয়তান প্রভুদের কু-পরামর্শে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের মহান উলামা মাশায়িখ আজমাঈনদেরকে তাদের বাতিল সম্প্রদায়ভূক্ত দাবী করলে সেটাও কষ্মিনকালে গ্রহনযোগ্য হবেনা। বরং সে দাবীকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলতে হবে।

যেমন, হিন্দুস্থানের “মারকাযে জমিয়তে আহলে হাদীস”-এর ওয়েব সাইটে তারা – মুজাদ্দিদে মিল্লাত হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, শায়খুল মাশায়িখ হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদেরকে ভারতে ওহাবী লা মাজহাবী আহলে হাদীস সম্প্রদায়ের বিশেষ ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করেছে। নাউজুবিল্লাহ! এটা কি রেখাখানী গং মানবে? যদি নাই মানবে তাহলে এই সমস্ত ওহাবী লা-মাজহাবী কিংবা তাদের মদদদাতা ব্রিটিশ বেনিয়ারা যদি তাদের লেখালেখিতে ইমামে আহলে সুন্নাহ, শহীদে আযম, আমিরুল মুমিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনাকে কিংবা উনার সু-মহান খলীফাগনকে ওহাবী হিসেবে উল্লেখ করত; অপ-প্রচার করে তবে সেটাকে কেন মানতে হবে?

আমরা তো আগেই বলেছি শহীদে আযম, আমিরুল মুমিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার মকবুল খলীফাগনের একজনও ওহাবী মতবাদী ছিলেন না তদ্রুপ রেজাখানী গং কর্তৃক উল্লেখিত লা-মাজহাবী মৌলভীদের একজনের সাথেও শহীদে আযম, আমিরুল মুমিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার সু-মহান খলীফা আজমাঈন গনের কোন প্রকার সম্পৃক্ততাও ছিলোনা বরং ঐ সমস্ত লা-মাজহাবী ওহাবীদের সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় উনার মুবারক সিলসিলার ধারক বাহকগন অনেক বাহাস বির্তক করে ওহাবীদেরকে চরমভাবে পরাস্ত করেছেন ইতিহাসে এমন ভুরি ভুরি প্রমান বা নজির রয়েছে যা সুন্নী নামের কলংক, বাতিল ফিরকা রেজাখানীদের অজানা থাকার কথা নয়।

-মুহম্মদ সালামাতুল্লাহ ইসলামাবাদী।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

 মতিভ্রমদুষ্ট মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার হতে পারে; কিন্তু রাজাকার কখনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।  যেমনটি ইসলামের ইতিহাসে পরবর্তিতে অনেকেই ছাহাবী হয়েছেন।  অনেকে অনেক জিহাদও করেছেন। কিন্তু বদরী ছাহাবী তিনশ’ তের জনই।  ক্বিয়ামত পর্যন্ত আর কেউ বদরী ছাহাবী হতে পারবে না। সে মর্যাদা পাবে না।  অপরদিকে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীরা স্বাধীনতার সুফল পেতে পারে না।  স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো স্থানে তারা সমাবেশের অনুমতি পেতে পারে না।  মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট কোন অনুষ্ঠান করা, ইসলামের     দৃষ্টিতে বড় ধরনের প্রতারণা, মিথ্যা ও মহা বেঈমানী ও চরম মুনাফিকী।  মুক্তিযোদ্ধার নামে কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলে জামাতীদের আগে প্রকাশ্যে     তওবা করতে হবে।  তার আগ পর্যন্ত রাজাকার জামাতীদের কোনো ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি       দেয়া সরকারের উচিত নয়। মুক্তিযোদ্ধা কেনার হাটের অনুমতি দেয়া উচিত নয়।  মুক্তিযোদ্ধা কেনার প্রক্রিয়াও বরদাশত করা উচিত নয়। কারণ তা সংবিধানে     সম্মত নয় এবং ইসলাম সঙ্গত তো নয় আদৌ।